সোমবার | ৩ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo চুয়াডাঙ্গার লতিফ শাহ ২০ বছর ধরে দুই টাকায় চা বিক্রি করছেন Logo বিধি সংশোধনের নামে ব্রাকসু নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ Logo পুরনো ফোন এক্সচেঞ্জ করতে চাইলে এই ভুলগুলো করবেন না Logo ফরিদগঞ্জে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর উদ্বোধন Logo জীবননগরে রাতে কৃষকের ৩ শতাধিক পেয়ারা গাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা Logo সুদানে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি শাখা ছাত্রশক্তির অবস্থান কর্মসূচি Logo শিল্প-সাহিত্যে সংগঠনের ভূমিকা শীর্ষক চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির গোল টেবিল বৈঠক Logo শাহজাদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত, আহত ১ Logo বরিশালের প্রাচীন ঐতিহ্য মিয়াবাড়ি মসজিদ Logo প্রতিকূলতার মধ্যেও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে ডিএমপি

সাবেক এমপি আনারকে অপহরণের মামলার প্রতিবেদন ২৪ নভেম্বর

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ জন্য ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তারা হলেন- সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া, সিলিস্তি রহমান, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলী। তাদের মধ্যে মিণ্টু ছাড়া ছয়জনই দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাঁচদিন পর ২০২৪ সালের ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এ সংসদ সদস্যের। তবে ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ। এ ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তবে ডিবির মৌখিক বয়ান ও আসামিদের স্বীকারোক্তি ছাড়া আনার হত্যার দৃশ্যত কোনো প্রমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে নেই। এখন পর্যন্ত তার মরদেহ বা ডিএনএ টেস্টের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে আসলেই আনার হত্যা হয়েছে নাকি নিখোঁজ রয়েছে, তা নিয়ে জটিল আইনি প্যাঁচ রয়ে গেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গার লতিফ শাহ ২০ বছর ধরে দুই টাকায় চা বিক্রি করছেন

সাবেক এমপি আনারকে অপহরণের মামলার প্রতিবেদন ২৪ নভেম্বর

আপডেট সময় : ১১:৪৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ জন্য ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তারা হলেন- সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া, সিলিস্তি রহমান, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলী। তাদের মধ্যে মিণ্টু ছাড়া ছয়জনই দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাঁচদিন পর ২০২৪ সালের ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এ সংসদ সদস্যের। তবে ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ। এ ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তবে ডিবির মৌখিক বয়ান ও আসামিদের স্বীকারোক্তি ছাড়া আনার হত্যার দৃশ্যত কোনো প্রমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে নেই। এখন পর্যন্ত তার মরদেহ বা ডিএনএ টেস্টের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে আসলেই আনার হত্যা হয়েছে নাকি নিখোঁজ রয়েছে, তা নিয়ে জটিল আইনি প্যাঁচ রয়ে গেছে।