শিরোনাম :
Logo বাংলাদেশে পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার Logo সাতক্ষীরায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প Logo রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo বই মাসের শ্রেষ্ঠ সারথি পুরস্কার পাচ্ছেন জয়ন্তী ভৌমিক Logo সহপাঠীদের সাথে পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু Logo রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সাইবার স্পেসে জুয়ার শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড Logo ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন Logo ইবিতে যোগ হচ্ছে ইলেকট্রিক কার সেবা Logo সংযোগ সড়কহীনতায় দুর্ভোগে উত্তর সেঙ্গুয়া-আশারকোটা এলাকার মানুষ”

বীরগঞ্জে ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে কৃষকদের ক্ষেত নষ্ট, প্রশাসন নিরব

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:৫৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২ জুন ২০১৮
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ১টি ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে কৃষকদের প্রায় ২০ একর জমির ধানক্ষেত, কলাবাগান, বাঁশের বাগান সহ ফলজ ও বনজ গাছ নষ্ট হয়ে গেছে, ঘটনাটি জানার পরেও প্রশাসন নিরব রয়েছে।
উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের সাদুল্যাপাড়া এলাকায় আবাদি জমির উপর আর.ডি.এফ ইট ভাটা তৈরী করেন দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গুল্লা এলাকার জনৈক আলমাস হোসেন। গত ২৯ মে ভাটার বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে দিলে গ্যসের প্রভাবে এলাকার পার্শ্ববর্তী জমির ইউক্যালিপটাস গাছ, ফলজ ও বনজ গাছ, ধানক্ষেত, জলপাই গাছ, বাঁশের ঝাড়, কলাবাগানে আকশ্মিক মড়ক দেখা দিলে ধান চাষী জয়নাল, গফুর, সাইদুল, মানিক, মান্নান, বিধান, লক্ষীরাম, রবি টুডু, ইয়াকুব, পুশুরাম, ভূয়া সহ প্রায় ১৪ জন কৃষক এই মড়কের কারন হিসেবে ভাটা কতৃপক্ষকে দায়ী করে স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়া সহ কৃষি অফিসে অভিযোগ দেয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নাই।
এ ব্যাপারে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমৃকা চরন রায় জানায়, গত ৩১ মে তার ও স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে ভাটা পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কিছু টাকা দিয়ে আপোষ করে। তবে তারা আইনগত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনী।
অপরদিকে কলাচাষী, ফলজ ও বনজ গাছ মালিকের সাথে সাক্ষাত করলে তারা জানান, ধান চাষীরা যথা সামান্য ক্ষতিপূরণ পাইলেও আশপাশের আরো অনেক কৃষকই ভাটা পক্ষের দাপটে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারে নাই।
আর.ডি.এফ ইট ভাটার ম্যানেজার মান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্ষতির ঘটনা স্বীকার করে জানান, বর্তমানে নতুন আইন অনুযায়ী এই হাওয়া ভাটার ফিক্সড চিমনীর উচ্চতার ১২০ ফিটের স্থলে মাত্র ৬০ ফিট উচ্চতার চিমনী দিয়েই ইট পোড়ানোর কাজ চলছে। দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার নিচু চিমনীর গ্যাস ও তাপের কারনে অনাকাঙ্খিত এমন ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় কৃষক ও সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, কোন খুটির বলে এই অবৈধ ভাটাটি মাত্র ৬০ ফিট উচ্চতার চিমনী দিয়ে আবাদি জমির উপর ইট পোড়ানোর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যা উধ্বর্তন কৃতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার

বীরগঞ্জে ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে কৃষকদের ক্ষেত নষ্ট, প্রশাসন নিরব

আপডেট সময় : ০৭:৫২:৫৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২ জুন ২০১৮

এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ১টি ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে কৃষকদের প্রায় ২০ একর জমির ধানক্ষেত, কলাবাগান, বাঁশের বাগান সহ ফলজ ও বনজ গাছ নষ্ট হয়ে গেছে, ঘটনাটি জানার পরেও প্রশাসন নিরব রয়েছে।
উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের সাদুল্যাপাড়া এলাকায় আবাদি জমির উপর আর.ডি.এফ ইট ভাটা তৈরী করেন দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গুল্লা এলাকার জনৈক আলমাস হোসেন। গত ২৯ মে ভাটার বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে দিলে গ্যসের প্রভাবে এলাকার পার্শ্ববর্তী জমির ইউক্যালিপটাস গাছ, ফলজ ও বনজ গাছ, ধানক্ষেত, জলপাই গাছ, বাঁশের ঝাড়, কলাবাগানে আকশ্মিক মড়ক দেখা দিলে ধান চাষী জয়নাল, গফুর, সাইদুল, মানিক, মান্নান, বিধান, লক্ষীরাম, রবি টুডু, ইয়াকুব, পুশুরাম, ভূয়া সহ প্রায় ১৪ জন কৃষক এই মড়কের কারন হিসেবে ভাটা কতৃপক্ষকে দায়ী করে স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়া সহ কৃষি অফিসে অভিযোগ দেয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নাই।
এ ব্যাপারে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমৃকা চরন রায় জানায়, গত ৩১ মে তার ও স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে ভাটা পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কিছু টাকা দিয়ে আপোষ করে। তবে তারা আইনগত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনী।
অপরদিকে কলাচাষী, ফলজ ও বনজ গাছ মালিকের সাথে সাক্ষাত করলে তারা জানান, ধান চাষীরা যথা সামান্য ক্ষতিপূরণ পাইলেও আশপাশের আরো অনেক কৃষকই ভাটা পক্ষের দাপটে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারে নাই।
আর.ডি.এফ ইট ভাটার ম্যানেজার মান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্ষতির ঘটনা স্বীকার করে জানান, বর্তমানে নতুন আইন অনুযায়ী এই হাওয়া ভাটার ফিক্সড চিমনীর উচ্চতার ১২০ ফিটের স্থলে মাত্র ৬০ ফিট উচ্চতার চিমনী দিয়েই ইট পোড়ানোর কাজ চলছে। দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার নিচু চিমনীর গ্যাস ও তাপের কারনে অনাকাঙ্খিত এমন ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় কৃষক ও সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, কোন খুটির বলে এই অবৈধ ভাটাটি মাত্র ৬০ ফিট উচ্চতার চিমনী দিয়ে আবাদি জমির উপর ইট পোড়ানোর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যা উধ্বর্তন কৃতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।