চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের এক শিক্ষক ৪দিন নিখোঁজ হয়েছেন। তার সন্ধান পেতে নিখোঁজের পরিবার, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলের আয়োজনে জীবননগর বাসস্টান্ডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নিখোঁজ সুজন হোসেন (৩১) জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের শিক্ষক ও উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। এ ঘটনায় নিখোঁজ স্কুল শিক্ষকের বড় ভাই মঙ্গলবার রাতে জীবননগর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেছেন। জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন বলেন, গত সোমবার সকালে তিনি স্কুলে যায়নি, মঙ্গলবারও না গেলে তখন স্কুলের শিক্ষকরা তার মোবাইলে যোগাযোগ করেন কিন্তু বন্ধ পাই।
শিক্ষকেরা তখন সুজনের গ্রামের বাসায় বিষয়টি জানান। ৪দিন পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জীবননগর উপজেলা কিন্ডার গার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আঃ মোতালেব, পৌর কিন্ডার গার্ডেন প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন, প্রাইড প্রি ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসুদ পারভেজ রানা, শিক্ষার্থী তামিম হোসেন, অন্তিক প্রমুখ। এছাড়াও উপজেলা বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুজন হোসেন দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জীবননগর পৌর শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। গোপালনগর যে বাসা থেকে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন সেখানে গত ৯ বছর ধরে আছেন। কিন্তু কোনদিন কারো সাথে কোন ঝামেলা হয়েছে এমন কথা কখনও শুনতে পাইনি। সুজন জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন এর পাশাপাশি টিউশনি করান। আর ছাত্রদের নিয়ে মাঝে মাঝে খেলাধুলা করতেন। হঠাৎ শুনি তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার স্কুলের শিক্ষকরা তাকে খুজে না পেয়ে গ্রামের বাসায় আসে।
তারপর জানতে পারি সুজন নিখোঁজ রয়েছে। পরিবারের সবাই সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পাচ্ছি না। নিখোঁজ সুজনের ভাগ্নে রানা বলেন, গত রবিবার (৬ অক্টোবর) বিকালে স্কুল থেকে তিনি বাসায় ফেরেন, খাবারের জন্য রাইস কুকারে ভাত রান্নায় বসিয়ে ছিলেন। ঘরের ভিতরে তার একটি নষ্ট ও একটি সচল মোবাইল চার্জে পাওয়া যায়, তবে মোবাইল দুটির একটাও সিম ছিলোনা। পরিচিত সকলের মাধ্যমে খোঁজাখুঁজির পর কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে, পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, বুধবার সকালে একজন মোবাইলে ফোন করে জানান তাকে ঢাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
আমরা গাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মধ্যে তিনি আবার ফোন দিয়ে রক্তের গ্রুপ জেনে নিলেন, কিছুক্ষন পর জুরুরি চিকিৎসা বাবদ টাকা দাবি করেন বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর থেকে তাদের মোবাইল বন্ধ পাচ্ছি। জীবননগর থানার ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় নিখোঁজের বড় ভাই মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। আমরা সকল থানায় বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। আশা করি খুবই দ্রুত তার সন্ধান পাওয়া যাবে।