সিংড়ায় মাঠ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:২৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৪ জুলাই ২০১৮
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে
মোঃ সালমান হোসাইন, নাটোর জেলা সংবাদদাতাঃ নাটোরের সিংড়া উপজেলায় রাসেল হোসেন (১৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (০৪ জুলাই) বেলা ১১টার সময় উপজেলার জোড়মল্লিকা এলাকার একটি মাঠ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাসেল একই উপজেলার জোড়মল্লিকা গ্রামের উমেদ অালীর ছেলে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করে নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, রাসেল ফুটবল খেলার কথা বলে মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত বাড়ির পাশে মাঠে ফুটবল খেলে। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। রাত ৯টার দিকে বাড়ির মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলা হয়নি। পরে রাতে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এতে বাবা-মা ধারণা করেছিলেন, বিশ্বকাপ খেলা দেখা শেষে বৃষ্টির কারণে হয়তো কোনো বন্ধুর বাড়িতে আটকে গেছে রাসেল। সেজন্য তার বাড়িতে আসা হয়নি।
সকালে তাদের বাড়ি থেকে অদূরে জোড়মল্লিকা এলাকার মাঠের মধ্যে স্থানীয় লোকজন মরদেহ পরে থাকতে দেখে পরিবারসহ পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও জানান, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধে কিংবা ভিন্ন কোন কৌশলে তাকে হত্যার পর কে বা কারা এখানে মরদেহটি ফেলে রেখে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদন পেলেই জানা যাবে কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। কারা কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার বাবা থানায় আপাতত একটি ইউডি মামলা রুজু করেছেন।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সিংড়ায় মাঠ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ১১:৩৩:২৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৪ জুলাই ২০১৮
মোঃ সালমান হোসাইন, নাটোর জেলা সংবাদদাতাঃ নাটোরের সিংড়া উপজেলায় রাসেল হোসেন (১৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (০৪ জুলাই) বেলা ১১টার সময় উপজেলার জোড়মল্লিকা এলাকার একটি মাঠ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাসেল একই উপজেলার জোড়মল্লিকা গ্রামের উমেদ অালীর ছেলে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করে নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, রাসেল ফুটবল খেলার কথা বলে মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত বাড়ির পাশে মাঠে ফুটবল খেলে। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। রাত ৯টার দিকে বাড়ির মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলা হয়নি। পরে রাতে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এতে বাবা-মা ধারণা করেছিলেন, বিশ্বকাপ খেলা দেখা শেষে বৃষ্টির কারণে হয়তো কোনো বন্ধুর বাড়িতে আটকে গেছে রাসেল। সেজন্য তার বাড়িতে আসা হয়নি।
সকালে তাদের বাড়ি থেকে অদূরে জোড়মল্লিকা এলাকার মাঠের মধ্যে স্থানীয় লোকজন মরদেহ পরে থাকতে দেখে পরিবারসহ পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও জানান, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধে কিংবা ভিন্ন কোন কৌশলে তাকে হত্যার পর কে বা কারা এখানে মরদেহটি ফেলে রেখে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদন পেলেই জানা যাবে কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। কারা কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার বাবা থানায় আপাতত একটি ইউডি মামলা রুজু করেছেন।