নিউজ ডেস্ক: জীবননগর হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে উত্যক্তের ঘটনার প্রতিবাদ করায় স্কুলছাত্রীর বাড়িতে হামলাসহ বাবা-মা ও বোনকে পিটিয়ে জখম, ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুরসহ নগদ অর্থ লুটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় মামলার বাদিকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মামলার মূল আসামি সুজনের চাচাতো ভাই ও হাসাদহ ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। উত্যক্তের শিকার স্কুলছাত্রী সোহানার বাবা মামলার বাদি মশিউর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার মেয়ে স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সুজন ও তার বন্ধুরা তাকে উত্যাক্ত করে। বিষয়টি আমাকে বললে আমি সুজনকে এ সমস্ত আজে বাজে কথা বলতে নিষেধ করি এবং বিষয়টি আমি হাসাদহ ইউপি চেয়ারম্যানসহ সুজনের পরিবারকে জানায়। ওই কথার পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে হাসাদহ কাঠপট্রিপাড়ার খলিলুর রহমানের ছেলে ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে সুজন ও তার বন্ধু পনেরসতিপাড়ার নদে জামানের ছেলে শাহারিয়ার হুসাইন ছানি (১৭), খলিলুর রহমানের ছেলে আশরাফুল (২২), ইউসুফ আলীর ছেলে নয়ন আহম্মেদসহ (২২) বেশ কয়েকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দা, হাসুয়া, লোহার শাবল ও বাঁশের লাঠিশোটা নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরে থাকা ফ্রিজ, শোকেস, চেয়ার, টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ ঘটনায় আমি বাধা দিলে তারা আমাকে এবং আমার স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করে ঘরের ভিতরে ব্যবসার জন্য ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আমরা প্রাণে বাঁচতে চিৎকার করলে স্থানীয় জনগন ছুটে আসে এবং তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি পরে জীবননগর থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি । মামলার বিষয়টি জানাজানি হলে সুজনের চাচাতো ভাই শরিফুল মেম্বর আমার কাছে বিভিন্ন জনকে পাঠিয়ে আপোষ মিমাংসা করার জন্য তদবির করতে থাকে। আমি রাজি না হওয়ায় এখন আমাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে এবং আমাদের উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে মামলা না তুললে এলাকায় যেখানেই পাবে আবারো হামলা করা হবে। মামলায় নাকি কিছুই হবেনা তারা টাকা ও ক্ষমতার বলে সব ম্যানেজ করে নিয়েছে। এদিকে, ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারিনি।
হাসাদহ ইউপি সদস্য শরিফুল মেম্বরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মিথ্যা মামলা করেছে মশিয়ার। তাছাড়া এ বিষয়টি মিমাংসর জন্য আমরা স্কুলছাত্রীর বাবাকে বলেছি আর তাকে মামলার তুলে নেওয়ার জন্য যে হুমকির কথা বলা হচ্ছে তা সম্পন্ন মিথ্যা। এ ব্যাপারে জীবননগর থানার (ওসি) তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হাসাদহ স্কুলছাত্রীর উত্যক্তের ঘটনায় পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা করছে আশা করি খুব শিঘ্রই তাদের আটক করা হবে।