শিরোনাম :
Logo কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট Logo লক্ষ্মীপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের নগদ অর্থ প্রদান Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাঁদপুরে স্মরণকালের বর্ণাঢ্য র‌্যালি Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার

মেজরকে থানায় নিয়ে যাওয়া গুলশানের এসি সোহেল রানা প্রত্যাহার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৬৩ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর গুলশানে সেনাবাহিনীর এক মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. সোহেল রানাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে তাকে গুলশান থানা থেকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।

সোমবার রাতে গুলশান এলাকায় সেনাবাহিনীর ওই কর্মকর্তার সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান এসি সোহেল রানা ও তার অধীনস্থ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিতর্কের একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা মেজর পরিচয় দেওয়া ওই কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরিচয় দেওয়ার পরও এসি সোহেলের নির্দেশে তাকে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় মেজরের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

এক পুলিশ সদস্য জানান, সেনাবাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পরবর্তীতে থানায় গিয়ে ওই মেজরকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এ সময় এসি সোহেল রানা তার কাছে ক্ষমা চান। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার মধ্যেই উত্তেজিত আচরণের কারণে এসি সোহেল তাকে থানায় নিয়ে আসেন এবং শেষমেশ ওই সেনা কর্মকর্তার কাছে হাতজোড় করে এবং পা ধরে ক্ষমা চান।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এ ঘটনার আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মেজরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় মেজর তার পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করেন।

কিন্তু এসি সোহেলকে বলতে শোনা যায়, “আমি কনস্টেবল না আমি এসি, গুলশান জোনের এসি।”

ভিডিওতে এসিকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলতে শোনা যায়। পরে মেজরকে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

ঘটনার পর ডিএমপি কর্তৃপক্ষ এসি সোহেল রানাকে গুলশান জোন থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এ বিষয়ে রাতে এসি সোহেলকে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি, ফলে তার বক্তব্যও জানা যায়নি।

ট্যাগস :

কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট

মেজরকে থানায় নিয়ে যাওয়া গুলশানের এসি সোহেল রানা প্রত্যাহার

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

রাজধানীর গুলশানে সেনাবাহিনীর এক মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. সোহেল রানাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে তাকে গুলশান থানা থেকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।

সোমবার রাতে গুলশান এলাকায় সেনাবাহিনীর ওই কর্মকর্তার সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান এসি সোহেল রানা ও তার অধীনস্থ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিতর্কের একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা মেজর পরিচয় দেওয়া ওই কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরিচয় দেওয়ার পরও এসি সোহেলের নির্দেশে তাকে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় মেজরের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

এক পুলিশ সদস্য জানান, সেনাবাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পরবর্তীতে থানায় গিয়ে ওই মেজরকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এ সময় এসি সোহেল রানা তার কাছে ক্ষমা চান। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার মধ্যেই উত্তেজিত আচরণের কারণে এসি সোহেল তাকে থানায় নিয়ে আসেন এবং শেষমেশ ওই সেনা কর্মকর্তার কাছে হাতজোড় করে এবং পা ধরে ক্ষমা চান।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এ ঘটনার আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মেজরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় মেজর তার পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করেন।

কিন্তু এসি সোহেলকে বলতে শোনা যায়, “আমি কনস্টেবল না আমি এসি, গুলশান জোনের এসি।”

ভিডিওতে এসিকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলতে শোনা যায়। পরে মেজরকে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

ঘটনার পর ডিএমপি কর্তৃপক্ষ এসি সোহেল রানাকে গুলশান জোন থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এ বিষয়ে রাতে এসি সোহেলকে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি, ফলে তার বক্তব্যও জানা যায়নি।