শিরোনাম :
Logo প্যাপিরাস পাঠাগারের নির্বাহী পরিষদের পরিচিতি সভা Logo সাংবাদিকতায় দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ শেষে সনদ গ্রহণ করলেন সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী চাঁদপুর প্রতিনিধি Logo সাকুরা সায়েন্স এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে জাপান যাচ্ছেন খুবির ৭ কৃতী শিক্ষার্থী Logo বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় কয়রায় দোয়া মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ Logo সিরাজগঞ্জে এইচএসসি ও আলিমে সাত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শতভাগ ফেল Logo পরিবারে ন্যায়বিচার ও সন্তানের অধিকার ইসলাম, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব — তৌফিক সুলতান Logo শ্যামনগরে ৪৫ কেজি হরিণের মাংস ও ১২টি পা জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড Logo খুবিতে জুলাই বিপ্লব বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহে তদন্ত কমিটি গঠন Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের বিশাল গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত  পিআর নিয়ে কোনোপ্রকার টালবাহানা দেশের মানুষ বরদাশত করবে না -মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম Logo বাবুরহাটে গোলাপ ফুলের সমর্থনে জাকের পার্টির “জনসভা ও র‍্যালী”

মেজরকে থানায় নিয়ে যাওয়া গুলশানের এসি সোহেল রানা প্রত্যাহার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর গুলশানে সেনাবাহিনীর এক মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. সোহেল রানাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে তাকে গুলশান থানা থেকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।

সোমবার রাতে গুলশান এলাকায় সেনাবাহিনীর ওই কর্মকর্তার সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান এসি সোহেল রানা ও তার অধীনস্থ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিতর্কের একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা মেজর পরিচয় দেওয়া ওই কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরিচয় দেওয়ার পরও এসি সোহেলের নির্দেশে তাকে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় মেজরের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

এক পুলিশ সদস্য জানান, সেনাবাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পরবর্তীতে থানায় গিয়ে ওই মেজরকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এ সময় এসি সোহেল রানা তার কাছে ক্ষমা চান। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার মধ্যেই উত্তেজিত আচরণের কারণে এসি সোহেল তাকে থানায় নিয়ে আসেন এবং শেষমেশ ওই সেনা কর্মকর্তার কাছে হাতজোড় করে এবং পা ধরে ক্ষমা চান।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এ ঘটনার আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মেজরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় মেজর তার পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করেন।

কিন্তু এসি সোহেলকে বলতে শোনা যায়, “আমি কনস্টেবল না আমি এসি, গুলশান জোনের এসি।”

ভিডিওতে এসিকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলতে শোনা যায়। পরে মেজরকে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

ঘটনার পর ডিএমপি কর্তৃপক্ষ এসি সোহেল রানাকে গুলশান জোন থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এ বিষয়ে রাতে এসি সোহেলকে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি, ফলে তার বক্তব্যও জানা যায়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্যাপিরাস পাঠাগারের নির্বাহী পরিষদের পরিচিতি সভা

মেজরকে থানায় নিয়ে যাওয়া গুলশানের এসি সোহেল রানা প্রত্যাহার

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

রাজধানীর গুলশানে সেনাবাহিনীর এক মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. সোহেল রানাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে তাকে গুলশান থানা থেকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।

সোমবার রাতে গুলশান এলাকায় সেনাবাহিনীর ওই কর্মকর্তার সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান এসি সোহেল রানা ও তার অধীনস্থ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিতর্কের একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা মেজর পরিচয় দেওয়া ওই কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরিচয় দেওয়ার পরও এসি সোহেলের নির্দেশে তাকে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় মেজরের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

এক পুলিশ সদস্য জানান, সেনাবাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা পরবর্তীতে থানায় গিয়ে ওই মেজরকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এ সময় এসি সোহেল রানা তার কাছে ক্ষমা চান। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার মধ্যেই উত্তেজিত আচরণের কারণে এসি সোহেল তাকে থানায় নিয়ে আসেন এবং শেষমেশ ওই সেনা কর্মকর্তার কাছে হাতজোড় করে এবং পা ধরে ক্ষমা চান।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এ ঘটনার আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মেজরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় মেজর তার পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করেন।

কিন্তু এসি সোহেলকে বলতে শোনা যায়, “আমি কনস্টেবল না আমি এসি, গুলশান জোনের এসি।”

ভিডিওতে এসিকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলতে শোনা যায়। পরে মেজরকে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

ঘটনার পর ডিএমপি কর্তৃপক্ষ এসি সোহেল রানাকে গুলশান জোন থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এ বিষয়ে রাতে এসি সোহেলকে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি, ফলে তার বক্তব্যও জানা যায়নি।