বুধবার | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে খুবির ন্যাশনালিস্ট টিচার্স এসোসিয়েশন (এনটিএ) এর বিবৃতি Logo মহান বিজয় দিবসে চাঁদপুর ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের মিলাদ ও দোয়া Logo বিজয় দিবসে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেন ধানের শীষের এমপি প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক Logo চাঁদপুরে গণফোরামের বিজয় দিবসের আলোচনা সভা এ বিজয় কোনো একক দলের নয়, এটি জাতির ঐতিহাসিক অর্জন-এডভোকেট সেলিম আকবর Logo মহান বিজয় দিবসে চাঁদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবময় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শহীদদের স্মরণ করল সর্বস্তরের মানুষ Logo কয়রায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত Logo সাতক্ষীরা–খুলনা মহাসড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষে মাহেন্দ্রা উল্টে মা–ছেলে নিহত, আহত ৮ Logo খুবিতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান বিজয় দিবস উদযাপণ Logo মহান বিজয় দিবসে ইবির জুলাই ৩৬ হলের শ্রদ্ধাঞ্জলি

লক্ষীপুরে খালের ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে ৫টি গ্রাম

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:৫৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ জুলাই ২০১৮
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

ফরহাদ হোসেন, লক্ষীপুর: লক্ষীপুরে ওয়াপদা খালের ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে সদর উপজেলার ৫টি গ্রাম। বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-ফসলি জমি ও চলাচলের রাস্তা, কাঁদছে মানুষ। বেড়েছে খালের প্রশস্ততা। কিন্তু সমস্যাটি সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলরা। বারবার খনন ও মেরামত করার আশ্বাস দিয়েও করছেন না জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। পূর্বের ন্যায় আবারো বলছেন, সরোজমিনে পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
জানা যায়, সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের পিয়ারাপুর, পশ্চিম সৈয়দপুর, তালহাটি, চাঁদখালী ও শহীদপুর গ্রাম ওয়াবদা খালের ভাঙনে ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তবে বর্ষাকালে ভাঙনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। সেই ভাঙন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও গাছপালা। নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে বাপ-দাদার চিরচেনা বসতভিটা, ফসলি জমি হারিয়ে। ফলে চরম দুর্ভোগে মানবেতর জীবন কাটছে ওয়াবদা খালের দু’পাড়ের হাজার-হাজার মানুষের। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। কয়েকবার খাল খনন, ক্ষতিগস্ত যায়গা বাঁধ ও ধসে যাওয়া রাস্তা সংস্কার করার আশ্বাস দিয়েও কাজ করেনি কেউ।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিবছরই ভাঙনের ফলে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, ঘর-বাড়ি, গাছপালা খালের গর্ভে বিলীনি হয়ে যাচ্ছে। ২২ হাত দৈঘ্য ওয়াপদা খাল এখন ২০০ হাতে পরিনত হয়েছে। স্কুল-কলেজে ও বাজারে যেতে খুব অসুবিদা হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রæত পদক্ষেপ না নিলে চলতি বর্ষায় রাস্তাঘাট আরো ভাঙনের কবলে পড়বে এবং গৃহহীন হয়ে পড়বে কয়েকটি পরিবার। তাই সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
লাহারকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মশু পাটোয়ারী বলেন, ভাঙনের কারনে খালের দু’পাশের জনসাধারনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি ইতিপূর্বে বেসাময়িক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উদ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি। তারাও দ্রæত খনন, মেরামত ও রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা বলেন, ওয়াপদা খালের ভাঙনের কারনে সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের বিভিন্ন অংশ ভাঙছে। সরোজমিনে পরিদর্শন করে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান আলী বলেন, ক্ষতিগস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে, উদ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে খুবির ন্যাশনালিস্ট টিচার্স এসোসিয়েশন (এনটিএ) এর বিবৃতি

লক্ষীপুরে খালের ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে ৫টি গ্রাম

আপডেট সময় : ১১:৪৭:৫৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ জুলাই ২০১৮

ফরহাদ হোসেন, লক্ষীপুর: লক্ষীপুরে ওয়াপদা খালের ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে সদর উপজেলার ৫টি গ্রাম। বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-ফসলি জমি ও চলাচলের রাস্তা, কাঁদছে মানুষ। বেড়েছে খালের প্রশস্ততা। কিন্তু সমস্যাটি সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলরা। বারবার খনন ও মেরামত করার আশ্বাস দিয়েও করছেন না জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। পূর্বের ন্যায় আবারো বলছেন, সরোজমিনে পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
জানা যায়, সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের পিয়ারাপুর, পশ্চিম সৈয়দপুর, তালহাটি, চাঁদখালী ও শহীদপুর গ্রাম ওয়াবদা খালের ভাঙনে ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তবে বর্ষাকালে ভাঙনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। সেই ভাঙন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও গাছপালা। নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে বাপ-দাদার চিরচেনা বসতভিটা, ফসলি জমি হারিয়ে। ফলে চরম দুর্ভোগে মানবেতর জীবন কাটছে ওয়াবদা খালের দু’পাড়ের হাজার-হাজার মানুষের। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। কয়েকবার খাল খনন, ক্ষতিগস্ত যায়গা বাঁধ ও ধসে যাওয়া রাস্তা সংস্কার করার আশ্বাস দিয়েও কাজ করেনি কেউ।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিবছরই ভাঙনের ফলে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, ঘর-বাড়ি, গাছপালা খালের গর্ভে বিলীনি হয়ে যাচ্ছে। ২২ হাত দৈঘ্য ওয়াপদা খাল এখন ২০০ হাতে পরিনত হয়েছে। স্কুল-কলেজে ও বাজারে যেতে খুব অসুবিদা হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রæত পদক্ষেপ না নিলে চলতি বর্ষায় রাস্তাঘাট আরো ভাঙনের কবলে পড়বে এবং গৃহহীন হয়ে পড়বে কয়েকটি পরিবার। তাই সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
লাহারকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মশু পাটোয়ারী বলেন, ভাঙনের কারনে খালের দু’পাশের জনসাধারনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি ইতিপূর্বে বেসাময়িক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উদ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি। তারাও দ্রæত খনন, মেরামত ও রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা বলেন, ওয়াপদা খালের ভাঙনের কারনে সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের বিভিন্ন অংশ ভাঙছে। সরোজমিনে পরিদর্শন করে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান আলী বলেন, ক্ষতিগস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে, উদ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।