নিউজ ডেস্ক: জীবননগরে শিশুসহ গৃহবধুকে গাছে বেধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামে ছাগলে পুঁইশাক গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জীবননগর উপজেলার ৪নং সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর আহাদ আলীর পালিত একটি ছাগল একই গ্রামের কাদেরের ছেলে আজাদের বাড়িতে লাগানো পুইশাক গাছ কেটে দেওয়ার অপরাধে দিনমজুর আহাদ আলীর স্ত্রী জেসমিন খাতুন (২৭) এবং তার কোলে থাকা ১০ মাসের নাবালিকা শিশু রতœাকে গাছে বেধে অমানুষিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে বেনীপুর গ্রামের কাদেরের ছেলে আজাদ ও তার স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে। এ সময় স্থানীয় জনগন আহত গৃহবধু ও তার শিশু কন্যা রতœাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত গৃহবধু জেসমিন অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সকালে আমার একটি ছাগল আজাদের বাড়িতে যেয়ে একটি পুইশাক গাছ কেটে দেয়। এ সময় আজাদ আমার বাড়িতে এসে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। আমি তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সে আমার মাথার চুল ধরে মারধর করতে করতে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তার স্ত্রী ও মেয়ে মিলে আমাকে লাঠি ও কিল ঘুসি মারতে থাকে। পরবর্তীতে আমার কোলে থাকা ১০ মাসের শিশু কন্যাসহ আমাকে তাদের বাড়ির সুপারি গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। এ সময় আমি চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে আমাকে ও আমার নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করে।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহামুদ বিন হেদায়েত সেতু জানান, শনিবার দুপুরে বেনীপুর গ্রামের জেসমিন নামের এক গৃহবধু আহত অবস্থায় জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। তার শরীরের কামড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং তাকে মারধর করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এখন আশঙ্কামুক্ত। সীমান্ত ইউপি সদস্য আসাদ গৃহবধু ও নাবালিকা শিশুকে গাছে ঁেবধে রাখার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সামান্য ছাগলে পুঁইশাক গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানান, বেনীপুর গ্রামে ছাগলে পুঁইশাক গাছ খাওয়কে কেন্দ্র করে গৃহবধু ও শিশুকে গাছে বেধে নির্যাতন করার বিষয়ে আহতর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থানে পুলিশ যায় এবং ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।