তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার ৫০ ভাগই তরুণ, কিন্তু এই তরুণদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিল না বললেই চলে। তবে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনায় এই তরুণ প্রজন্মকে সামনে নিয়েই কার্যক্রম পরিচালনা করবো।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন রিজওয়ানা হাসান।
ছাত্ররা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে, তারা কী নতুন সরকারেও কাজে লাগবে?—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশা করবো অবশ্যই তারা আমাদের কাজে লাগবে। আমাদের জনসংখ্যার ৫০ ভাগই তরুণ, কিন্তু এই তরুণদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিল না বললেই চলে। দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে তারাও যে প্রাসঙ্গিক হতে পারে, আমরা সেটি এতদিন ভাবিনি। এই প্রজন্ম নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা প্রমাণ করেছে। তারা অবশ্যই দেশের দায়িত্ব নেবেন। তরুণরাই একসময়ের দেশের নেতা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশের সংকটময় মুহূর্তে কাউকে না কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে। কাজটা যদি সততার সঙ্গে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে করা যায়, সেই কাজটি তো কঠিন কোনো বিষয় নয়। বিশ্বের অনেক দেশ গণতান্ত্রিক হয়েছে, অনেক দেশে জবাবদিহিতামূলক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ তো মানবাধিকারকে সমুন্নত রেখেছে। তাহলে আমার দেশে কেন পারা যাবে না? আমরা শুরু করেছি, দেখা যাক কোনদিকে যাই।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রসমাজ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পদত্যাগ ঘটিয়েছে। তাদের দাবিগুলো অবশ্যই আমাদের পূরণ করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের সাধারণ মানুষ খুব কষ্ট পাচ্ছে, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি একটা বড় কারণ। আমরা যদি দেখি, যেসব জনতা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নেমেছিল তাদের অধিকাংশই রিকশাওয়ালা, তাদের অধিকাংশই একেবারে সাধারণ মানুষ। সেজন্য আমাদের অনেক দায়বদ্ধতা রয়েছে।