১০ মাসে একেকজন উপদেষ্টার পিএস শত শত কোটি টাকা কামিয়ে ফেলেছে দাবি করে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, হাসিনার তো ১৫ বছর সময় লেগেছিল। পলিটিশিয়ানদের তো ১৫ বছর লাগে এই অর্থ কামাই করতে। এই বাটপারদের তো তিন মাস, চার মাস, পাঁচ মাসে তারা কামায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ জুন) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন রুমিন ফারহানা। বিএনপির এ নেত্রী বলেন, রাজনীতিবিদদের খামাখা গালি দিয়ে লাভ নেই। অরাজনৈতিক সরকার তো আসলো। একই রকম লোভী, একই রকম দুর্নীতিগ্রস্ত, একই রকম মিথ্যাবাদী।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক সরকার অন্তত জিনিসপত্র ম্যানেজ করতে পারতো। ‘ল এন্ড অর্ডার’ ম্যানেজ করতে পারতো। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আজকে যে নাভিশ্বাস হয়েছে সেটা হতো না। দুর্নীতিগ্রস্ত বলছি এ কারণে, আবিষ্কার হয়েছে নতুন তত্ব।
উপদেষ্টারা ফেরেশতা, পিএসরা ইবলিশ। কি ফানি কথা তাই না? অথচ চিন্তা করে দেখেন, পিএস-এর জন্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কালো বিড়াল তকমা নিয়ে জীবনের শেষ দিনগুলো পার করতে হয়েছে। তখন কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তাকে ক্ষমা করে নাই। আর আজকে এসব উপদেষ্টা, যাদের কোনোরকম ব্যাকগ্রাউন্ড, ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড কিছু নেই, শত শত কোটি টাকা এদের পিএস কামিয়ে ফেলছে।”
রাজনীতিবিদদের মানুষের কাতারে যেতে হয় জানিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, পলিটিশিয়ানদের দিনের শেষে মানুষের কাছে ফিরতে হয়। ওই একটা ভয় তাদের মধ্যে থাকে। আজকে পারছি না, কালকে যাচ্ছি না। পরশু আমাকে যেতেই হবে। দেশ থেকে তো পলিটিক্যাল পার্টি বিলুপ্ত হয় না। সুতরাং তার একাউন্টেবিলিটিটা কোথাও না কোথাও গিয়ে আরও অনেক বেটার ওয়ার্ক করে।
উপদেষ্টাদের প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা আরও বলেন, এরা কিন্তু জনবিচ্ছিন্ন। এরা এখন আছে বাংলাদেশে। দুইদিন পর চলে যাবে আমেরিকা। চলে যাবে লন্ডন। চলে যাবে সিঙ্গাপুর। এদের টিকিও খুঁজে পাবেন না। কিন্তু আমাদের তো ভাই যাওয়ার জায়গা নেই। কিন্তু এদের তো আর ফেরার দায় নেই।
সমসাময়কি ইস্যু নিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, আমি যখন এই বাজেটটা দেখলাম, এই মুক্তিযোদ্ধার ইস্যুটা দেখলাম, এই নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করা কেন? মনোযোগ অন্য দিকে নিয়ে যাওয়া। এই খেলাটা হাসিনা আমাদের সঙ্গে খেলে নাই? আমরা কি এই খেলা জানি না? যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক করছেন ঐক্যমতে আসবার জন্য। এবং এই ঐক্যমত থেকে বের হয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বললেন, উনারা হাসের সুন্দর করে। কথাও সুন্দর বলেন। কিন্তু কোনো কনক্লুশানে উনারা পৌঁছান না। কোনো প্রশ্নের জবাব দেন না।