চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থী অপহরণ করে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৯:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪
  • ৭২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজিস্ব প্রতিবেদকঃ

চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে (১৫) অপহরণ করে হত্যার দায়ে আসামি মো. মামুনকে (৩০) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকার সোমবার চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় প্রদান করেন। আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন হাসু জানান, ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের অস্টম শ্রেণীর ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে আসামি মো. মামুনসহ চারজন অপরহরণ করে। তারপর তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা প্রদান না করে পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশ ও র‌্যাবকে অবহিত করে। ঘটনার দুই দিন পর মাহফুজ আলম সজিবের লাশ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিএন্ডবি পাড়ার একটি বাড়ির ঢাকনা খোলা সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করে র‌্যাব।

এ ঘটনায় নিহত সজিবের মামা মোঃ আব্দুল হালিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মামুনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর মামলার তিনজন আসামি ক্রসফায়ারে নিহত হন। জীবিত থাকে একমাত্র মো. মামুন। আসামি মো. মামুন দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।

মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আব্দুল খালেক তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে থানায় চার্জশিট প্রদান করেন। মামলার মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি মোঃ মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মোঃ মামুনকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ দেন আদালতের বিচারক মোঃ মাসুদ আলী। মামলায় রায়ে আসামিকে আরো ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থী অপহরণ করে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

আপডেট সময় : ০৪:৪৯:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪

নিজিস্ব প্রতিবেদকঃ

চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে (১৫) অপহরণ করে হত্যার দায়ে আসামি মো. মামুনকে (৩০) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকার সোমবার চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় প্রদান করেন। আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন হাসু জানান, ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের অস্টম শ্রেণীর ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে আসামি মো. মামুনসহ চারজন অপরহরণ করে। তারপর তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা প্রদান না করে পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশ ও র‌্যাবকে অবহিত করে। ঘটনার দুই দিন পর মাহফুজ আলম সজিবের লাশ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিএন্ডবি পাড়ার একটি বাড়ির ঢাকনা খোলা সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করে র‌্যাব।

এ ঘটনায় নিহত সজিবের মামা মোঃ আব্দুল হালিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মামুনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর মামলার তিনজন আসামি ক্রসফায়ারে নিহত হন। জীবিত থাকে একমাত্র মো. মামুন। আসামি মো. মামুন দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।

মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আব্দুল খালেক তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে থানায় চার্জশিট প্রদান করেন। মামলার মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি মোঃ মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মোঃ মামুনকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ দেন আদালতের বিচারক মোঃ মাসুদ আলী। মামলায় রায়ে আসামিকে আরো ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।