শিরোনাম :
Logo জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা Logo দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদকের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ! Logo গল্লামারী মৎস্য খামার হস্তান্তরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খুবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি Logo ইবিতে হিন্দু ধর্ম অবমাননার অভিযোগে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি Logo খুবির আবাসন সংকট ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ নিরসনে বাধা গল্লামারী মৎস্য খামার Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটির সভাপতি নিতু, সাধারণ সম্পাদক রিদয় Logo ডাঃ আব্দুল হাই ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: ৯৩ কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি সনদ ও নগদ সহায়তা প্রদান Logo সিরাজগঞ্জে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল! প্রশাসনের তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ Logo আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জবির ফিন্যান্স ১৭তম ব্যাচের সহপাঠীদের বিবৃতি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন, হামলায় প্রেমিকা আহত !

  • আপডেট সময় : ০৫:১১:৩০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

SAMSUNG CAMERA PICTURES

 

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ১ প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন করা কালে প্রেমিকের মা, বাবা ও বোনের হামলায় প্রেমিকা আহত হয়েছে।

বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ডাবরা জিনেশ্বরী গ্রামের ভবিরুল ইসলামের পুত্র প্রেমিক মন্জুরুল ইসলামকে বিয়ের দাবীতে ভোগনগর ইউনিয়নের মাঝবোয়াল গ্রামের আশরাফুল ইসলামের কন্যা শিমু আক্তার সাথী (১৮) ১৯ জুন মঙ্গলবার রাতে মন্জুরুলের বাড়ীতে গিয়ে উঠে। সংবাদ পেয়ে, ২০ জুন বুধবার সকালে ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা গেছে, প্রায় এক/দেড় বছর ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ের শুত্র ধরে বিয়ে করার অজ্ঞিকারের দুই জন দুজনকে ভালবেসে আসছিলো।

কিন্তু বর্তমানে মন্জুরুল তাকে বিয়ে না করে তার সংগে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে গোপনে অন্যত্র বিয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়েই খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়ে বিয়ের দাবী নিয়ে মন্জুরুলের বাড়িতে গিয়ে উঠে। এসময় মন্জুরুল বাড়ীতে থাকার পরেও তার মা, বাবা দরজা লাগিয়ে রাখায় শিমু আক্তার সাথী বাইরের দরজায় দাড়ীয়ে থাকে।

এ সংবাদ পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েল ঘটনাস্থলে রাতেই উপস্থিত হয়ে মেয়েটিকে পরিবারের লোকের কাছে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চালালে মেয়েটি তা অশ্বীকার করায় বাধ্য হয়ে গ্রাম পুলিশকে পাহারা রেখে চলে যায়। বুধবার সকালে প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রেমিকা সাথী দরজার কাছেই বসে থাকে। বৃষ্টি ছাড়ার পরে প্রেমিকা সাথী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে মন্জুরুলের বাড়িতে প্রবেশ করলে তার বাবা ভবিরুল ইসলাম, মা মল্লীকা ও বোন খুশি মন্জুরুলকে সরিয়ে দিয়ে সাথীকে মারধর শুরু করে। অনাহারে থাকা ও বৃষ্টিতে ভিজা প্রেমিকা সাথী মারধরের আঘাত সামলাতে না পেরে বাড়ীর ভিতরেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এসময় তারা জ্ঞানহীন সাথীকে টেনে হিচড়ে বাড়ীর বাইরে এনে চেয়ারে বসিয়ে রাখে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েল ঘটনাস্থলে গিয়ে জ্ঞানহীন সাথীকে দেখে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ধীরেনকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে এসে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে তিনি অপারগতা স্বিকার করে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলে যায়। ইউপি সদস্য জুয়েল মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করলে অবস্থার ব্যগতিক দেখে মন্জুরুলের পরিবার শিমু আক্তার সাথীকে বাড়ীর ভিতরে নিয়ে গিয়ে অপর স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক চিন্তারামকে নিয়ে এসে বাড়ীতেই চিকিৎসার ব্যবন্থা করে।

এব্যপারে শিমু আক্তার সাথীর বাড়ীতে গেলে তার মা জানায়, মাঝে মাঝেই মন্জুরুল তাদের বাড়ীতে যাওয়া আসা করতো। ২/৩ দিন পূর্বেও মন্জুরুল তাদের বাড়ীতে গিয়ে জুতা গেঞ্জি রেখে আসে। এরিপোট লেখা পযর্ন্ত দু পক্ষই আপোশের বৈঠকে বসেছে বলে জানা গেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন, হামলায় প্রেমিকা আহত !

