শিরোনাম :
Logo তিনশ’ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ Logo ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে অস্ট্রেলিয়া Logo সিরাজগঞ্জে ডিসিকাপ ফুটবল শুরু ৩ সেপ্টেম্বর Logo বন্যার কারণে মেক্সিকো বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত Logo তুরস্কে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত ১, আহত ২৯ Logo ইবিতে সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে দেয়ালিকা কর্মসূচি Logo সিরাজগঞ্জে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন Logo যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়ার বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধের’ হুঁশিয়ারি উত্তর কোরিয়ার Logo শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকার চেক প্রদান Logo পাঁচ শ্রেণির করদাতাদের জন্য অনলাইন রিটার্ন দাখিল শিথিল করেছে এনবিআর

শৈলকুপার বড় গাবলা গ্রামের একাধিক ধর্ষনের আসামীর হুমকিতে ধর্ষিতার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:১২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২ জুলাই ২০১৮
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব সংবাদাতা, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বড় গাবলা গ্রামের একাধিক নারী ধর্ষক হাফিজ উদ্দিনের হুমকিতে ধর্ষিতার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। জানা যায়, গাবলা গ্রামের বিলাত আলীর ছেলে হাফিজ উদ্দিন একই গ্রামের প্রতিবেশী স্কুল পড়–য়া এক শিক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই শিক্ষার্থী পাশ্ববর্তী হাফিজের বাড়িতে গেলে সু-কৌশলে ডেকে ঘরের ভিতর নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত, পা বেধে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এছাড়াও একাধিক বার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষক এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না ধর্ষিতার পরিবার। ধর্ষিতার মাতা তার মেয়েকে ইতিপূর্বে হরিনাকুন্ডু উপজেলার একটি গ্রামে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে ধর্ষক হাফিজ মেয়েটির স্বামীর মোবাইলে তার ধর্ষনের বর্ননা দেয় এবং ঘর সংসার ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি তার পিতার বাড়িতে চলে আসে। পিতার বাড়িতে আসার পরও রক্ষা পায়না মেয়েটি। সর্বশেষ গত ৬ মে সন্ধায় তাকে একা পেয়ে পূনরায় ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মাতা নিরুপায় হয়ে গত ১৬ মে শৈলকুপা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজন ধর্ষিতাদের মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন। ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষকের এক আত্মীয় পরিচয়দানকারী পুলিশ বিভাগে কর্মরত এস আই নুরুল করিম বিভিন্ন ভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে। যিনি বর্তমানে ঢাকা মহানগরের রমনা থানায় কর্মরত আছে বলে জানা গেছে। ফলে ধর্ষিতার অসহায় পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। ধর্ষিতার পরিবার তাদের নিরাপত্তা চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তিনশ’ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

শৈলকুপার বড় গাবলা গ্রামের একাধিক ধর্ষনের আসামীর হুমকিতে ধর্ষিতার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়

আপডেট সময় : ১১:৪১:১২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২ জুলাই ২০১৮

নিজস্ব সংবাদাতা, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বড় গাবলা গ্রামের একাধিক নারী ধর্ষক হাফিজ উদ্দিনের হুমকিতে ধর্ষিতার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। জানা যায়, গাবলা গ্রামের বিলাত আলীর ছেলে হাফিজ উদ্দিন একই গ্রামের প্রতিবেশী স্কুল পড়–য়া এক শিক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই শিক্ষার্থী পাশ্ববর্তী হাফিজের বাড়িতে গেলে সু-কৌশলে ডেকে ঘরের ভিতর নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত, পা বেধে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এছাড়াও একাধিক বার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষক এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না ধর্ষিতার পরিবার। ধর্ষিতার মাতা তার মেয়েকে ইতিপূর্বে হরিনাকুন্ডু উপজেলার একটি গ্রামে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে ধর্ষক হাফিজ মেয়েটির স্বামীর মোবাইলে তার ধর্ষনের বর্ননা দেয় এবং ঘর সংসার ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি তার পিতার বাড়িতে চলে আসে। পিতার বাড়িতে আসার পরও রক্ষা পায়না মেয়েটি। সর্বশেষ গত ৬ মে সন্ধায় তাকে একা পেয়ে পূনরায় ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মাতা নিরুপায় হয়ে গত ১৬ মে শৈলকুপা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজন ধর্ষিতাদের মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন। ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষকের এক আত্মীয় পরিচয়দানকারী পুলিশ বিভাগে কর্মরত এস আই নুরুল করিম বিভিন্ন ভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে। যিনি বর্তমানে ঢাকা মহানগরের রমনা থানায় কর্মরত আছে বলে জানা গেছে। ফলে ধর্ষিতার অসহায় পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। ধর্ষিতার পরিবার তাদের নিরাপত্তা চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।