শিরোনাম :
Logo মৃত্যুদণ্ড বজায় রেখে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন Logo সিরাজদিখানে মরহুম হাজী জয়নাল আবেদীন মাষ্টার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের দুটি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে খুবিতে প্রকৌশল অধিকার দাবিতে মানববন্ধন Logo চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন প্রবাসফেরত ইসমাইল হোসেন Logo চিত্রা-নড়াইল জেলা ছাত্রকল্যাণ ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে আরমান ও বোরহান Logo চাঁদপুর সদরের জনবান্ধব ইউএনও সাখাওয়াত জামিল সৈকতকে লক্ষ্মীপুরের এডিসি পদে বদলী Logo বেরোবিতে ভর্তি পরীক্ষার আসন বরাদ্দে অনিময়ের অভিযোগ ; প্রশাসন বলছে শিক্ষার্থীদের বুঝার ভুল Logo প্রকাশিত হয়েছে কবি ও কথাসাহিত্যিক নুরুন্নাহার মুন্নির সাহিত্য পত্রিকা ‘আখ্যান’ Logo পলাশবাড়ী পৌর এলাকায় জমি জবর দখলের অভিযোগ Logo প্রবাসফেরত ইসমাইলের পাশে দাঁড়ালেন এনসিপি নেতা ডা. আরিফুল ইসলাম

ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের তিন শিক্ষক সাসপেন্ড : এমপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত

  • আপডেট সময় : ০৮:১১:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৭৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের তিন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার জন্য স্কুলটির পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আজ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে বলেন, অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায প্ররোচনাকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শাখা প্রধান এবং এক শ্রেণিশিক্ষককে চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা তদন্ত কমিটি। ইতোমধ্যে ওই তিন শিক্ষককে সাসপেন্ড করতে স্কুলটির পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়ের কমিটি।
নাহিদ বলেন, “আমরা অভিযুক্ত তিনি শিক্ষকের এমপিও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং পরিচালনা কমিটিকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অভিযুক্ত এই তিন শিক্ষক হলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনা।
এর আগে মঙ্গলবার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে অধ্যক্ষ-শিক্ষকসহ এই তিনজনকে আসামি করে পল্টন থানায় মামলা করেন অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী।
ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী অরিত্রী অধিকারী সোমবার রাজধাণীর শান্তিনগরের বাসায় তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে।
ছাত্রীটির বাবা দিলীপ অধিকারীর অভিযোগ, রোববার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সোমবার স্কুলে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে এবং মেয়ের টিসি (ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুদণ্ড বজায় রেখে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের তিন শিক্ষক সাসপেন্ড : এমপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ০৮:১১:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের তিন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার জন্য স্কুলটির পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আজ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে বলেন, অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায প্ররোচনাকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শাখা প্রধান এবং এক শ্রেণিশিক্ষককে চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা তদন্ত কমিটি। ইতোমধ্যে ওই তিন শিক্ষককে সাসপেন্ড করতে স্কুলটির পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়ের কমিটি।
নাহিদ বলেন, “আমরা অভিযুক্ত তিনি শিক্ষকের এমপিও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং পরিচালনা কমিটিকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অভিযুক্ত এই তিন শিক্ষক হলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনা।
এর আগে মঙ্গলবার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে অধ্যক্ষ-শিক্ষকসহ এই তিনজনকে আসামি করে পল্টন থানায় মামলা করেন অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী।
ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী অরিত্রী অধিকারী সোমবার রাজধাণীর শান্তিনগরের বাসায় তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে।
ছাত্রীটির বাবা দিলীপ অধিকারীর অভিযোগ, রোববার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সোমবার স্কুলে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে এবং মেয়ের টিসি (ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছে।