শিরোনাম :
Logo আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।” Logo বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বিতারা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের দোয়া ও আলোচনা সভা Logo যবিপ্রবিতে সাংবাদিক শিহাব উদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় সাবেক চার ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়া’র ৮০ তম জন্মদিন পালিত Logo ইবিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উদযাপনে বর্ণিল আয়োজন Logo শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতির সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo খালেদা জিয়ার জন্মদিনে উপলক্ষ্যে বেরোবিতে ছাত্রদলের দোয়া-মাহফিল Logo সংগ্রাম, ত্যাগ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া Logo উচ্ছ্বাস আর স্বপ্নে মুখর রাবি ক্যাম্পাস; জীবনের নতুন যাত্রা নিয়ে নবীনদের অনুভূতি Logo গণঅভ্যুত্থানের পরে আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল : অধ্যাপক ইউনূস

ছেলের কবরের সামনে বাকরুদ্ধ খালেদা জিয়া !

  • আপডেট সময় : ১২:৫১:৩৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:   ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে বাকরুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অপলক দৃষ্টিতে শুধু তাকিয়ে থেকেছেন কিছুক্ষণ।

সন্তান হারানোর বেদনা যে কতটা কষ্টের আর অসহনীয়, তা যেন ওই সময়ের জন্য উপলব্ধি করেছে সেখানকার প্রকৃতিও।

কবরের সামনে গিয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে ছেলের কবর জিয়ারত করেছেন খালেদা জিয়া। পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করে কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি। এ সময় শোকাবহ পরিবেশ চারিদিক ভারী হয়ে ওঠে।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আরাফাত রহমান কোকোর কবরের সামনে যান বিএনপি নেত্রী।

এ সময় তার সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে আরাফাত রহমান কোকোর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দুপুরে শ্রদ্ধা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দুজনেই কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হত দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

১৯৭০ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন দানা বেঁধে উঠছিল, ঠিক ওই সময়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে আরাফাত রহমান কোকো জন্ম নেন।  সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান কোকো। সাত বছর ধরে মালয়েশিয়ায় থাকা কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।”

ছেলের কবরের সামনে বাকরুদ্ধ খালেদা জিয়া !

আপডেট সময় : ১২:৫১:৩৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:   ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে বাকরুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অপলক দৃষ্টিতে শুধু তাকিয়ে থেকেছেন কিছুক্ষণ।

সন্তান হারানোর বেদনা যে কতটা কষ্টের আর অসহনীয়, তা যেন ওই সময়ের জন্য উপলব্ধি করেছে সেখানকার প্রকৃতিও।

কবরের সামনে গিয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে ছেলের কবর জিয়ারত করেছেন খালেদা জিয়া। পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করে কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি। এ সময় শোকাবহ পরিবেশ চারিদিক ভারী হয়ে ওঠে।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আরাফাত রহমান কোকোর কবরের সামনে যান বিএনপি নেত্রী।

এ সময় তার সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে আরাফাত রহমান কোকোর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দুপুরে শ্রদ্ধা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দুজনেই কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হত দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

১৯৭০ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন দানা বেঁধে উঠছিল, ঠিক ওই সময়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে আরাফাত রহমান কোকো জন্ম নেন।  সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান কোকো। সাত বছর ধরে মালয়েশিয়ায় থাকা কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।