হালদার বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে ফটিকছড়ি-হাটহাজারী

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:০২ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৩২ বার পড়া হয়েছে

নাজিরহাট পুরাতন ব্রিজ এলাকায় হালদা নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে করে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ইতোমধ্যে হাটহাজারীর নাজিরহাট, মন্দাকিনী ফরহাদাবাদ এবং সুয়াবিল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দিনগত রাত ১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথা জানান।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার (২১ আগস্ট) রাতেই উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের সবকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বেঁড়িবাধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে হাটহাজারীর ফরহাদাবাদের ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ধুরং ও হালদা নদীতে পানির চাপ বাড়ায় অন্তত ১৬টি স্থানে ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ। উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামীণ সড়ক পানিতে ডুবে রয়েছে। ঘরবাড়িতে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলি জমির।

বন্যার কারণে ফটিকছড়ি থেকে হেঁয়াকো রামগড় সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিতে ডুবে রয়েছে উপজেলার মাইজভান্ডার-রাউজান সড়কও।

স্থানীয়রা জানান, ফটিকছড়ির সুন্দরপুর, ভুজপুর, বাগানবাজার, পাইন্দং এলাকার অবস্থা বেশি খারাপ। এ মুহূর্তে নাজিরহাটে হালদার পানি চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে ওপর দিয়ে গড়াচ্ছে।

রাত ১টায় সুন্দরপুরের হরিণাদিঘি এলাকায় থেকে সিরাত মঞ্জুর নামে এক সাংবাদিক জানান, তাদের বাড়িসহ আশপাশের এলাকাটি মোটামুটি উঁচু স্থানে। কিন্তু এ মুহূর্তে পাড়ার মসজিদ ও লোকালয় তলিয়ে আছে। পানি প্রবেশ করেছে তার নিজ বাড়িতেও।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজ্জামেল হক চৌধুরী বলেন, ‘ফটিকছড়ি দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদী ও বেশকিছু খালের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। পানিবন্দি লাখো মানুষ। ’ তিনি বলেন, ‘আমরা ১৮টি ইউনিয়নের জন্য ১৮ জন কর্মকর্তা নিয়োগ করেছি। তারা সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ আমাদের জানাচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি মনিটর করছে। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় লোকজনকে আশ্রয় দিতে আমরা ৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছি। ’

এ পরিস্থিতিতে বন্যাদুর্গতদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (০১৭৩৩৩৩৪৩৪৮), সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের প্রধানের নম্বর (০১৭৬৯০০৯৫৯৭) এবং বিজিবির উদ্ধারকারী দলের প্রধানের নম্বরে (০১৬৬৯৬০১৪৩১ ) যোগাযোগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হালদার বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে ফটিকছড়ি-হাটহাজারী

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:০২ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ আগস্ট ২০২৪

নাজিরহাট পুরাতন ব্রিজ এলাকায় হালদা নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে করে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ইতোমধ্যে হাটহাজারীর নাজিরহাট, মন্দাকিনী ফরহাদাবাদ এবং সুয়াবিল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দিনগত রাত ১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথা জানান।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার (২১ আগস্ট) রাতেই উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের সবকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বেঁড়িবাধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে হাটহাজারীর ফরহাদাবাদের ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ধুরং ও হালদা নদীতে পানির চাপ বাড়ায় অন্তত ১৬টি স্থানে ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ। উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামীণ সড়ক পানিতে ডুবে রয়েছে। ঘরবাড়িতে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলি জমির।

বন্যার কারণে ফটিকছড়ি থেকে হেঁয়াকো রামগড় সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিতে ডুবে রয়েছে উপজেলার মাইজভান্ডার-রাউজান সড়কও।

স্থানীয়রা জানান, ফটিকছড়ির সুন্দরপুর, ভুজপুর, বাগানবাজার, পাইন্দং এলাকার অবস্থা বেশি খারাপ। এ মুহূর্তে নাজিরহাটে হালদার পানি চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে ওপর দিয়ে গড়াচ্ছে।

রাত ১টায় সুন্দরপুরের হরিণাদিঘি এলাকায় থেকে সিরাত মঞ্জুর নামে এক সাংবাদিক জানান, তাদের বাড়িসহ আশপাশের এলাকাটি মোটামুটি উঁচু স্থানে। কিন্তু এ মুহূর্তে পাড়ার মসজিদ ও লোকালয় তলিয়ে আছে। পানি প্রবেশ করেছে তার নিজ বাড়িতেও।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজ্জামেল হক চৌধুরী বলেন, ‘ফটিকছড়ি দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদী ও বেশকিছু খালের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। পানিবন্দি লাখো মানুষ। ’ তিনি বলেন, ‘আমরা ১৮টি ইউনিয়নের জন্য ১৮ জন কর্মকর্তা নিয়োগ করেছি। তারা সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ আমাদের জানাচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি মনিটর করছে। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় লোকজনকে আশ্রয় দিতে আমরা ৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছি। ’

এ পরিস্থিতিতে বন্যাদুর্গতদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (০১৭৩৩৩৩৪৩৪৮), সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের প্রধানের নম্বর (০১৭৬৯০০৯৫৯৭) এবং বিজিবির উদ্ধারকারী দলের প্রধানের নম্বরে (০১৬৬৯৬০১৪৩১ ) যোগাযোগের আহ্বান জানানো হয়েছে।