সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব Logo কচুয়ায় ইউএনও হেলাল চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা Logo জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা সভাপতি রিংকু, সম্পাদক ফরহাদ

গাইবান্ধায় বন্যায় ৯৪৩টি পুকুর ও জলাশয়ের মাছ ভেসে সাড়ে ৪ কোটি টাকার ক্ষতি

  • আপডেট সময় : ১১:২৫:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ আগস্ট ২০২০
  • ৭৯৯ বার পড়া হয়েছে

বায়েজীদ  (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :

গাইবান্ধা তিন দফা লাগাতার বন্যায় গাইবান্ধার ৫টি উপজেলার ছোট বড় ৯৪৩টি পুকুর ও খাল-বিলের মাছ আকস্মিক বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে পেশাদার মৎস্য চাষী এবং সরকারি খাস জলাশয় লীজ নিয়ে যে ৬৭৭ জন দরিদ্র মৎস্যজীবি সমিতি করে মাছ চাষ করেছিল তারা তাদের স্বল্প পুজি হারিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। উল্লেখ্য, মাছ ভেসে যাওয়ায় এতে তাদের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

জানা গেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলায় তিনদফা দীর্ঘস্থায়ী এবং আকস্মিক বন্যার পানিতে হঠাৎ করেই পুকুর ও জলাশয়গুলো উপচে পড়ায় তাতে চাষ করা মাছ ও মাছের পোনাগুলো মুহুর্তেই ভেসে যায়। সদর উপজেল্যার গিদারী ইউনিয়নের মৎস্য চাষীদের টিপু মিয়া জানান, প্রায় ৬ লাখ টাকার মত পুঁজি খাটিয়ে পুকুর পার জাল দিয়ে ঘেরা দিলেও বন্যার পানিতে মাছ ভেসে গেছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তিনি মৎস্য বিভাগের কাছে স্বল্প সুদে ঋণ এবং বিনামূল্যে মাছের পোনা প্রত্যাশা করছেন।

 

ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া এলাকার মৎস্য চাষি বাদল চন্দ্র দাস জানান, ঋণ নিয়ে এ বছরে দেড় একর আয়তনের পুকুরে মাছ চাষ করেছিল। বন্যার পানিতে তার পুকুর ভেসে গেছে। এতে তার প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। একই তথ্য জানালেন কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভাষারপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবি চাষী খলিলুর রহমান। হঠাৎ করে পানি এসে জাল সব ছিড়ে গেছে তারও প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তারাও পুনঃরায় মাছ চাষের জন্য সরকারি ঋণ সহায়তা ও মাছের পোনা দাবি করেন।

 

এব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুদ দাইয়ান জানান, মাছ চাষিদের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বন্যায় করণীয় শীর্ষক লিফলেট মাছ চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তবে বন্যার পানি নেমে যাওার পর ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষিদের মধ্যে পোনা মাছ বিতরণের মাধ্যমে সরকারিভাবে পুনর্বাসন সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

গাইবান্ধায় বন্যায় ৯৪৩টি পুকুর ও জলাশয়ের মাছ ভেসে সাড়ে ৪ কোটি টাকার ক্ষতি

আপডেট সময় : ১১:২৫:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ আগস্ট ২০২০

বায়েজীদ  (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :

গাইবান্ধা তিন দফা লাগাতার বন্যায় গাইবান্ধার ৫টি উপজেলার ছোট বড় ৯৪৩টি পুকুর ও খাল-বিলের মাছ আকস্মিক বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে পেশাদার মৎস্য চাষী এবং সরকারি খাস জলাশয় লীজ নিয়ে যে ৬৭৭ জন দরিদ্র মৎস্যজীবি সমিতি করে মাছ চাষ করেছিল তারা তাদের স্বল্প পুজি হারিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। উল্লেখ্য, মাছ ভেসে যাওয়ায় এতে তাদের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

জানা গেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলায় তিনদফা দীর্ঘস্থায়ী এবং আকস্মিক বন্যার পানিতে হঠাৎ করেই পুকুর ও জলাশয়গুলো উপচে পড়ায় তাতে চাষ করা মাছ ও মাছের পোনাগুলো মুহুর্তেই ভেসে যায়। সদর উপজেল্যার গিদারী ইউনিয়নের মৎস্য চাষীদের টিপু মিয়া জানান, প্রায় ৬ লাখ টাকার মত পুঁজি খাটিয়ে পুকুর পার জাল দিয়ে ঘেরা দিলেও বন্যার পানিতে মাছ ভেসে গেছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তিনি মৎস্য বিভাগের কাছে স্বল্প সুদে ঋণ এবং বিনামূল্যে মাছের পোনা প্রত্যাশা করছেন।

 

ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া এলাকার মৎস্য চাষি বাদল চন্দ্র দাস জানান, ঋণ নিয়ে এ বছরে দেড় একর আয়তনের পুকুরে মাছ চাষ করেছিল। বন্যার পানিতে তার পুকুর ভেসে গেছে। এতে তার প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। একই তথ্য জানালেন কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভাষারপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবি চাষী খলিলুর রহমান। হঠাৎ করে পানি এসে জাল সব ছিড়ে গেছে তারও প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তারাও পুনঃরায় মাছ চাষের জন্য সরকারি ঋণ সহায়তা ও মাছের পোনা দাবি করেন।

 

এব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুদ দাইয়ান জানান, মাছ চাষিদের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বন্যায় করণীয় শীর্ষক লিফলেট মাছ চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তবে বন্যার পানি নেমে যাওার পর ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষিদের মধ্যে পোনা মাছ বিতরণের মাধ্যমে সরকারিভাবে পুনর্বাসন সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।