শিরোনাম :
Logo ইবিতে সাজিদ হত্যা তদন্তে সন্দেহভাজন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান  Logo সিরাক-বাংলাদেশের উদ্যোগে চাঁদপুরে স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo স্টারমারের সফরে ইউরোফাইটার ক্রয় চুক্তিতে নজর তুরস্কের Logo বিলিয়নিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নতুন সরকার গঠনের দায়িত্ব দিলেন চেক প্রেসিডেন্ট Logo চাঁদপুরে কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo সিরাজগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে যুব সমাজের মানববন্ধন! Logo ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দল নিয়ে জোট করবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন Logo চাঁদপুরে যমুনা প্রিন্টিং হাউজের উদ্বোধন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ! Logo বিদায় বেলায় ৩ শতা‌ধিক শিক্ষার্থীদের খাবার প‌রি‌বেশন কর‌লেন শিক্ষক ঝুমকা রানী দাস। Logo তাড়াশে জমি দখল ও নকশা লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ!

ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের তিন শিক্ষক সাসপেন্ড : এমপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত

  • আপডেট সময় : ০৮:১১:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৭৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের তিন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার জন্য স্কুলটির পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আজ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে বলেন, অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায প্ররোচনাকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শাখা প্রধান এবং এক শ্রেণিশিক্ষককে চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা তদন্ত কমিটি। ইতোমধ্যে ওই তিন শিক্ষককে সাসপেন্ড করতে স্কুলটির পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়ের কমিটি।
নাহিদ বলেন, “আমরা অভিযুক্ত তিনি শিক্ষকের এমপিও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং পরিচালনা কমিটিকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অভিযুক্ত এই তিন শিক্ষক হলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনা।
এর আগে মঙ্গলবার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে অধ্যক্ষ-শিক্ষকসহ এই তিনজনকে আসামি করে পল্টন থানায় মামলা করেন অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী।
ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী অরিত্রী অধিকারী সোমবার রাজধাণীর শান্তিনগরের বাসায় তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে।
ছাত্রীটির বাবা দিলীপ অধিকারীর অভিযোগ, রোববার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সোমবার স্কুলে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে এবং মেয়ের টিসি (ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে সাজিদ হত্যা তদন্তে সন্দেহভাজন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান 

ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের তিন শিক্ষক সাসপেন্ড : এমপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ০৮:১১:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের তিন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার জন্য স্কুলটির পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আজ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে বলেন, অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায প্ররোচনাকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শাখা প্রধান এবং এক শ্রেণিশিক্ষককে চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা তদন্ত কমিটি। ইতোমধ্যে ওই তিন শিক্ষককে সাসপেন্ড করতে স্কুলটির পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়ের কমিটি।
নাহিদ বলেন, “আমরা অভিযুক্ত তিনি শিক্ষকের এমপিও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং পরিচালনা কমিটিকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অভিযুক্ত এই তিন শিক্ষক হলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনা।
এর আগে মঙ্গলবার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে অধ্যক্ষ-শিক্ষকসহ এই তিনজনকে আসামি করে পল্টন থানায় মামলা করেন অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী।
ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী অরিত্রী অধিকারী সোমবার রাজধাণীর শান্তিনগরের বাসায় তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে।
ছাত্রীটির বাবা দিলীপ অধিকারীর অভিযোগ, রোববার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সোমবার স্কুলে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে এবং মেয়ের টিসি (ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছে।