উজানের ঢলে তিস্তায় বন্যার শঙ্কা, প্রস্তুতির আহ্বান

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১০:১৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • ৭১২ বার পড়া হয়েছে

ভারতের আসাম রাজ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তা নদীতে আগামী ৩০ ও ৩১ মে উজানের ঢলের আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। তার দাবি, অতিভারী বৃষ্টিপাতের ফলে গজলডোবা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়া হতে পারে। এর প্রভাবে হঠাৎ করে তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশে ভয়াবহ ঢল নামার আশঙ্কা রয়েছে।

রোববার (২৫ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ এ সতর্কবার্তা দেন।

তিনি জানান, ভারতের আসাম রাজ্যে ২৯ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত ৫০০ থেকে ৮০০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ভারতের গজলডোবা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়া হতে পারে। ফলে বাংলাদেশের তিস্তা নদীতে হঠাৎ করে প্রচণ্ড ঢল নেমে আসতে পারে।

মোস্তফা কামাল লেখেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং গণমাধ্যমের কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিস্তা ব্যারাজের উজানে যেসব পানি আটকে রাখা হয়েছে, সেগুলো যেন ২৯ মের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে সর্বনিম্ন স্তরে নামিয়ে আনা হয়। এতে করে আকস্মিক ঢলের ধাক্কা সামলানো সহজ হবে।

তিনি আরও লেখেন, ভারতের গজলডোবা বাঁধের গেট খোলার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশের বেশি। এখনই ব্যবস্থা না নিলে তিস্তার নিচু চরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এ প্রেক্ষিতে আগামী ২৯ তারিখের আগেই দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের উজানে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উজানের ঢলে তিস্তায় বন্যার শঙ্কা, প্রস্তুতির আহ্বান

আপডেট সময় : ১০:১৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

ভারতের আসাম রাজ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তা নদীতে আগামী ৩০ ও ৩১ মে উজানের ঢলের আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। তার দাবি, অতিভারী বৃষ্টিপাতের ফলে গজলডোবা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়া হতে পারে। এর প্রভাবে হঠাৎ করে তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশে ভয়াবহ ঢল নামার আশঙ্কা রয়েছে।

রোববার (২৫ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ এ সতর্কবার্তা দেন।

তিনি জানান, ভারতের আসাম রাজ্যে ২৯ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত ৫০০ থেকে ৮০০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ভারতের গজলডোবা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়া হতে পারে। ফলে বাংলাদেশের তিস্তা নদীতে হঠাৎ করে প্রচণ্ড ঢল নেমে আসতে পারে।

মোস্তফা কামাল লেখেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং গণমাধ্যমের কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিস্তা ব্যারাজের উজানে যেসব পানি আটকে রাখা হয়েছে, সেগুলো যেন ২৯ মের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে সর্বনিম্ন স্তরে নামিয়ে আনা হয়। এতে করে আকস্মিক ঢলের ধাক্কা সামলানো সহজ হবে।

তিনি আরও লেখেন, ভারতের গজলডোবা বাঁধের গেট খোলার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশের বেশি। এখনই ব্যবস্থা না নিলে তিস্তার নিচু চরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এ প্রেক্ষিতে আগামী ২৯ তারিখের আগেই দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের উজানে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।