শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান :প্রধানমন্ত্রী!

  • আপডেট সময় : ০২:৫৪:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮১৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, দক্ষ শ্রমশক্তির পাশাপাশি দক্ষ ব্যবস্থাপক ও পেশাজীবী তৈরির মাধ্যমে এক্ষেত্রে বিরাজমান পরনির্ভরশীলতা দূর করে জাতীয় সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘দক্ষতা, নিয়োগ যোগ্যতা এবং শোভন কাজ’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে শিল্পের চাহিদার সমন্বয় ঘটাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিল্পের প্রয়োজনে দক্ষ ব্যবস্থাপক তৈরির লক্ষ্যে যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু করার আহ্বান জানাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সীমিত সম্পদের অতি ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। একটা সময় ছিল যখন কৃষিই ছিল অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শুধু কৃষিখাত এই বিপুল জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা মেটানো পারছিলো না। তাই ধীরে হলেও আমাদের অর্থনীতি শিল্প এবং সেবাখাতের দিকে অগ্রসর হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি মূলত তৈরি পোশাক ও সীমিত সংখ্যক বৈদেশিক বাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। ভবিষ্যৎ অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের পণ্যের বৈচিত্র্য ও বাজার সম্প্রসারণ একান্তভাবে প্রয়োজন। সরকার পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা হাতে নিয়েছে। তবে শুধু প্রণোদনা যথেষ্ট নয়, আমাদের মূলধন ও প্রযুক্তিতে বেশি বিনিয়োগ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন করতে হবে। তৈরি পোশাকসহ যেসব পণ্য উৎপাদন হয় সেগুলোর মজুরি বৃদ্ধি, উন্নতমান ও মূল্য‌ বৃদ্ধি যাতে হয়, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী শিল্প ও পণ্যের সাপ্লাইচেইনে টিকে থাকতে হলে দক্ষ শ্রমশক্তির পাশাপাশি দক্ষ ব্যবস্থাপক ও দক্ষ পেশাজীবী তৈরি করেত হবে। এর মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে বিরাজমান পরনির্ভশীলতা দূর করে জাতীয় সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ইনস্টিটিউটগুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে শিল্পের চাহিদার সমন্বয় ঘটাতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিল্পের প্রয়োজনে দক্ষ ব্যবস্থাপক তৈরির লক্ষ্যে যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা চালু করার আহ্বান জানান তিনি।

এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি অর্থনীতি, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান :প্রধানমন্ত্রী!

আপডেট সময় : ০২:৫৪:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, দক্ষ শ্রমশক্তির পাশাপাশি দক্ষ ব্যবস্থাপক ও পেশাজীবী তৈরির মাধ্যমে এক্ষেত্রে বিরাজমান পরনির্ভরশীলতা দূর করে জাতীয় সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘দক্ষতা, নিয়োগ যোগ্যতা এবং শোভন কাজ’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে শিল্পের চাহিদার সমন্বয় ঘটাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিল্পের প্রয়োজনে দক্ষ ব্যবস্থাপক তৈরির লক্ষ্যে যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু করার আহ্বান জানাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সীমিত সম্পদের অতি ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। একটা সময় ছিল যখন কৃষিই ছিল অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শুধু কৃষিখাত এই বিপুল জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা মেটানো পারছিলো না। তাই ধীরে হলেও আমাদের অর্থনীতি শিল্প এবং সেবাখাতের দিকে অগ্রসর হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি মূলত তৈরি পোশাক ও সীমিত সংখ্যক বৈদেশিক বাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। ভবিষ্যৎ অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের পণ্যের বৈচিত্র্য ও বাজার সম্প্রসারণ একান্তভাবে প্রয়োজন। সরকার পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা হাতে নিয়েছে। তবে শুধু প্রণোদনা যথেষ্ট নয়, আমাদের মূলধন ও প্রযুক্তিতে বেশি বিনিয়োগ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন করতে হবে। তৈরি পোশাকসহ যেসব পণ্য উৎপাদন হয় সেগুলোর মজুরি বৃদ্ধি, উন্নতমান ও মূল্য‌ বৃদ্ধি যাতে হয়, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী শিল্প ও পণ্যের সাপ্লাইচেইনে টিকে থাকতে হলে দক্ষ শ্রমশক্তির পাশাপাশি দক্ষ ব্যবস্থাপক ও দক্ষ পেশাজীবী তৈরি করেত হবে। এর মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে বিরাজমান পরনির্ভশীলতা দূর করে জাতীয় সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ইনস্টিটিউটগুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে শিল্পের চাহিদার সমন্বয় ঘটাতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিল্পের প্রয়োজনে দক্ষ ব্যবস্থাপক তৈরির লক্ষ্যে যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা চালু করার আহ্বান জানান তিনি।

এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি অর্থনীতি, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।