শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা,কয়রা যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য Logo উপাচার্যের আশ্বাসের এক বছরেও হয়নি জুলাই কর্নারের বাস্তবায়ন Logo আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চাঁদপুর জেলা পুলিশের ভূমিকাঃ আইনশৃঙ্খলায় ইতিবাচক পরিবর্তন Logo ইবিতে শিক্ষক সংকট চরমে, দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ  Logo সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহাসিন আলম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo মায়ের হাতেই সন্তানের সুশিক্ষার ভিত — ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান  Logo কয়রায় পানি প্রাপ্তি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত Logo সোনালী সুদিন সমাজকল‍্যান সংস্থার উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে সাইকেল ও নগদ অর্থ বিতরণ

৭০ বছরের পুরোনো বাইসাইকেলে চড়ে বেড়াচ্ছেন রফিক

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:১৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

সময়ের পরিক্রমায় অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও চুয়াডাঙ্গার চা-দোকানি আনোয়ার হোসেন রফিকের জীবনে একটি বিশেষ জিনিস রয়ে গেছে অক্ষুণ্ন। প্রায় ৭০ বছর ধরে টিকে থাকা ফিলিপস কোম্পানির মেইড ইন ইংল্যান্ড বাইসাইকেলটি আজও রফিকের চলার সঙ্গী। ১৯৮৩ সাল থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুলিশ পার্ক লেনের চা দোকানে আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে বাজার করা, সব কাজেই ব্যবহার করছেন বাইসাইকেলটি। রফিকের বাবা নাসির উদ্দীন মন্ডল পাকিস্তান আমলে মাত্র ১২৫ টাকায় সাইকেলটি কিনেছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর কয়েক বছর সাইকেলটি অযত্নে পড়ে থাকলেও ১৯৮৩ সালে বড় ছেলে রফিক এটি ব্যবহার শুরু করেন।

ফিলিপস ব্র্যান্ডের এই ইংল্যান্ডের তৈরি বাইসাইকেলটির হ্যান্ডেলে খোদায় করা রয়েছে ‘ফিলিপস- মেইড ইন ইংল্যান্ড’। প্রায় ৪১ বছর ধরে বাইসাইকেলটি ব্যবহার করলেও এটি আজও তার রূপ ও কার্যকারিতা বজায় রেখেছে। রফিকের মতোই বাইসাইকেলটিও এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তার আশেপাশের দোকানদার ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পুরোনো বাইসাইকেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বাইসাইকেলটির টিকে থাকা ও এর ঐতিহ্যের প্রতি তাদের সম্মান প্রকাশ পেয়েছে রফিকের প্রতি আন্তরিকতায়।
রফিকের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে। প্রতিদিনের দোকানে যাতায়াত থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত সব কাজেই তার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী এই সাইকেল। সময়ের স্রোতে বাইসাইকেলটির বয়স বেড়েছে, কিন্তু রফিক তার প্রতি ভালোবাসা ও যত্নে কোনো কমতি রাখেননি। স্থানীয়রা মনে করেন, এভাবে যত্ন নিলে বাইসাইকেলটি আরও অনেক বছর চলবে।

রফিক বলেন, ‘বাইসাইকেলটি আমার জন্য শুধু একটি যাতায়াতের বাহন নয়, বরং একটি স্মৃতিবিজড়িত সম্পদ। আমার বাবার স্মৃতি জড়ানো এই বাইসাইকেলটির প্রতি আমার গভীর মমতা রয়েছে। এই বাইসাইকেলটি আমার বাবার স্মৃতি। আমি এটিকে ভালোবাসি এবং যত্ন করি। আশা করি, আমার মৃত্যুর পর আমার সন্তানরা এটিকে যত্নে রাখবে।’

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রায় ৭০ বছর আগে ইংল্যান্ডের ফিলিপস কোম্পানির তৈরি এই বাইসাইকেলটি এখন একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। রফিকের বাইসাইকেলটি শুধু তার ব্যক্তিগত সম্পদ নয়, বরং দ্বিচক্র যানের জগতে একটি ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে ধরতেও দ্বিধা নেই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ

৭০ বছরের পুরোনো বাইসাইকেলে চড়ে বেড়াচ্ছেন রফিক

আপডেট সময় : ০৫:৩২:১৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সময়ের পরিক্রমায় অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও চুয়াডাঙ্গার চা-দোকানি আনোয়ার হোসেন রফিকের জীবনে একটি বিশেষ জিনিস রয়ে গেছে অক্ষুণ্ন। প্রায় ৭০ বছর ধরে টিকে থাকা ফিলিপস কোম্পানির মেইড ইন ইংল্যান্ড বাইসাইকেলটি আজও রফিকের চলার সঙ্গী। ১৯৮৩ সাল থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুলিশ পার্ক লেনের চা দোকানে আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে বাজার করা, সব কাজেই ব্যবহার করছেন বাইসাইকেলটি। রফিকের বাবা নাসির উদ্দীন মন্ডল পাকিস্তান আমলে মাত্র ১২৫ টাকায় সাইকেলটি কিনেছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর কয়েক বছর সাইকেলটি অযত্নে পড়ে থাকলেও ১৯৮৩ সালে বড় ছেলে রফিক এটি ব্যবহার শুরু করেন।

ফিলিপস ব্র্যান্ডের এই ইংল্যান্ডের তৈরি বাইসাইকেলটির হ্যান্ডেলে খোদায় করা রয়েছে ‘ফিলিপস- মেইড ইন ইংল্যান্ড’। প্রায় ৪১ বছর ধরে বাইসাইকেলটি ব্যবহার করলেও এটি আজও তার রূপ ও কার্যকারিতা বজায় রেখেছে। রফিকের মতোই বাইসাইকেলটিও এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তার আশেপাশের দোকানদার ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পুরোনো বাইসাইকেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বাইসাইকেলটির টিকে থাকা ও এর ঐতিহ্যের প্রতি তাদের সম্মান প্রকাশ পেয়েছে রফিকের প্রতি আন্তরিকতায়।
রফিকের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে। প্রতিদিনের দোকানে যাতায়াত থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত সব কাজেই তার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী এই সাইকেল। সময়ের স্রোতে বাইসাইকেলটির বয়স বেড়েছে, কিন্তু রফিক তার প্রতি ভালোবাসা ও যত্নে কোনো কমতি রাখেননি। স্থানীয়রা মনে করেন, এভাবে যত্ন নিলে বাইসাইকেলটি আরও অনেক বছর চলবে।

রফিক বলেন, ‘বাইসাইকেলটি আমার জন্য শুধু একটি যাতায়াতের বাহন নয়, বরং একটি স্মৃতিবিজড়িত সম্পদ। আমার বাবার স্মৃতি জড়ানো এই বাইসাইকেলটির প্রতি আমার গভীর মমতা রয়েছে। এই বাইসাইকেলটি আমার বাবার স্মৃতি। আমি এটিকে ভালোবাসি এবং যত্ন করি। আশা করি, আমার মৃত্যুর পর আমার সন্তানরা এটিকে যত্নে রাখবে।’

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রায় ৭০ বছর আগে ইংল্যান্ডের ফিলিপস কোম্পানির তৈরি এই বাইসাইকেলটি এখন একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। রফিকের বাইসাইকেলটি শুধু তার ব্যক্তিগত সম্পদ নয়, বরং দ্বিচক্র যানের জগতে একটি ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে ধরতেও দ্বিধা নেই।