চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে মাদকাসক্ত ও
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে মাদকাসক্ত ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৬ স্বেচ্ছাসেবককে প্রত্যাহার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার সকালে হাসপাতালের (আরএমও) শামীম কবির এ আদেশ দেন। জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই ঢাকার গ্যালেন্স সিকিউরিটি সার্ভিসের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৫ জনকে নিয়োগ দেন। এর মধ্যে জরুরী বিভাগে ৩ জন, রাধুনি ১ জন ও পরিছন্ন কর্মি ১ জন। এরপরই সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবকদের সেবা দেয়া স্থগিত করেন আরএমও। এ খবর প্রচারের সাথে সাথে বুধবার রাত থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের কর্মিদের ভেতর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। সদ্য প্রত্যাহার হওয়া কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক তারা নিয়মিত মাদক সেবন করেন বলে এক ঘনিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শামিম কবির বলেন, হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তিন শিফটে ১৫ স্বেচ্ছাসেবক রোগীদের সেবা প্রদান করে আসছিল। তার মধ্যে প্রতি শিফটে নিয়োগপ্রাপ্তসহ ৩ জন করে মোট ৯ জন স্বেচ্ছাসেবক সেবা প্রদান করবে। বাকি ৬ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের নিকট থেকে সেবার নামে অসৎ উপায়ে উপার্জন করে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। এতে আমাদের হাসপাতালের দুর্নাম হচ্ছে। এজন্য আমরা অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদেরকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করেছি। এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন কঠোর সিদ্ধান্তে অনেকে প্রশংসা করে সাধুবাদ জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন মহোদয়কে।