শিরোনাম :
Logo জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা Logo দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদকের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ! Logo গল্লামারী মৎস্য খামার হস্তান্তরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খুবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি Logo ইবিতে হিন্দু ধর্ম অবমাননার অভিযোগে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি Logo খুবির আবাসন সংকট ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ নিরসনে বাধা গল্লামারী মৎস্য খামার Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটির সভাপতি নিতু, সাধারণ সম্পাদক রিদয় Logo ডাঃ আব্দুল হাই ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: ৯৩ কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি সনদ ও নগদ সহায়তা প্রদান Logo সিরাজগঞ্জে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল! প্রশাসনের তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ Logo আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জবির ফিন্যান্স ১৭তম ব্যাচের সহপাঠীদের বিবৃতি

ভালো চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গার উঠতি বয়সি যুবকদের সাথে অভিনব কায়দায় প্রতারণা

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:৫৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৫ জুন ২০১৮
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

উইনেক্স ট্রেড কর্পোরেশন কোম্পানির চুয়াডাঙ্গার তিন সহযোগী আটক
নিউজ ডেস্ক: ভাল বেতনের চাকুরির স্বপ্নে ঢাকাতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার বেশ কিছু এলাকার উঠতি বয়সি কয়েকজন যুবক। সিকিউরিটির নামে ১৮ জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা। পরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে ঢাকার গুলশান-২ নতুন বাজার এলাকার উইনেক্স ট্রেড কর্পোরেশন লিমিটেড কোম্পানির চুয়াডাঙ্গার তিন সহযোগীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। আটককৃতরা হল- সরিষাডাঙ্গা এলাকার মামুন (২৭), তুহিন আলী (২৬) ও সোহেল হোসেন (২৭)। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
জানা যায়, ডেসটিনি আদলের ঢাকার গুলশান-২ নতুন বাজার এলাকার উইনেক্স ট্রেড কর্পোরেশন লিমিটেড কোম্পানি প্রথমে চুয়াডাঙ্গার কিছু ছেলেকে তাদের প্রতারণার জালে জড়িয়ে নেয়। এদের দেয়া হয় রুম লিডার পদবি। পরে তাদের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা’র উঠতি বয়সি বেকার যুবকদের টার্গেট করে তারা। এসকল উঠতি বয়সি যুবকদের ভাল বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে ঢাকাতে কোম্পানির অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শুরু হয় চাকুরি দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার নাটক। নেয়া হয় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা। এরপর নির্বাচিত প্রত্যেকের কাছ থেকে কোম্পানির সিকিউরিটি সিস্টেমের নাম করে নেয়া হয় ৪৬ হাজার টাকা। পরে টাকা নেয়ার পর্ব শেষে তাদের দেয়া হয় উচ্চ মাত্রার ট্রেনিং। সে সময় দেখানো হয় কিছু স্বল্প মূলের প্রডাক্ট বিক্রি করতে হবে তাদের। সে হিসেবে তাদের কারো কারো কছে কিছু প্রোডাক্ট দেয়া হয়। পরে শেখানো হয় তোমরাও এভাবে চাকুরি প্রত্যাশিদের ঢাকাতে নিয়ে আসতে পারলে বকশিস স্বরুপ পাবা ৫ হাজার টাকা। সেখানেও আছে শর্ত। যদি একজনকে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে বকশিস পাওয়া যাবে না। ট্রেনিং অনুযায়ী ডান হাতের একজন গ্রাহক পূর্ণ হলে বাম হাতের ওপর আর একজন গ্রাহক ম্যানেজ করতে হবে তবেই পূর্ণ হবে একটি সার্কেল। সার্কেল পূর্ণ হলেই পাওয়া যাবে ১০ হাজার টাকা। ট্রেনিং পর্ব শেষ হলে যুবকরা যখন বুঝতে পারে তারা বড় ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছে। তখন টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করে কোম্পানির কর্মকর্তারা বলে এই টাকা তোমরা আর ফেরত পাবা না। নেয়া হয় জোর পূর্বক স্বাক্ষর। পরে সেখান থেকে বিতাড়িত করা হয় তাদের।
এদিকে প্রতারণার শিকার এ সকল যুবক দিশেহারা হয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। পরে পর্যায়ক্রমে একে ওপরের সাথে যোগাযোগ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করে। পরে জেলা প্রশাসক অভিযোগটি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কাছে হস্তান্তর করলে তিনি সদর থানাকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। পরে সদর থানা অভিযান চালিয়ে গতকাল তিন প্রতারককে আটক করে থানা হেফাজতে নেন।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (অপারেশন) আমির আব্বাস তিন প্রতারকের আটকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সময়ের সমীকরণকে জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষ মারফত প্রতারণার বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবার ৬টার পরে সরিষাডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চলিয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা

