শিরোনাম :
Logo জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি Logo ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া নিয়ে মোদির তীব্র সমালোচনা করলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৪৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

গণ আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তিনি বলেন, ‘কেন হাসিনাকে ভারতে ঠাঁই দেয়া হলো।’

গাড়োয়া বিধানসভায় দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছেন হেমন্ত। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেছেন তিনি।

ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান (জেএমএম) হেমন্ত অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘দ্বৈত’ ভূমিকা নিচ্ছে কেন্দ্র এবং বিজেপি নেতারা। মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেয়ার সময় সংবিধানের সামনে মাথা নত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে। সমাজের সব অংশ সমান অধিকার পাবে। আমি তাকে (মোদি) প্রশ্ন করতে চাই, আপনি কি বাংলাদেশের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ কোনো ব্যবস্থা করেছেন? আপনি কেন হাসিনার হেলিকপ্টার ভারতে নামতে দিলেন?’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এর আগে ঝাড়খণ্ডে প্রচারে এসে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়েই অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে।

ওই সময়ে অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকারীদের থেকে জমি কেড়ে নেবে এবং তাদের দেশ থেকে বিতারিত করার জন্য কঠোর আইন করবে। তবে অমিত শাহকে পাল্টা প্রশ্ন রেখে হেমন্ত বলেন, ‘ঝাড়খণ্ডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে।’ সুতরাং সীমান্ত পাহারা দেয়া এবং অনুপ্রবেশ রোখা কেন্দ্রের দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনো হাত নেই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি

হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া নিয়ে মোদির তীব্র সমালোচনা করলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১২:০৩:৪৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

গণ আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তিনি বলেন, ‘কেন হাসিনাকে ভারতে ঠাঁই দেয়া হলো।’

গাড়োয়া বিধানসভায় দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছেন হেমন্ত। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেছেন তিনি।

ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান (জেএমএম) হেমন্ত অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘দ্বৈত’ ভূমিকা নিচ্ছে কেন্দ্র এবং বিজেপি নেতারা। মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেয়ার সময় সংবিধানের সামনে মাথা নত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে। সমাজের সব অংশ সমান অধিকার পাবে। আমি তাকে (মোদি) প্রশ্ন করতে চাই, আপনি কি বাংলাদেশের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ কোনো ব্যবস্থা করেছেন? আপনি কেন হাসিনার হেলিকপ্টার ভারতে নামতে দিলেন?’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এর আগে ঝাড়খণ্ডে প্রচারে এসে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়েই অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে।

ওই সময়ে অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকারীদের থেকে জমি কেড়ে নেবে এবং তাদের দেশ থেকে বিতারিত করার জন্য কঠোর আইন করবে। তবে অমিত শাহকে পাল্টা প্রশ্ন রেখে হেমন্ত বলেন, ‘ঝাড়খণ্ডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে।’ সুতরাং সীমান্ত পাহারা দেয়া এবং অনুপ্রবেশ রোখা কেন্দ্রের দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনো হাত নেই।