জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে একসাথে জন্ম নিয়েছে ৩টি সন্তান, আর ৩টাই পুত্র সন্তান । তবে এতে ঐ কৃষক পরিবারের ঘর আলোকিত হলেও তাদের বাহিরে যেন অন্ধকার! চিকিৎসাভাব আর অপুষ্টিতে ভুগছে সদ্য ভূমিষ্ঠ ৩ নবজাতকই। শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক মনিরুল কাজী ও লিমা দম্পতি এই ৩ জমজ শিশুর জন্ম দিয়েছে। একটি নয় দুটি নয় তিন তিনটি জমজ পুত্র সন্তান নিয়ে হুলুস্থুলকান্ড ঝিনাইদহের শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর গ্রামের দারিদ্র কৃষক দম্পতি মনিরুল ও লিমার বাড়িতে। তিন তিনটি নবজাতক কে ঘিরে তাদের পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। দলে দলে হাসিমুখে দেখতে আসছে প্রতিবেশীরা, খুশী স্বজনেরাও । তাদের নাম রাখা হয়েছে হাসান, হুসাইন ও ইউসুফ। তবে এসব আনন্দের মাঝে পরিবারের ঘর আলোকিত হলেও বাহিরে যেন অন্ধকার নেমে এসেছে। গত ৪ জুলাই রাজশাহী মেডিকেলে মা লিমা’র নরমাল ডেলিভারীতে ভ’মিষ্ট হয় এই তিন নবজাতক। তার আগ থেকেই গর্ভবতী মা কে নিয়ে চলছিল আর্থিক টানপোড়েন। বাড়ির গরু-ছাগল, আর কিছু নগদ টাকা দিয়ে মেটানো হয় হাসপাতালের খরচ। এ পর্যন্ত তাদের এসব শিশুর পেছনে দেড় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। তবে জন্মের পর থেকে মা লিমা ও নবজাতকগুলো সুস্থ্য থাকলেও ক্রমেই তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে চলেছে। মিলছে না মায়ের বুকের দুধ, চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়াতে হচ্ছে বাহির থেকে কেনা কৌটার দুধ, অর্থাভাবে জুটছে না পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা। এমন কথা জানান নবজাতক ৩টির বাবা মনিরুল কাজী ও মা লিমা খাতুন। পরিবারের সদস্যরা জানায়, ৩জমজ নবজাতকের গর্বিত পিতা-মাতা মনিরুল-লিমা দম্পতির বিয়ে হয় ৬ বছর আগে । তাদের প্রথম পুত্র সন্তানের বয়স ৪ বছর। কে কাকে করবে আদর যতœ, তাই প্রথম সন্তান লিমন কে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে নানা বাড়ী ! স্বজন আর প্রতিবেশীরা বলছে সামান্য আয়ের এই কৃষক পরিবারের জন্য ৩টি সন্তান পালন অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিত্তবান বা সরকারী-বেসরকারী কিছু সহযোগীতা পেলে নবজাতক তিনটি সুস্থ্যভাবে বেড়ে উঠতে পারবে। এলাকার একজন নারী জনপ্রতিনিধি মদিনা খাতুন। মির্জাপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের এই নারী জনপ্রতিনিধি বলছিলেন এই দম্পতির দুরাবস্থার কথা, তিনিও দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে বললেন সরকারী সহযোগীতার।