আপডেট সময় : ০৫:১১:৩০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮

 

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ১ প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন করা কালে প্রেমিকের মা, বাবা ও বোনের হামলায় প্রেমিকা আহত হয়েছে।

বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ডাবরা জিনেশ্বরী গ্রামের ভবিরুল ইসলামের পুত্র প্রেমিক মন্জুরুল ইসলামকে বিয়ের দাবীতে ভোগনগর ইউনিয়নের মাঝবোয়াল গ্রামের আশরাফুল ইসলামের কন্যা শিমু আক্তার সাথী (১৮) ১৯ জুন মঙ্গলবার রাতে মন্জুরুলের বাড়ীতে গিয়ে উঠে। সংবাদ পেয়ে, ২০ জুন বুধবার সকালে ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা গেছে, প্রায় এক/দেড় বছর ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ের শুত্র ধরে বিয়ে করার অজ্ঞিকারের দুই জন দুজনকে ভালবেসে আসছিলো।

কিন্তু বর্তমানে মন্জুরুল তাকে বিয়ে না করে তার সংগে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে গোপনে অন্যত্র বিয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়েই খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়ে বিয়ের দাবী নিয়ে মন্জুরুলের বাড়িতে গিয়ে উঠে। এসময় মন্জুরুল বাড়ীতে থাকার পরেও তার মা, বাবা দরজা লাগিয়ে রাখায় শিমু আক্তার সাথী বাইরের দরজায় দাড়ীয়ে থাকে।

এ সংবাদ পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েল ঘটনাস্থলে রাতেই উপস্থিত হয়ে মেয়েটিকে পরিবারের লোকের কাছে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চালালে মেয়েটি তা অশ্বীকার করায় বাধ্য হয়ে গ্রাম পুলিশকে পাহারা রেখে চলে যায়। বুধবার সকালে প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রেমিকা সাথী দরজার কাছেই বসে থাকে। বৃষ্টি ছাড়ার পরে প্রেমিকা সাথী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে মন্জুরুলের বাড়িতে প্রবেশ করলে তার বাবা ভবিরুল ইসলাম, মা মল্লীকা ও বোন খুশি মন্জুরুলকে সরিয়ে দিয়ে সাথীকে মারধর শুরু করে। অনাহারে থাকা ও বৃষ্টিতে ভিজা প্রেমিকা সাথী মারধরের আঘাত সামলাতে না পেরে বাড়ীর ভিতরেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এসময় তারা জ্ঞানহীন সাথীকে টেনে হিচড়ে বাড়ীর বাইরে এনে চেয়ারে বসিয়ে রাখে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েল ঘটনাস্থলে গিয়ে জ্ঞানহীন সাথীকে দেখে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ধীরেনকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে এসে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে তিনি অপারগতা স্বিকার করে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলে যায়। ইউপি সদস্য জুয়েল মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করলে অবস্থার ব্যগতিক দেখে মন্জুরুলের পরিবার শিমু আক্তার সাথীকে বাড়ীর ভিতরে নিয়ে গিয়ে অপর স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক চিন্তারামকে নিয়ে এসে বাড়ীতেই চিকিৎসার ব্যবন্থা করে।

এব্যপারে শিমু আক্তার সাথীর বাড়ীতে গেলে তার মা জানায়, মাঝে মাঝেই মন্জুরুল তাদের বাড়ীতে যাওয়া আসা করতো। ২/৩ দিন পূর্বেও মন্জুরুল তাদের বাড়ীতে গিয়ে জুতা গেঞ্জি রেখে আসে। এরিপোট লেখা পযর্ন্ত দু পক্ষই আপোশের বৈঠকে বসেছে বলে জানা গেছে।