শিরোনাম :
Logo বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা Logo সিন্ডিকেটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo ফিটনেসবিহীন কুবির বিআরটিসি বাসে আগুন Logo চাঁদপুরে টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo খুুবি উপাচার্যের সাথে হিট প্রজেক্টপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মতবিনিময় Logo চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিটি স্তরে সেবা গ্রহীতাদের স্বস্তি Logo নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন  Logo নারী হেনস্থা ও সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ Logo চাঁদপুর মডেল থানায় ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ইবি’র দুই নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে কমিটি পুনর্গঠন

পদ্মার পানি বাড়েনি, বরং কমেছে : পাউবো

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৩৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৪১ বার পড়া হয়েছে

বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যা পরিস্থিতির কারণে ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত। তবে এখন পর্যন্ত এর প্রভাব পড়েনি রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ১৫ ঘণ্টায় জেলার তিনটি গেজস্টেশন পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বাড়েনি; বরং কমেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর বিভাগ) উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান জানান, গত ১৫ ঘণ্টায় পাংশার সেনগ্রাম গেজস্টেশন পয়েন্ট ও সদরের মহেন্দ্রপুর গেজস্টেশন পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বাড়েনি। তবে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া গেজস্টেশন পয়েন্টে পানি ৮ সেন্টিমিটার কমেছে।

তিনি বলেন, সেনগ্রাম গেজস্টেশন পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার। সেখনে পানি ৯ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। মহেন্দ্রপুর গেজস্টেশন পয়েন্টে পানির বিপৎসীমার ৯ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সেখনে পানি ৮ দশমিক ১১ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। আর দৌলতদিয়া গেজস্টেশন পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার। সেখানে পানি ৬ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ জেলার তিনটি গেজস্টেশন পয়েন্টেই পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মো. হাফিজুর রহমান আরো বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের পানি রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে আসতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগতে পারে। তবে পানি খুব বেশি বাড়ার আশঙ্কা নেই।

পানি বাড়লে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট, মিজানপুর, খানগঞ্জ, কালুখালীর রতনদিয়া, হরিণবাড়িয়া, পাংশার বাহাদুরপুর, হাবাসপুর ও গোয়ালন্দের দেবগ্রাম এবং দৌলতদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে পারে। তবে পানি রাজবাড়ী শহর রক্ষার বেড়িবাঁধ পাড় হওয়ার আশঙ্কা নেই। কারণ পানি বেড়িবাঁধ পাড় হতে গেলে নদীতে অন্তত ১৭ ফিট পানি বাড়তে হবে। এত পরিমাণ পানি বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তাই জেলাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন পাউবোর ওই কর্মকর্তা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

পদ্মার পানি বাড়েনি, বরং কমেছে : পাউবো

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৩৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪

বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যা পরিস্থিতির কারণে ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত। তবে এখন পর্যন্ত এর প্রভাব পড়েনি রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ১৫ ঘণ্টায় জেলার তিনটি গেজস্টেশন পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বাড়েনি; বরং কমেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর বিভাগ) উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান জানান, গত ১৫ ঘণ্টায় পাংশার সেনগ্রাম গেজস্টেশন পয়েন্ট ও সদরের মহেন্দ্রপুর গেজস্টেশন পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বাড়েনি। তবে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া গেজস্টেশন পয়েন্টে পানি ৮ সেন্টিমিটার কমেছে।

তিনি বলেন, সেনগ্রাম গেজস্টেশন পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার। সেখনে পানি ৯ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। মহেন্দ্রপুর গেজস্টেশন পয়েন্টে পানির বিপৎসীমার ৯ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সেখনে পানি ৮ দশমিক ১১ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। আর দৌলতদিয়া গেজস্টেশন পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার। সেখানে পানি ৬ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ জেলার তিনটি গেজস্টেশন পয়েন্টেই পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মো. হাফিজুর রহমান আরো বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের পানি রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে আসতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগতে পারে। তবে পানি খুব বেশি বাড়ার আশঙ্কা নেই।

পানি বাড়লে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট, মিজানপুর, খানগঞ্জ, কালুখালীর রতনদিয়া, হরিণবাড়িয়া, পাংশার বাহাদুরপুর, হাবাসপুর ও গোয়ালন্দের দেবগ্রাম এবং দৌলতদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে পারে। তবে পানি রাজবাড়ী শহর রক্ষার বেড়িবাঁধ পাড় হওয়ার আশঙ্কা নেই। কারণ পানি বেড়িবাঁধ পাড় হতে গেলে নদীতে অন্তত ১৭ ফিট পানি বাড়তে হবে। এত পরিমাণ পানি বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তাই জেলাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন পাউবোর ওই কর্মকর্তা।