শিরোনাম :
Logo সাবেক সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সভাপতি ছেলুন জোয়ার্দ্দার আর নেই Logo বিশ্বব্যাপী দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা দিলো ইসরায়েল Logo ইরানে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিল বাংলাদেশ Logo ‘কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সরবরাহের সম্ভাবনা নেই’ Logo ‘ইসরায়েল আন্তর্জাতিক নীতিমালা ভঙ্গ করেছে, বিশ্ব ঝুঁকিতে’ Logo বাংলাদেশ আর কোনো বিদেশি প্রভুর ইশারায় চলবে না: গোলাম পরওয়ার Logo ইরানে ইসরায়েলের বিমান হামলায় জামায়াতের তীব্র নিন্দা Logo যে কোনো সময় দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: আমীর খসরু Logo রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে: ড. ইউনূস Logo বাংলাদেশের মানুষের মাঝে ইসলামী গণজাগরণ সৃষ্টি হচ্ছে মাওলানা মাকসুদুর রহমান

নান্দাইল থানায় পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিতা কিশোরী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:১০:৪৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল মডেল থানার ভেতরে তিন দিন ধরে পুলিশ হেফাজতে থাকা ধর্ষিতা এক কিশোরী অরক্ষিত একটি কক্ষে বিদ্যুৎ স্পর্শে আহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম মিয়া সহ অন্য কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে নান্দাইল স্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থানার ভেতর কিশোরীর এমন ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। জানা যায়, ওই কিশোরী নান্দাইলের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। মোবাইলে ফোনে তার প্রেমের সম্পর্ক হয় স্থানীয় মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের পুত্র আল মামুন (২০) এর সাথে। মামুন বিয়ের কথা বলে বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মামুন চলে যেতে চাইলে কিশোরী তাকে বিয়ের কথা বললে সে রাজি হচ্ছিল না। পরে কিশোরীর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে মামুনকে ধরে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ কিশোরীসহ অভিযুক্ত মামুনকে থানায় এনে কিশোরীর মা শেফালী বেগমকে বাদী করে মামলা নেয়। মামলা নং ১৯/২০১৮। পরদিন অভিযুক্ত ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠালে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট তাকে জেলা হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ধর্ষিতা কিশোরী ও তার মা থানার ভেতরেই একটি কক্ষে অবস্থান করতে থাকে। এ অবস্থায় শনিবার সকালে পুলিশ ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নিয়ে যায়। কিন্তু ধর্ষিতা সেই পরীক্ষা করাতে রাজি না হওয়ায় তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। জানা যায়, থানায় থাকা অবস্থায় গ্রামের সালিশ কারীরা থানায় এসে কয়েক দফায় দেনদরবার করে ঘটনাটি সমঝোতার চেষ্টা চালায়। এর মধ্যে ওই কিশোরীকে ময়মনসিংহে পাঠালে সেখানেও সালিশকারীর কয়েকজনের উপস্থিতিতে মামলার বাদী কিশোরীর মাকে দুই কাঠা জমি লিখে দেওয়ার প্রস্তাবসহ বিয়ে করার কথা বলে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে দেয়নি। এর মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় পর ফের কিশোরীকে তার মা সহ থানায় এনে একটি কক্ষে রাখা হয়। সেখানেই সন্ধ্যায় দিকে বিদ্যুৎ স্পর্শে আহত হয়ে চিৎকার দিলে ওসি বাসভবন থেকে থানায় এসে একটি মাইক্রোবাসে করে আহত কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। থানায় দুটি পিকআপ থাকলেও তিনি লোকচক্ষুর আড়াল করতে এই ব্যবস্থা নেন। শনিবার রাতে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসার পর ছাত্রটি সুস্থ্য হলে রোববার সকালে (২২জুলাই) ছাত্রীটিকে ময়মনসিংহ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জবান বন্দি প্রদানের পুলিশ প্রহরায় পাঠানো হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোঃ নূরুল হুদা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নান্দাইল উপজেলার শাখার নেতৃবৃন্দ নান্দাইল থানার ভেতরে ধর্ষিতা কিশোরী বিদ্যুৎস্পিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করেছেন।

ট্যাগস :

সাবেক সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সভাপতি ছেলুন জোয়ার্দ্দার আর নেই

নান্দাইল থানায় পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিতা কিশোরী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট

আপডেট সময় : ১১:১০:৪৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল মডেল থানার ভেতরে তিন দিন ধরে পুলিশ হেফাজতে থাকা ধর্ষিতা এক কিশোরী অরক্ষিত একটি কক্ষে বিদ্যুৎ স্পর্শে আহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম মিয়া সহ অন্য কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে নান্দাইল স্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থানার ভেতর কিশোরীর এমন ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। জানা যায়, ওই কিশোরী নান্দাইলের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। মোবাইলে ফোনে তার প্রেমের সম্পর্ক হয় স্থানীয় মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের পুত্র আল মামুন (২০) এর সাথে। মামুন বিয়ের কথা বলে বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মামুন চলে যেতে চাইলে কিশোরী তাকে বিয়ের কথা বললে সে রাজি হচ্ছিল না। পরে কিশোরীর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে মামুনকে ধরে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ কিশোরীসহ অভিযুক্ত মামুনকে থানায় এনে কিশোরীর মা শেফালী বেগমকে বাদী করে মামলা নেয়। মামলা নং ১৯/২০১৮। পরদিন অভিযুক্ত ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠালে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট তাকে জেলা হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ধর্ষিতা কিশোরী ও তার মা থানার ভেতরেই একটি কক্ষে অবস্থান করতে থাকে। এ অবস্থায় শনিবার সকালে পুলিশ ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নিয়ে যায়। কিন্তু ধর্ষিতা সেই পরীক্ষা করাতে রাজি না হওয়ায় তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। জানা যায়, থানায় থাকা অবস্থায় গ্রামের সালিশ কারীরা থানায় এসে কয়েক দফায় দেনদরবার করে ঘটনাটি সমঝোতার চেষ্টা চালায়। এর মধ্যে ওই কিশোরীকে ময়মনসিংহে পাঠালে সেখানেও সালিশকারীর কয়েকজনের উপস্থিতিতে মামলার বাদী কিশোরীর মাকে দুই কাঠা জমি লিখে দেওয়ার প্রস্তাবসহ বিয়ে করার কথা বলে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে দেয়নি। এর মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় পর ফের কিশোরীকে তার মা সহ থানায় এনে একটি কক্ষে রাখা হয়। সেখানেই সন্ধ্যায় দিকে বিদ্যুৎ স্পর্শে আহত হয়ে চিৎকার দিলে ওসি বাসভবন থেকে থানায় এসে একটি মাইক্রোবাসে করে আহত কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। থানায় দুটি পিকআপ থাকলেও তিনি লোকচক্ষুর আড়াল করতে এই ব্যবস্থা নেন। শনিবার রাতে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসার পর ছাত্রটি সুস্থ্য হলে রোববার সকালে (২২জুলাই) ছাত্রীটিকে ময়মনসিংহ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জবান বন্দি প্রদানের পুলিশ প্রহরায় পাঠানো হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোঃ নূরুল হুদা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নান্দাইল উপজেলার শাখার নেতৃবৃন্দ নান্দাইল থানার ভেতরে ধর্ষিতা কিশোরী বিদ্যুৎস্পিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করেছেন।