প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, জিনের সঙ্গে মানুষের সাক্ষাৎ সম্ভব। কোরআনের একাধিক আয়াত ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন বর্ণনা থেকে তা প্রমাণিত। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে জিনদের সাক্ষাতের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে, ‘স্মরণ করো! যখন আমি তোমার প্রতি জিনদের একটি দলকে আকৃষ্ট করেছিলাম, যারা কোরআন পাঠ শুনেছিল। যখন তারা তার নিকট পৌঁছাল, তখন তারা বলল, চুপ করে শুনো। কোরআন পাঠ শেষে তারা নিজ সম্প্রদায়ের কাছে সতর্ককারী হিসেবে ফিরে গেল।’ (সুরা আহকাফ, আয়াত : ২৯)
আল্লামা ইবনে ইসহাকের সূত্রে আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) এই ঘটনাকে হিজরতের পূর্বে বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তায়েফ থেকে ফেরার পথে এক উপত্যকার নামাজ আদায় করছিলেন। তখন জিনদের একটি দল তার কোরআন তিলাওয়াত শুনে থেমে যায় এবং রাসুল (সা.)-এর প্রতি ঈমানের ঘোষণা দেয়। আল্লামা ইবনে ইসহাক ও ইবনে সাদের মতে, সেই দলে দুই গোত্রের ৭০ থেকে ৯০ জন জিন উপস্থিত ছিল। (তাফসিরে ইবনে কাসির)
দ্বিতীয়ত, মানুষের দ্বারা জিন বশ করা সম্ভব। আল্লাহ তাআলা জিনদের ওপর সুলাইমান (আ.)-এর কর্তৃত্ব দান করেছিলেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাঁর প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে জিনদের কতক তার সামনে কাজ করত। তাদের মধ্যে যে আমার নির্দেশ অমান্য করে তাকে আমি জ্বলন্ত অগ্নি-শাস্তি আস্বাদন করাব।’ (সুরা সাবা, আয়াত : ১২)
তবে কোরআনে কিছু আয়াত ও শব্দ ব্যবহার করে অথবা তান্ত্রিক সাধনার মাধ্যমে জিন বশ করা শরিয়তের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ। কেননা এটা সুলাইমান (আ.)-এর বৈশিষ্ট্য। তাঁর নিম্নোক্ত দোয়ার কারণে রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি জিনকে বন্দি করা থেকে বিরত ছিলেন। সুলাইমান (আ.) দোয়া করেছিলেন, ‘সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কোরো এবং আমাকে দান কোরো এমন এক রাজ্য যার অধিকারী আমি ছাড়া কেউ না হয়। তুমি পরম দাতা। তখন আমি তার অধীন করে দিলাম বায়ুকে, যা তার আদেশে, সে যেখানে ইচ্ছা করত সেখানে মৃদুমন্দভাবে প্রবাহিত হতো; এবং শয়তানদেরকে, যারা সকলেই ছিল প্রাসাদ-নির্মাণকারী ও ডুবুরি এবং শৃঙ্খলে আবদ্ধ আরো অনেককে।’ (সুরা সোয়াদ, আয়াত : ৩৫-৩৮)























































