শিরোনাম :
Logo নির্দোষ মানুষ কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo শিক্ষার মান উন্নয়নে পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের পরিদর্শন Logo ১০ ঘণ্টা পর কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক ছাড়লেন অবরোধকারী শিক্ষকরা Logo জাবি ছাত্রদলের দু’গ্রুপের মধ্যে ফের বাক-বিতণ্ডা ও হাতাহাতি Logo পঞ্চগড়ের আটোয়ারী আলোয়াখোয়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক বৌমা ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ Logo জামাত নেতা হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার Logo সিরাজগঞ্জে পেঁপে চাষে সাফল্যের মুখে রাসেল! Logo বীরগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে পোনা মাছ অবমুক্তকরন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা Logo বীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের কক্সবাজার- টেকনাফ সড়ক অবরোধ”

যে তিন কারণে এবার জাতীয় সংগীতের পরিবর্তন চাইলেন কর্নেল অলি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:২২:৫৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

এবার তিনটি কারণ দেখিয়ে জাতীয় সংগীতের পরিবর্তন চাইলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। তিনি বলেছেন, বিভ্রান্তিকর জিনিসগুলো নিয়ে যদি জাতীয় সংগীত হয়, তাহলে এটা আমাদের সমগ্র জাতির জন্য অবমাননাকর।

আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন এলডিপি প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, আমি তিনটা কারণে বলেছি, এ জাতীয় সংগীত গ্রহণযোগ্য নয়।

এক নম্বর হলো, এটা যখন বানিয়েছিল, তখন বাংলাদেশ স্বাধীন হবে, এমন কোনো সম্ভাবনা ছিল না। সুতরাং, বাংলাদেশকে নিয়ে এ গানটা রচিত হয় নাই। দুই নম্বর হলো, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক এ গানটা রচনা করেননি। তিন নম্বর হলো, এই গানটাতে সুরটা নকল করা হয়েছে।

এরপর তিনি যোগ করেন, এরকমের বিভ্রান্তকর জিনিসগুলো নিয়ে যদি জাতীয় সঙ্গীত হয়, তাহলে এটা আমাদের সমগ্র জাতির জন্য অবমাননাকর।

এর আগে, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ও সংবিধান পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। ৮ বছর গুম থাকার পর গত ৭ আগস্ট মুক্তি পান তিনি। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের তিনি নিজের গুমজীবনের অভিজ্ঞতা ও নানা ইচ্ছার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমি এ জাতীয় সংগীত এই সরকারের ওপর ছেড়ে দিলাম। আমাদের এখন যে জাতীয় সংগীত রয়েছে সেটি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের পরিপন্থি। এটা দুই বাংলা এক করার জন্য বঙ্গভঙ্গ রদের সময়কে উপস্থাপন করে। যে সংগীত দুই বাংলা এক করার জন্য করা হয় সেটা কীভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হতে পারে? এই সংগীত ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের ওপরে চাপিয়ে দিয়েছিল। জাতীয় সংগীত করার জন্য অনেক গান রয়েছে। এই সরকারের উচিত একটা নতুন কমিশন গঠন করে একটি নতুন জাতীয় সংগীত তৈরি করা।

আমান আযমীর এ মন্তব্যের পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরপর নানা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এই জাতীয় সংগীত নিয়ে কথা বলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্দোষ মানুষ কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যে তিন কারণে এবার জাতীয় সংগীতের পরিবর্তন চাইলেন কর্নেল অলি

আপডেট সময় : ০১:২২:৫৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এবার তিনটি কারণ দেখিয়ে জাতীয় সংগীতের পরিবর্তন চাইলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। তিনি বলেছেন, বিভ্রান্তিকর জিনিসগুলো নিয়ে যদি জাতীয় সংগীত হয়, তাহলে এটা আমাদের সমগ্র জাতির জন্য অবমাননাকর।

আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন এলডিপি প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, আমি তিনটা কারণে বলেছি, এ জাতীয় সংগীত গ্রহণযোগ্য নয়।

এক নম্বর হলো, এটা যখন বানিয়েছিল, তখন বাংলাদেশ স্বাধীন হবে, এমন কোনো সম্ভাবনা ছিল না। সুতরাং, বাংলাদেশকে নিয়ে এ গানটা রচিত হয় নাই। দুই নম্বর হলো, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক এ গানটা রচনা করেননি। তিন নম্বর হলো, এই গানটাতে সুরটা নকল করা হয়েছে।

এরপর তিনি যোগ করেন, এরকমের বিভ্রান্তকর জিনিসগুলো নিয়ে যদি জাতীয় সঙ্গীত হয়, তাহলে এটা আমাদের সমগ্র জাতির জন্য অবমাননাকর।

এর আগে, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ও সংবিধান পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। ৮ বছর গুম থাকার পর গত ৭ আগস্ট মুক্তি পান তিনি। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের তিনি নিজের গুমজীবনের অভিজ্ঞতা ও নানা ইচ্ছার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমি এ জাতীয় সংগীত এই সরকারের ওপর ছেড়ে দিলাম। আমাদের এখন যে জাতীয় সংগীত রয়েছে সেটি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের পরিপন্থি। এটা দুই বাংলা এক করার জন্য বঙ্গভঙ্গ রদের সময়কে উপস্থাপন করে। যে সংগীত দুই বাংলা এক করার জন্য করা হয় সেটা কীভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হতে পারে? এই সংগীত ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের ওপরে চাপিয়ে দিয়েছিল। জাতীয় সংগীত করার জন্য অনেক গান রয়েছে। এই সরকারের উচিত একটা নতুন কমিশন গঠন করে একটি নতুন জাতীয় সংগীত তৈরি করা।

আমান আযমীর এ মন্তব্যের পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরপর নানা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এই জাতীয় সংগীত নিয়ে কথা বলেন।