শনিবার | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo মনোহরদীতে বিএজেএসএম মডেল কলেজে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ Logo মতলব দক্ষিণ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট ও বার্মিজ লুঙ্গিসহ ২২ জন পাচারকারী আটক Logo কচুয়ায় র‍্যাবের অভিযানে ৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ

চুয়াডাঙ্গা ছয়ঘরিয়ার কলেজছাত্র শিমুল হত্যা মামলায় রায়

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৩ জুন ২০১৮
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

সেকেন্দার ওরফে সেকেনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
নিউজ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গায় কলেজছাত্র শিমুল হত্যা মামলায় সেকেন্দার ওরফে সেকেন নামের এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামীরা উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত সেকেন্দার ওরফে সেকেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ানের ছয়ঘরিয়া গ্রামের কচুখালিপাড়ার শাহাজান আলির ছেলে। মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে অজ্ঞাত কয়েকজন দুর্বৃত্ত অপহরণ করে নিয়ে যায় একই গ্রামের কচুখালিপাড়ার আহম্মদ আলির ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের ছাত্র শিমুল আলিকে। পর দিন সকালে ছয়ঘরিয়া গ্রামের মুচিপাড়ার মাঠের ভুট্রা ক্ষেতে শিমুলের লাশ গ্রামবাসী পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে শিমুলের পিতা আহম্মদ আলি বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই রবিউল ইসলাম একই বছরের ১৫ সেপ্টম্বর আদালতে সেকেন্দার ওরফে সেকেন ও একই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে হাসানের নাম উল্লেখ চার্জশিট দাখিল করেন। এ হত্যা মামলায় ২৮ জন স্বাক্ষীর মধ্য ১৭ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য নেওয়া হয়। দীর্ঘ ৪ বছর বিচার কার্যক্রম শেষে মঙ্গলবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহা. রবিউল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতি জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিচারক সেকেন্দার ওরফে সেকেনকে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড, দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং দন্ডবিধির ২০১ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। অন্য আসামী হাসানকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত। সন্ধ্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী সেকেন্দার ওরফে সেকেনকে পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মনোহরদীতে বিএজেএসএম মডেল কলেজে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

চুয়াডাঙ্গা ছয়ঘরিয়ার কলেজছাত্র শিমুল হত্যা মামলায় রায়

আপডেট সময় : ০৯:০৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৩ জুন ২০১৮

সেকেন্দার ওরফে সেকেনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
নিউজ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গায় কলেজছাত্র শিমুল হত্যা মামলায় সেকেন্দার ওরফে সেকেন নামের এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামীরা উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত সেকেন্দার ওরফে সেকেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ানের ছয়ঘরিয়া গ্রামের কচুখালিপাড়ার শাহাজান আলির ছেলে। মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে অজ্ঞাত কয়েকজন দুর্বৃত্ত অপহরণ করে নিয়ে যায় একই গ্রামের কচুখালিপাড়ার আহম্মদ আলির ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের ছাত্র শিমুল আলিকে। পর দিন সকালে ছয়ঘরিয়া গ্রামের মুচিপাড়ার মাঠের ভুট্রা ক্ষেতে শিমুলের লাশ গ্রামবাসী পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে শিমুলের পিতা আহম্মদ আলি বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই রবিউল ইসলাম একই বছরের ১৫ সেপ্টম্বর আদালতে সেকেন্দার ওরফে সেকেন ও একই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে হাসানের নাম উল্লেখ চার্জশিট দাখিল করেন। এ হত্যা মামলায় ২৮ জন স্বাক্ষীর মধ্য ১৭ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য নেওয়া হয়। দীর্ঘ ৪ বছর বিচার কার্যক্রম শেষে মঙ্গলবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহা. রবিউল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতি জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিচারক সেকেন্দার ওরফে সেকেনকে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড, দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং দন্ডবিধির ২০১ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। অন্য আসামী হাসানকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত। সন্ধ্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী সেকেন্দার ওরফে সেকেনকে পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয়।