শিরোনাম :
Logo শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত Logo আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামাব না : শামীমা ইয়াছমিন Logo বোমা হামলায় পৃথিবীতে যত লোক মারা যায় তারচেয়ে বেশি বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় -পঞ্চগড়ে তারিকুল ইসলাম Logo বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে অভিনেত্রী Logo এশিয়া কাপের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা বিসিবির Logo ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ ফখরের Logo নাটকীয় জয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করল ভারত Logo কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরন Logo হাতপাখার প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র সাথে পূর্ব ফতেহপুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় Logo আ’লীগের আরও ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

৭০ বছরের পুরোনো বাইসাইকেলে চড়ে বেড়াচ্ছেন রফিক

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:১৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

সময়ের পরিক্রমায় অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও চুয়াডাঙ্গার চা-দোকানি আনোয়ার হোসেন রফিকের জীবনে একটি বিশেষ জিনিস রয়ে গেছে অক্ষুণ্ন। প্রায় ৭০ বছর ধরে টিকে থাকা ফিলিপস কোম্পানির মেইড ইন ইংল্যান্ড বাইসাইকেলটি আজও রফিকের চলার সঙ্গী। ১৯৮৩ সাল থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুলিশ পার্ক লেনের চা দোকানে আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে বাজার করা, সব কাজেই ব্যবহার করছেন বাইসাইকেলটি। রফিকের বাবা নাসির উদ্দীন মন্ডল পাকিস্তান আমলে মাত্র ১২৫ টাকায় সাইকেলটি কিনেছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর কয়েক বছর সাইকেলটি অযত্নে পড়ে থাকলেও ১৯৮৩ সালে বড় ছেলে রফিক এটি ব্যবহার শুরু করেন।

ফিলিপস ব্র্যান্ডের এই ইংল্যান্ডের তৈরি বাইসাইকেলটির হ্যান্ডেলে খোদায় করা রয়েছে ‘ফিলিপস- মেইড ইন ইংল্যান্ড’। প্রায় ৪১ বছর ধরে বাইসাইকেলটি ব্যবহার করলেও এটি আজও তার রূপ ও কার্যকারিতা বজায় রেখেছে। রফিকের মতোই বাইসাইকেলটিও এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তার আশেপাশের দোকানদার ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পুরোনো বাইসাইকেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বাইসাইকেলটির টিকে থাকা ও এর ঐতিহ্যের প্রতি তাদের সম্মান প্রকাশ পেয়েছে রফিকের প্রতি আন্তরিকতায়।
রফিকের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে। প্রতিদিনের দোকানে যাতায়াত থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত সব কাজেই তার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী এই সাইকেল। সময়ের স্রোতে বাইসাইকেলটির বয়স বেড়েছে, কিন্তু রফিক তার প্রতি ভালোবাসা ও যত্নে কোনো কমতি রাখেননি। স্থানীয়রা মনে করেন, এভাবে যত্ন নিলে বাইসাইকেলটি আরও অনেক বছর চলবে।

রফিক বলেন, ‘বাইসাইকেলটি আমার জন্য শুধু একটি যাতায়াতের বাহন নয়, বরং একটি স্মৃতিবিজড়িত সম্পদ। আমার বাবার স্মৃতি জড়ানো এই বাইসাইকেলটির প্রতি আমার গভীর মমতা রয়েছে। এই বাইসাইকেলটি আমার বাবার স্মৃতি। আমি এটিকে ভালোবাসি এবং যত্ন করি। আশা করি, আমার মৃত্যুর পর আমার সন্তানরা এটিকে যত্নে রাখবে।’

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রায় ৭০ বছর আগে ইংল্যান্ডের ফিলিপস কোম্পানির তৈরি এই বাইসাইকেলটি এখন একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। রফিকের বাইসাইকেলটি শুধু তার ব্যক্তিগত সম্পদ নয়, বরং দ্বিচক্র যানের জগতে একটি ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে ধরতেও দ্বিধা নেই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত

৭০ বছরের পুরোনো বাইসাইকেলে চড়ে বেড়াচ্ছেন রফিক

আপডেট সময় : ০৫:৩২:১৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সময়ের পরিক্রমায় অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও চুয়াডাঙ্গার চা-দোকানি আনোয়ার হোসেন রফিকের জীবনে একটি বিশেষ জিনিস রয়ে গেছে অক্ষুণ্ন। প্রায় ৭০ বছর ধরে টিকে থাকা ফিলিপস কোম্পানির মেইড ইন ইংল্যান্ড বাইসাইকেলটি আজও রফিকের চলার সঙ্গী। ১৯৮৩ সাল থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুলিশ পার্ক লেনের চা দোকানে আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে বাজার করা, সব কাজেই ব্যবহার করছেন বাইসাইকেলটি। রফিকের বাবা নাসির উদ্দীন মন্ডল পাকিস্তান আমলে মাত্র ১২৫ টাকায় সাইকেলটি কিনেছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর কয়েক বছর সাইকেলটি অযত্নে পড়ে থাকলেও ১৯৮৩ সালে বড় ছেলে রফিক এটি ব্যবহার শুরু করেন।

ফিলিপস ব্র্যান্ডের এই ইংল্যান্ডের তৈরি বাইসাইকেলটির হ্যান্ডেলে খোদায় করা রয়েছে ‘ফিলিপস- মেইড ইন ইংল্যান্ড’। প্রায় ৪১ বছর ধরে বাইসাইকেলটি ব্যবহার করলেও এটি আজও তার রূপ ও কার্যকারিতা বজায় রেখেছে। রফিকের মতোই বাইসাইকেলটিও এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তার আশেপাশের দোকানদার ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পুরোনো বাইসাইকেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বাইসাইকেলটির টিকে থাকা ও এর ঐতিহ্যের প্রতি তাদের সম্মান প্রকাশ পেয়েছে রফিকের প্রতি আন্তরিকতায়।
রফিকের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে। প্রতিদিনের দোকানে যাতায়াত থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত সব কাজেই তার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী এই সাইকেল। সময়ের স্রোতে বাইসাইকেলটির বয়স বেড়েছে, কিন্তু রফিক তার প্রতি ভালোবাসা ও যত্নে কোনো কমতি রাখেননি। স্থানীয়রা মনে করেন, এভাবে যত্ন নিলে বাইসাইকেলটি আরও অনেক বছর চলবে।

রফিক বলেন, ‘বাইসাইকেলটি আমার জন্য শুধু একটি যাতায়াতের বাহন নয়, বরং একটি স্মৃতিবিজড়িত সম্পদ। আমার বাবার স্মৃতি জড়ানো এই বাইসাইকেলটির প্রতি আমার গভীর মমতা রয়েছে। এই বাইসাইকেলটি আমার বাবার স্মৃতি। আমি এটিকে ভালোবাসি এবং যত্ন করি। আশা করি, আমার মৃত্যুর পর আমার সন্তানরা এটিকে যত্নে রাখবে।’

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রায় ৭০ বছর আগে ইংল্যান্ডের ফিলিপস কোম্পানির তৈরি এই বাইসাইকেলটি এখন একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। রফিকের বাইসাইকেলটি শুধু তার ব্যক্তিগত সম্পদ নয়, বরং দ্বিচক্র যানের জগতে একটি ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে ধরতেও দ্বিধা নেই।