রবিবার | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo ক্যান্সারে মৃত্যু খুবি শিক্ষার্থীর: চিকিৎসার অবশিষ্ট অর্থে ‘রাকিব স্মৃতি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ট্রাস্ট’ গঠন Logo চাঁদপুরে প্রাইভেট হসপিটাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা Logo শ্রোতাদের ভালোবাসায় সিক্ত তরুণ গীতিকার রাসেল ইব্রাহীমের গান ‘আমার বন্ধুরা খুব দুষ্টু ছিল’ Logo বীরগঞ্জে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা Logo মনোহরদীতে বিএজেএসএম মডেল কলেজে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ Logo মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট ও বার্মিজ লুঙ্গিসহ ২২ জন পাচারকারী আটক Logo কচুয়ায় র‍্যাবের অভিযানে ৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া

কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা : রহস্য

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:০৬:০১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৪ জুন ২০১৮
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউপির গহেরপুর গ্রামের সোনিয়া নামের এক কলেজ ছাত্রীর আতœহত্যা করেছে। গতকাল শনিবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। তার এ আত্মহত্যায় এলাকায় রহস্যের ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গহেরপুর গ্রামের আজগর জোয়ার্দ্দারের কলেজ পড়ুয়া কন্যা সোনিয়া খাতুন (১৯) শনিবার ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোনিয়ার পিতা আজগর আলী জানান, সোনিয়া এবার বদরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ থেকে এইসএসসি পরিক্ষা দিয়েছে। সে খুব মেধাবী ছাত্রী হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চান্স নেবার জন্য ঝিনাইদহ মহিলা হোষ্টেলে থেকে কোচিং করছিলো। ঈদুল ফিতরের আগের দিন সে বাড়িতে আসে। সোনিয়ার মা জানান, সোনিয়া কোচিং করার জন্য শনিবার সকাল ৯টার দিকে আবারও ঝিনাইদহ যাবার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে গ্রামের মধ্যে আলমসাধু খুঁজতে গিয়েছিল কিন্তুু গাড়ি না পেয়ে ফিরে আসে। কিছুক্ষন পর সোনিয়া তার মায়ের কাছ থেকে যাতায়াতসহ কিছু টাকা চায়। কিন্তুু তার মা টাকা দিতে রাজি না হবার কারনে শুরু হয় দু’জনের মধ্যে বাকবিত-া। এরই এক পর্যায়ে সোনিয়া নিজ ঘরের মধ্যে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে তিতুদহ ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই কিশোর কুমার ও এএসআই লিয়াকত আলী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত্যুর আলামতসহ একটি মোবাইল ফোন সংগ্রহ করে। তবে উদ্ধারকৃত মোবাইলে কিছু অস্বাভাবিক ম্যাসেজ লক্ষ্য করে যা কারোর ওপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার সোনিয়ার পরিবার তার বিবাহের জন্য স্থানীয় পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে ছেলেপক্ষ নিয়ে আসে। কিন্তু এ ব্যাপারে সোনিয়া মত দিতে চায়নি এবং সে বলেছে আমি লেখাপড়া করতে চায় বিয়ে করার সময় এখনও হয়নি। তবে এই আত্মহত্যা প্রেম ঘটিত কারনেও হতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। মৃত্যুর কারন অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় মৃত. সোনিয়ার লাশ চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরণ করে তিতুদহ ক্যাম্প। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ চুয়াডাঙ্গা মর্গে ছিল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ক্যান্সারে মৃত্যু খুবি শিক্ষার্থীর: চিকিৎসার অবশিষ্ট অর্থে ‘রাকিব স্মৃতি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ট্রাস্ট’ গঠন

কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা : রহস্য

আপডেট সময় : ১১:০৬:০১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৪ জুন ২০১৮

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউপির গহেরপুর গ্রামের সোনিয়া নামের এক কলেজ ছাত্রীর আতœহত্যা করেছে। গতকাল শনিবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। তার এ আত্মহত্যায় এলাকায় রহস্যের ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গহেরপুর গ্রামের আজগর জোয়ার্দ্দারের কলেজ পড়ুয়া কন্যা সোনিয়া খাতুন (১৯) শনিবার ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোনিয়ার পিতা আজগর আলী জানান, সোনিয়া এবার বদরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ থেকে এইসএসসি পরিক্ষা দিয়েছে। সে খুব মেধাবী ছাত্রী হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চান্স নেবার জন্য ঝিনাইদহ মহিলা হোষ্টেলে থেকে কোচিং করছিলো। ঈদুল ফিতরের আগের দিন সে বাড়িতে আসে। সোনিয়ার মা জানান, সোনিয়া কোচিং করার জন্য শনিবার সকাল ৯টার দিকে আবারও ঝিনাইদহ যাবার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে গ্রামের মধ্যে আলমসাধু খুঁজতে গিয়েছিল কিন্তুু গাড়ি না পেয়ে ফিরে আসে। কিছুক্ষন পর সোনিয়া তার মায়ের কাছ থেকে যাতায়াতসহ কিছু টাকা চায়। কিন্তুু তার মা টাকা দিতে রাজি না হবার কারনে শুরু হয় দু’জনের মধ্যে বাকবিত-া। এরই এক পর্যায়ে সোনিয়া নিজ ঘরের মধ্যে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে তিতুদহ ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই কিশোর কুমার ও এএসআই লিয়াকত আলী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত্যুর আলামতসহ একটি মোবাইল ফোন সংগ্রহ করে। তবে উদ্ধারকৃত মোবাইলে কিছু অস্বাভাবিক ম্যাসেজ লক্ষ্য করে যা কারোর ওপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার সোনিয়ার পরিবার তার বিবাহের জন্য স্থানীয় পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে ছেলেপক্ষ নিয়ে আসে। কিন্তু এ ব্যাপারে সোনিয়া মত দিতে চায়নি এবং সে বলেছে আমি লেখাপড়া করতে চায় বিয়ে করার সময় এখনও হয়নি। তবে এই আত্মহত্যা প্রেম ঘটিত কারনেও হতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। মৃত্যুর কারন অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় মৃত. সোনিয়ার লাশ চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরণ করে তিতুদহ ক্যাম্প। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ চুয়াডাঙ্গা মর্গে ছিল।