শিরোনাম :
Logo ইউকেএম থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন প্রফেসর ইউনূস Logo গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা Logo ইবিতে পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি Logo খুবিতে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা Logo কচুয়ায় চাংপুর সরকার বাড়িতে জলাবদ্ধতায় ৬০ পরিবার পানিবন্দি, সীমাহীন দুর্ভোগ Logo প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছে রাবি আইন বিভাগ, চলছে রেজিস্ট্রেশন Logo শিক্ষকের দায়িত্ব অবশ্যই রাষ্ট্রকে নিতে হবে Logo লস্কর সিনেমার আইটেম গানে জনপ্রিয় সুরকার এফ এ প্রিতম Logo অসচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে ইবি’র ছাত্রদল নেতা Logo শেরপুরে ভিমরুলের কামড়ে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু

ঝিনাইদহে জাল সনদ দিয়ে ‘দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী’ নিয়োগের পায়তারা টাকার বিনিময়ে জাল সনদ হালাল !

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:৪২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮
  • ৭৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিদেক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দোগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল সনদপত্র দিয়ে ‘দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী’ নিয়োগের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ কমিটির সভাপতি, এমপি প্রতিনিধি ও শিক্ষা অফিসার ১৪ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে এ নিয়োগের পায়তারা করছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন একজন প্রার্থী। আদালত ওই বিদ্যালয়ের নিয়োগ স্থগিতের আদেশ দিলেও নিয়োগ কমিটি তা মানতে নারাজ। জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল সদর উপজেলার দোগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী’ নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই বিদ্যালয়ে ৭ জন প্রার্থী আবেদন করেন। গত ৪ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬ জন প্রার্থী। অভিযোগ উঠেছে ওই প্রার্থীদের মধ্যে মহসীন বিশ্বাসকে ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে নির্বাচিত করা হয়। আর এই নিয়োগ বানিজ্য করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম, সদর এমপি প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম হিরন, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুশতাক আহম্মেদ। ঘটনার তদন্তে জানা যায়, নারিকেলবাড়িয়া জেড এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণী পাশের সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়েছে। নারিকেলবাড়িয়া জেড এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দেওয়া একটি প্রত্যায়ন পত্র উলে­খ আছে মহসীন বিশ্বাস নামে কারও অষ্টম শ্রেণীর কোন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তাহলে জাল সনদ দিয়ে কিভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন টাকা দিয়ে জাল সনদ হালাল করা হচ্ছে। এদিকে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে রুবেল হোসেন নামের এক প্রার্থী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৯৬/১৮। এ ব্যাপারে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলামের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। তবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বললেন, আমি কিছু জানি না। ইউএনও স্যার যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে আমি সেভাবে কাজ করেছি। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিটি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ও দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইউকেএম থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন প্রফেসর ইউনূস

ঝিনাইদহে জাল সনদ দিয়ে ‘দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী’ নিয়োগের পায়তারা টাকার বিনিময়ে জাল সনদ হালাল !

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৪২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮

নিজস্ব প্রতিদেক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দোগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল সনদপত্র দিয়ে ‘দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী’ নিয়োগের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ কমিটির সভাপতি, এমপি প্রতিনিধি ও শিক্ষা অফিসার ১৪ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে এ নিয়োগের পায়তারা করছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন একজন প্রার্থী। আদালত ওই বিদ্যালয়ের নিয়োগ স্থগিতের আদেশ দিলেও নিয়োগ কমিটি তা মানতে নারাজ। জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল সদর উপজেলার দোগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী’ নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই বিদ্যালয়ে ৭ জন প্রার্থী আবেদন করেন। গত ৪ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬ জন প্রার্থী। অভিযোগ উঠেছে ওই প্রার্থীদের মধ্যে মহসীন বিশ্বাসকে ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে নির্বাচিত করা হয়। আর এই নিয়োগ বানিজ্য করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম, সদর এমপি প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম হিরন, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুশতাক আহম্মেদ। ঘটনার তদন্তে জানা যায়, নারিকেলবাড়িয়া জেড এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণী পাশের সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়েছে। নারিকেলবাড়িয়া জেড এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দেওয়া একটি প্রত্যায়ন পত্র উলে­খ আছে মহসীন বিশ্বাস নামে কারও অষ্টম শ্রেণীর কোন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তাহলে জাল সনদ দিয়ে কিভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন টাকা দিয়ে জাল সনদ হালাল করা হচ্ছে। এদিকে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে রুবেল হোসেন নামের এক প্রার্থী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৯৬/১৮। এ ব্যাপারে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলামের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। তবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বললেন, আমি কিছু জানি না। ইউএনও স্যার যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে আমি সেভাবে কাজ করেছি। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিটি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ও দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।