নিউজ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ ৩ জন নিহত হয়েছে ও ৮ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চুয়াডাঙ্গা শহরের কলেজ রোডে সড়ক দূর্ঘটনায় সাগর সৈকত অপু (২২) নামে এক মেডিকেল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাইসহ ২জন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে রেফার্ড করেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। গত রোববার বিকাল ৬ টার দিকে শহরের বিগ বাজারের সামনে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মেডিকেল শিক্ষার্থী সাগর সৈকত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের কুকিয়া-চাদুপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছোট ছেলে এবং খুলনা আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আহতরা হলেন- নিহত সাগর সৈকতের বড় ভাই সালাহউদ্দিন শুভ (২২) ও জ্বীনতলা মল্লিক পাড়ার মৃত. শহিদুল ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেন (২১)।জানা গেছে, দুই ভাই মোটরসাইকেলযোগে মোবাইলফোন কেনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে শহরের কলেজ রোডে বিগ বাজারের নিকট পৌছালে অপর একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই ভাইসহ অপর মোটরসাইকেলে থাকা হৃদয় নামের এক যুবক গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। ঘন্টা খানেক পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান সৈকতকে মৃত ঘোষনা করেন এবং তার বড় ভাই শুভ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক মশিউর রহমান জানান, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পাওয়ায় সৈকতের মুত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হৃদয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল ও নিহতের বড় ভাই শুভকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, গত শুক্রবার রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সামনে রয়েল পরিবহনের ধাক্কায় রনি (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। নিহত রনি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার আয়ুবের ছেলে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা রয়েল পরিবহনের গাড়িটি ভাঙচুর করে।
এদিকে, গত শনিবার দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে মোটরসাইকেল ও বাসের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে। জানা যায়, গত শনিবার দর্শনা বোনের বাসা থেকে ফেরার পথে, দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসের সাথে ধাক্কা লাগে মোটরসাইকেলটির। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনই গুরুতর জখম হয়। আহতরা হলেন- মোটরসাইকেল চালক জীবননগর পোকামারীর মো. ইব্রহিমের ছেলে শফিকুল (২০), সরোজগঞ্জ চন্ডিপুরের মো. আন্দজান আলীর ছেলে রিপন (২৫) ও তিতুদহ সিলিন্ডাপাড়ার চাঁন মিয়ার ছেলে মোমিনুল ইসলাম (২৪)। মোমিনুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রেফার্ড করা হয়। একইদিনে মুন্সিগঞ্জে কুকুরের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বকুল (২৮) নামের এক যুবক গুরুত্বর জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। আহত বকুল মুন্সিগঞ্জের রহমান আলীর ছেলে। অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা রেলবাজারে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রেল বাজারের আমির হোসেনের ছেলে সজল আহম্মেদ (২৩) গুরুতর জখম হয়।অপরদিকে, একইদিন সকাল ১০টার দিকে আলমসাধু উল্টে আলী কদর (১৮) নামের এক যুবক গুরুতর জখম হয়। আহত আলী কদর বালীয়াকান্দি শেখপাড়ার ওয়াজের আলীর ছেলে।আলি কদর নিজেই আলমসাধুটি চালিয়ে মাংস কিনে বাসায় ফিরছিল।এদিকে, শ্বশুর বাড়ি থেকে মামার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় দৌলতদিয়াড় মোটর গ্যারেজের সামনে মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে শফিউর রহমান (২৫) নামের এক যুবক গুরুতর জখম হয়। আহত শফিউর রহমান ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু সনাতনপাড়ার মনির উদ্দিনের ছেলে। গত রবিবার সকাল ১১টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা- মেহেরপুরে মহাসড়কের দৌলৎদিয়াড়ে মোটরসাইকেল-পিকআপ ভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল নিহত হয়েছে। নিহত মোটরসাইকেল চালক দৌলতদিয়াড়ের মৃত. ফটিকের ছেলে ফয়জুল ড্রাইভার (৫০)। গত রবিবার রাতে এ দূর্ঘটনা ঘটে।বোয়লমারি দক্ষিণপাড়া নানির বাড়িতে বেড়াতে এসে, রাস্তা পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাফী (৬) নামের এক শিশু গুরুতর জখম হয়। আহত শিশু কুষ্টিয়ার মৃত আকুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় সাফীর শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।একইদিন মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় কার্পাসডাঙ্গা মষিনপাড়ার মৃত. সবুজ আরীর ছেলে আকবর আলী (৫৭) নামের এক বৃদ্ধ গুরুতর জখম হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কুতুবপুর ফাঁড়ির সামনে একটি কুকুরের সাথে ধাক্কা লেগে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত আকবর আলীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এদিকে, দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে আলমসাধুর ধাক্কায় এক বাইসাইকেল চালক গুরুতর জখম হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে নানীর বাসা থেকে ফেরার পথে বাইসাইকেল চালক গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনায় তার একটি হাত ও পা ভেঙ্গে যায়। আহত সাইকেল চালক দামুড়হুদা দর্শনা পাড়ার শাহিন আক্তারের ছেলে রাজন বিশ্বাস।