চুয়াডাঙ্গার রয়েল ব্লু হোটেলে তাকাফুল ইনস্যুরেন্সের বুথ খুলে প্রতারণা
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন হাসপাতাল সড়কের হোটেল আল মেরাজ (রয়েল ব্লু) এর তৃতীয় তলায় তাকাফুল ইসলামী নামের একটি জেনারেল ইনসুরেন্সের অফিস খুলে বসেছে দুই যুবক। অফিসে ব্যবস্থাপনায় রয়েছে অফিস সহকারী আব্দুর রব নামের এক যুবক ও কম্পিউটর অপারেটর হিসাবে মনিরুজ্জামান যুবক।
চুয়াডাঙ্গা শাখা বা বুথের কোনো প্রকার অনুমোদন এমন কি পৌর ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই এই দুই যুবক মিলে ‘তাকাফুল ইসলামী ইনসুরেন্স লিমিটেড’ কুষ্টিয়া ব্রাঞ্চের জিএম এন্ড ইনচার্জ হারুন অর রশীদ স্বাক্ষরিত ইনস্যুরেন্স সার্টিফিকেট দিয়ে চুয়াডাঙ্গা বুথের নামে দেদারচ্ছে মোটরসাইকেলের ইনস্যুরেন্স করে সাধারণ মোটরসাইকেল মালিকদের কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অফিসটির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের কথা জানার পর গত সোমবার সরজমিনে উক্ত হোটেল আলমেরাজ (রয়েল ব্লু) এর তৃতীয় তলায় যেয়ে অভিযোগকারীদের অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া য়ায়। উল্লেখিত ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর কোনো সাইন বোর্ড যেমন নেই তেমনি অফিসের দরজায় শাখা বা ব্রাঞ্চের কোনো বৈধ্য প্রমাণাদীও দেখাতে পারেনী অফিসে কর্মরত অফিসসহকারী আব্দুর রব। তিনি জানান, গত ২৩ জুলাই থেকে কুষ্টিয়া তাকাফুল ইনসলামী ইনস্যুরেন্স লিমিটেড শাখার জিএম এন্ড ইনচার্জ হারুন অর রশীদ এর নির্দেশে এবং তার স্বাক্ষরিত ইনস্যুরেন্স সার্টিফিকেটে দিয়ে একটি বুথ অফিস খুলে চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোটরসাইকেলের ইনস্যুরেন্স করে আসছে।
নিয়ম রয়েছে বাংলাদেশ বিমাবোর্ডের নির্ধারিত ও অনুমোদিত জেলার বাইরে শাখার কোনো বুথ খুলতে হলে উল্লেখিত বোর্ড ও কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ের এবং জেলা শাখা ইনচার্জের লিখিতি সনদ ছাড়া কেউ ইনস্যুরেন্সের ব্রাঞ্চ খুলে বসতে পারবে না। অথচ সকল অনিয়মতান্ত্রিকভাবে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাকি দিয়ে সাধারণ জনগনের মোটর সাইকেলের ইনস্যুরেন্সের সার্টিফিকেট দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এদিকে ইসলামী ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের চুয়াডাঙ্গা বুথটি কিসের বলে মোটরসাইেকেলে ইনস্যুরেন্সের কাজ করছে তার তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে দাবী জানিয়েছে এলাকার সাধারণ ও সচেতনমহল।
তবে, উল্লেখিত বুথের দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিস সহকারী আব্দুর রব বলেন, তাকাফুলের চুয়াডাঙ্গা বুথ ভুয়া না। তাকাফুল ইসলামী ইনস্যুরেন্স কুষ্টিয়া ব্রাঞ্চের জিএম এন্ড ইনচার্জ হারুন অর রশীদের নির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গায় বুথ খুলে কাজ করছে। তাদের সকল বৈধতা আছে। বর্তমানে বললে জিএম হজ পালনে দেশের বাইরে থাকায় বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারছে না। জিএম হজ পালন শেষে দেশে ফিরলে সকল বৈধ্য কাগজপত্র দেখানো যাবে।