ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ বলেছেন, বর্বর ইসরায়েলি শত্রুকে দমন করে তাকে অসহায় করে দেবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী, কারণ ইসরায়েল কোনো রকমের সীমারেখা মানে না।
সোমবার পার্লামেন্টের উন্মুক্ত অধিবেশনে বক্তৃতাকালে গালিবাফ বলেন, ‘গত কয়েক রাত ধরে যা ঘটেছে, তা ছিল দখলদারদের জন্য দুঃস্বপ্নের শুরু। এই ভয় আরও চলবে। তাদের আরও কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শত্রুকে নরক উপহার দেবে এবং পুরো বিশ্ব তাদের দুর্দশা প্রত্যক্ষ করবে।
গালিবাফ জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা সবাইকে বুঝতে হবে, আমরা এখন একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে রয়েছি এবং আমাদের বর্বর শত্রু কোনো রকমের রেড লাইন মেনে চলে না। শেষ পর্যন্ত বিজয় নিশ্চিত, তবে এই পথে উত্থান-পতন থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘ইরানের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও চিন্তাধারার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ এবং সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষে রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) ও সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সায়্যেদ আলী খামেনেয়ীর বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বে তাদের শক্তি ও সামরিক সক্ষমতা বিশ্বকে দেখিয়েছে এবং ইসরায়েলের অজেয় থাকার কল্পনাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে।
গালিবাফ বলেন, ‘শত্রুর আগ্রাসন কেবল সরাসরি হামলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা এক ধরনের ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’ চালাচ্ছে, যার মূল কেন্দ্রে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক ও তথ্য যুদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘বর্বর ইসরায়েলি শাসকের হুমকিগুলো এখন জনগণের মধ্যে আরও ঐক্য গড়ে তোলার এক সুবর্ণ সুযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
IRGC তাদের প্রতিশোধমূলক অভিযান “অপারেশন ট্রু প্রমিস III” শুরু করেছে শুক্রবার সন্ধ্যায়, এর আগে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত বাহিনী ইরানের একাধিক স্থানে বড় ধরনের সামরিক হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক অবকাঠামো এবং তেহরানসহ বিভিন্ন শহরের আবাসিক এলাকা।
এই হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনী এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘এই ঘৃণ্য ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠীকে নিরস্ত ও অসহায় করে তোলা হবে।’
ইসরায়েলের ওই হামলায় ইরানের অনেক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।