শিরোনাম :
Logo মাদকবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শ্যামনগরের ছফিরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় Logo সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বিভাগ-১ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার ভূঁইয়ারা গ্রামে বিয়ের ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপারের তদন্ত Logo কচুয়ার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত জাকির হোসেন মোল্লা Logo সিরাজগঞ্জ কারাগারে আওয়ামীলীগ নেতার মৃত্যু Logo সিসা দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে খুবিতে নানা কর্মসূচি Logo ইবিতে সাজিদ হত্যা তদন্তে সন্দেহভাজন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান  Logo সিরাক-বাংলাদেশের উদ্যোগে চাঁদপুরে স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo স্টারমারের সফরে ইউরোফাইটার ক্রয় চুক্তিতে নজর তুরস্কের Logo বিলিয়নিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নতুন সরকার গঠনের দায়িত্ব দিলেন চেক প্রেসিডেন্ট

যে তিন কারণে এবার জাতীয় সংগীতের পরিবর্তন চাইলেন কর্নেল অলি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:২২:৫৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

এবার তিনটি কারণ দেখিয়ে জাতীয় সংগীতের পরিবর্তন চাইলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। তিনি বলেছেন, বিভ্রান্তিকর জিনিসগুলো নিয়ে যদি জাতীয় সংগীত হয়, তাহলে এটা আমাদের সমগ্র জাতির জন্য অবমাননাকর।

আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন এলডিপি প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, আমি তিনটা কারণে বলেছি, এ জাতীয় সংগীত গ্রহণযোগ্য নয়।

এক নম্বর হলো, এটা যখন বানিয়েছিল, তখন বাংলাদেশ স্বাধীন হবে, এমন কোনো সম্ভাবনা ছিল না। সুতরাং, বাংলাদেশকে নিয়ে এ গানটা রচিত হয় নাই। দুই নম্বর হলো, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক এ গানটা রচনা করেননি। তিন নম্বর হলো, এই গানটাতে সুরটা নকল করা হয়েছে।

এরপর তিনি যোগ করেন, এরকমের বিভ্রান্তকর জিনিসগুলো নিয়ে যদি জাতীয় সঙ্গীত হয়, তাহলে এটা আমাদের সমগ্র জাতির জন্য অবমাননাকর।

এর আগে, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ও সংবিধান পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। ৮ বছর গুম থাকার পর গত ৭ আগস্ট মুক্তি পান তিনি। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের তিনি নিজের গুমজীবনের অভিজ্ঞতা ও নানা ইচ্ছার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমি এ জাতীয় সংগীত এই সরকারের ওপর ছেড়ে দিলাম। আমাদের এখন যে জাতীয় সংগীত রয়েছে সেটি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের পরিপন্থি। এটা দুই বাংলা এক করার জন্য বঙ্গভঙ্গ রদের সময়কে উপস্থাপন করে। যে সংগীত দুই বাংলা এক করার জন্য করা হয় সেটা কীভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হতে পারে? এই সংগীত ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের ওপরে চাপিয়ে দিয়েছিল। জাতীয় সংগীত করার জন্য অনেক গান রয়েছে। এই সরকারের উচিত একটা নতুন কমিশন গঠন করে একটি নতুন জাতীয় সংগীত তৈরি করা।

আমান আযমীর এ মন্তব্যের পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরপর নানা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এই জাতীয় সংগীত নিয়ে কথা বলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাদকবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শ্যামনগরের ছফিরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়

যে তিন কারণে এবার জাতীয় সংগীতের পরিবর্তন চাইলেন কর্নেল অলি

আপডেট সময় : ০১:২২:৫৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এবার তিনটি কারণ দেখিয়ে জাতীয় সংগীতের পরিবর্তন চাইলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। তিনি বলেছেন, বিভ্রান্তিকর জিনিসগুলো নিয়ে যদি জাতীয় সংগীত হয়, তাহলে এটা আমাদের সমগ্র জাতির জন্য অবমাননাকর।

আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন এলডিপি প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, আমি তিনটা কারণে বলেছি, এ জাতীয় সংগীত গ্রহণযোগ্য নয়।

এক নম্বর হলো, এটা যখন বানিয়েছিল, তখন বাংলাদেশ স্বাধীন হবে, এমন কোনো সম্ভাবনা ছিল না। সুতরাং, বাংলাদেশকে নিয়ে এ গানটা রচিত হয় নাই। দুই নম্বর হলো, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক এ গানটা রচনা করেননি। তিন নম্বর হলো, এই গানটাতে সুরটা নকল করা হয়েছে।

এরপর তিনি যোগ করেন, এরকমের বিভ্রান্তকর জিনিসগুলো নিয়ে যদি জাতীয় সঙ্গীত হয়, তাহলে এটা আমাদের সমগ্র জাতির জন্য অবমাননাকর।

এর আগে, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ও সংবিধান পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। ৮ বছর গুম থাকার পর গত ৭ আগস্ট মুক্তি পান তিনি। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের তিনি নিজের গুমজীবনের অভিজ্ঞতা ও নানা ইচ্ছার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমি এ জাতীয় সংগীত এই সরকারের ওপর ছেড়ে দিলাম। আমাদের এখন যে জাতীয় সংগীত রয়েছে সেটি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের পরিপন্থি। এটা দুই বাংলা এক করার জন্য বঙ্গভঙ্গ রদের সময়কে উপস্থাপন করে। যে সংগীত দুই বাংলা এক করার জন্য করা হয় সেটা কীভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হতে পারে? এই সংগীত ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের ওপরে চাপিয়ে দিয়েছিল। জাতীয় সংগীত করার জন্য অনেক গান রয়েছে। এই সরকারের উচিত একটা নতুন কমিশন গঠন করে একটি নতুন জাতীয় সংগীত তৈরি করা।

আমান আযমীর এ মন্তব্যের পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরপর নানা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এই জাতীয় সংগীত নিয়ে কথা বলেন।