ভালো চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গার উঠতি বয়সি যুবকদের সাথে অভিনব কায়দায় প্রতারণা

আপডেট সময় : ১০:৫৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৫ জুন ২০১৮

উইনেক্স ট্রেড কর্পোরেশন কোম্পানির চুয়াডাঙ্গার তিন সহযোগী আটক
নিউজ ডেস্ক: ভাল বেতনের চাকুরির স্বপ্নে ঢাকাতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার বেশ কিছু এলাকার উঠতি বয়সি কয়েকজন যুবক। সিকিউরিটির নামে ১৮ জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা। পরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে ঢাকার গুলশান-২ নতুন বাজার এলাকার উইনেক্স ট্রেড কর্পোরেশন লিমিটেড কোম্পানির চুয়াডাঙ্গার তিন সহযোগীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। আটককৃতরা হল- সরিষাডাঙ্গা এলাকার মামুন (২৭), তুহিন আলী (২৬) ও সোহেল হোসেন (২৭)। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
জানা যায়, ডেসটিনি আদলের ঢাকার গুলশান-২ নতুন বাজার এলাকার উইনেক্স ট্রেড কর্পোরেশন লিমিটেড কোম্পানি প্রথমে চুয়াডাঙ্গার কিছু ছেলেকে তাদের প্রতারণার জালে জড়িয়ে নেয়। এদের দেয়া হয় রুম লিডার পদবি। পরে তাদের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা’র উঠতি বয়সি বেকার যুবকদের টার্গেট করে তারা। এসকল উঠতি বয়সি যুবকদের ভাল বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে ঢাকাতে কোম্পানির অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শুরু হয় চাকুরি দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার নাটক। নেয়া হয় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা। এরপর নির্বাচিত প্রত্যেকের কাছ থেকে কোম্পানির সিকিউরিটি সিস্টেমের নাম করে নেয়া হয় ৪৬ হাজার টাকা। পরে টাকা নেয়ার পর্ব শেষে তাদের দেয়া হয় উচ্চ মাত্রার ট্রেনিং। সে সময় দেখানো হয় কিছু স্বল্প মূলের প্রডাক্ট বিক্রি করতে হবে তাদের। সে হিসেবে তাদের কারো কারো কছে কিছু প্রোডাক্ট দেয়া হয়। পরে শেখানো হয় তোমরাও এভাবে চাকুরি প্রত্যাশিদের ঢাকাতে নিয়ে আসতে পারলে বকশিস স্বরুপ পাবা ৫ হাজার টাকা। সেখানেও আছে শর্ত। যদি একজনকে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে বকশিস পাওয়া যাবে না। ট্রেনিং অনুযায়ী ডান হাতের একজন গ্রাহক পূর্ণ হলে বাম হাতের ওপর আর একজন গ্রাহক ম্যানেজ করতে হবে তবেই পূর্ণ হবে একটি সার্কেল। সার্কেল পূর্ণ হলেই পাওয়া যাবে ১০ হাজার টাকা। ট্রেনিং পর্ব শেষ হলে যুবকরা যখন বুঝতে পারে তারা বড় ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছে। তখন টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করে কোম্পানির কর্মকর্তারা বলে এই টাকা তোমরা আর ফেরত পাবা না। নেয়া হয় জোর পূর্বক স্বাক্ষর। পরে সেখান থেকে বিতাড়িত করা হয় তাদের।
এদিকে প্রতারণার শিকার এ সকল যুবক দিশেহারা হয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। পরে পর্যায়ক্রমে একে ওপরের সাথে যোগাযোগ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করে। পরে জেলা প্রশাসক অভিযোগটি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কাছে হস্তান্তর করলে তিনি সদর থানাকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। পরে সদর থানা অভিযান চালিয়ে গতকাল তিন প্রতারককে আটক করে থানা হেফাজতে নেন।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (অপারেশন) আমির আব্বাস তিন প্রতারকের আটকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সময়ের সমীকরণকে জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষ মারফত প্রতারণার বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবার ৬টার পরে সরিষাডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চলিয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।