স্থানীয় এক কৃষক বলেন, সকালে মাঠে ঘাষ কাটছিলাম। এসময় একটি খেজুর গাছের গোড়ায় সাপটি পেঁচিয়ে থাকতে দেখি। এসময় আরও কয়েকজনকে ডেকে সাপটি মেরে গ্রামের দিকে নিয়ে আসি।
স্থানীয় যুবক প্লাবন বলেন, ফেসবুকে রাসেলস ভাইপার সাপ দেখেছি, এখন বাস্তবে দেখলাম। এত বড় সাপ আমাদের এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়ায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
প্রান্তীক কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন, যে মাঠ থেকে এই সাপটি উদ্ধার হয়েছে, সেই মাঠে ধান, পাটসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হচ্ছে। এখন সাপের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় কেউ মাঠে যেতে চাচ্ছে না। এবার চাষ নিয়ে মহাবিপাকে পড়তে হবে আমাদের।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মেদিনীপুর গ্রামের মাঠ থেকে বুধবার সকালে কৃষকরা একটি সাপ মেরেছে এটা শুনেছি। তবে সাপটি রাসেলস ভাইপার কি না, সঠিক জানি না। তবে সাপটা অনেক বড় এবং মোটাসোটা। এ নিয়ে এলাকায় সাপের আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
জীবননগর উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাজল হোসেন বলেন, ‘মেদিনীপুর গ্রামের মাঠ থেকে যে সাপটি উদ্ধার হয়েছে, এটি আসলে রাসেলস ভাইপার সাপ কি না তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। বন বিভাগের লোকজন সেখানে পৌঁছানোর পূর্বেই গ্রামবাসী সাপটি পুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলে।