শিরোনাম :
Logo গলায় ফাঁস দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা Logo শেরপুরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য আন্দোলনে যাচ্ছে শেরপুর প্রেসক্লাব Logo ইবির সেন্ট্রাল ল্যাবে অতিরিক্ত ফি নির্ধারণ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ Logo “আত্মহত্যা” শুধু একটি শর্ট ফিল্ম নয় একটি বার্তাও Logo বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি’র নির্বাচন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগে মতবিনিময় Logo বেরোবিতে চালু হচ্ছে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন Logo ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র Logo ছুটির তিন দিনে ৩ দলের সমাবেশ Logo ফ্যাসিস্ট সমর্থকদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে প্রশাসক নিয়োগের পরামর্শ রিজভীর Logo ‘বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না এলে ভাত খাব না’-বলা অসুস্থ নিজামের পাশে তারেক রহমান

বেরোবিতে চালু হচ্ছে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:০৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭২২ বার পড়া হয়েছে

মো. আজিজুর রহমান বেরোবি প্রতিনিধি :

পরীক্ষায় অধিকতর স্বচ্ছতা, খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন ও শিক্ষার্থী হয়রানি বন্ধে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) চালু হচ্ছে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও ছাত্র উপদেষ্টা ড.মো.ইলিয়াছ প্রামানিক।

তিনি জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ফাইনাল পরীক্ষায় রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর কোন পরীক্ষক বুঝতে পারবে না খাতা কোন শিক্ষার্থীর। এতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয় পরীক্ষায় নাম্বার কম বা বেশী দেয়ার তা আর থাকবে না।

এদিকে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, প্রায় প্রতিটি বিভাগে কিছু শিক্ষক রয়েছে যারা তাদের পছন্দের শিক্ষার্থীকে নম্বর বেশি দিয়ে থাকেন। আবার বাহ্যিক কোন বিষয়ে শিক্ষকের সাথে মতের অমিল হলে তিনি রোল নম্বর মার্ক করে পরীক্ষায় নম্বর কম দিয়ে থাকেন। তখান ভালো লিখেও আশানুরুপ ফল পাওয়া যায় না। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযোগ থাকলেও কিছু করার ছিলো না। আমরা আশা করছি এবার রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন চালু হলে আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থী যথাযথভাবে খাতা মূল্যায়ন এর নম্বর পাবো।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.তানজিউল ইসলাম জীবন এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড.রশীদুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ এর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর যৌন নিপিড়ন ও ফলাফল টেম্পারিংয়ের অভিযোগপত্র জমা দেন ভুক্তভুগী শিক্ষার্থীরা। এরপর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গলায় ফাঁস দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা

বেরোবিতে চালু হচ্ছে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন

আপডেট সময় : ০৬:১৭:০৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

মো. আজিজুর রহমান বেরোবি প্রতিনিধি :

পরীক্ষায় অধিকতর স্বচ্ছতা, খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন ও শিক্ষার্থী হয়রানি বন্ধে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) চালু হচ্ছে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও ছাত্র উপদেষ্টা ড.মো.ইলিয়াছ প্রামানিক।

তিনি জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ফাইনাল পরীক্ষায় রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর কোন পরীক্ষক বুঝতে পারবে না খাতা কোন শিক্ষার্থীর। এতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয় পরীক্ষায় নাম্বার কম বা বেশী দেয়ার তা আর থাকবে না।

এদিকে রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, প্রায় প্রতিটি বিভাগে কিছু শিক্ষক রয়েছে যারা তাদের পছন্দের শিক্ষার্থীকে নম্বর বেশি দিয়ে থাকেন। আবার বাহ্যিক কোন বিষয়ে শিক্ষকের সাথে মতের অমিল হলে তিনি রোল নম্বর মার্ক করে পরীক্ষায় নম্বর কম দিয়ে থাকেন। তখান ভালো লিখেও আশানুরুপ ফল পাওয়া যায় না। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযোগ থাকলেও কিছু করার ছিলো না। আমরা আশা করছি এবার রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন চালু হলে আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থী যথাযথভাবে খাতা মূল্যায়ন এর নম্বর পাবো।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.তানজিউল ইসলাম জীবন এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড.রশীদুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ এর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর যৌন নিপিড়ন ও ফলাফল টেম্পারিংয়ের অভিযোগপত্র জমা দেন ভুক্তভুগী শিক্ষার্থীরা। এরপর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় রোল ও নামহীন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।