শিরোনাম :
Logo শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত Logo আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামাব না : শামীমা ইয়াছমিন Logo বোমা হামলায় পৃথিবীতে যত লোক মারা যায় তারচেয়ে বেশি বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় -পঞ্চগড়ে তারিকুল ইসলাম Logo বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে অভিনেত্রী Logo এশিয়া কাপের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা বিসিবির Logo ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ ফখরের Logo নাটকীয় জয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করল ভারত Logo কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরন Logo হাতপাখার প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র সাথে পূর্ব ফতেহপুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় Logo আ’লীগের আরও ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে খাবারে পঁচা শামুকের ঘটনা : কঠোর সিভিল সার্জন

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:৩৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩১ মে ২০১৮
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

রাঁধুনি নূরজাহানকে শোকজ : তিন সদস্যের তদন্তটিম গঠন
নিউজ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের রোগীদের জন্য সরবরাহকৃত খাবারে পঁচা শামুক পাওয়ার ঘটনা উর্দ্ধতন মহলের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সময়ের সমীকরণ’এ প্রকাশিত সংবাদ দেখে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম। গতকাল বুধবার রাঁধুনি নূরজাহানকে শোকজ করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের টিম গঠন করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম বলেন, রোগীর খাবারে পচা শামুকের বিষয়টি আসলেই খুব ন্যাক্কারজনক। আমরা রাধুনী নূরজাহানকে ডেকে কৈফয়ৎ তলব করেছি। পাশাপাশি তাকে শোকজ করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭দিনের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। তদন্ত অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিদিন খাবার পরিবেশনের পূর্বে খাবারের ওজন, মান ও খাবার বুঝে নেয়ার জন্য নার্সিং ইনস্টিউটের সুপার ভাইজারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার। সিভিল সার্জনের দৃষ্টিতে এমন ন্যাক্কারজনক একটি ঘটনায় কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শামিম কবির উত্তেজিত স্বরে বলেন, ‘তোমার বউয়ের চুল যদি খাবারের ভিতর পড়ে তুমি কি করবে তখন? অতঃপর নিজের প্রশ্নের জবাবে নিজেই বলেন, বকাঝকা করবা তাইতো? আমরাও তাকে ডেকে বকাঝকা করেছি তার পরে ছেড়ে দিয়েছি।’
গত মঙ্গলবার রাতে সদর হাসপাতালের এক রোগীকে খাবার দেয়ার সময় পঁচা শামুকটি খাবারের পাত্রে দৃশ্যমান হয়। ওই সময় থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলেও ভুক্তভোগী রোগী ও তার স্বজনরা সাংবাদিকদের কাছে এসব অনিয়মের অভিযোগ করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের রোগীদের খাবার নিয়ে এই তেলেসমাতী কাজ কারবার চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই; যা দেখার মত কেউ নেই বললেই চলে। দু’দফায় রোগী প্রতি বরাদ্দ বেড়ে ১২৫ টাকা হলেও খাবারের মান বাড়েনি কিঞ্চিৎ। চিকন চালের বদলে দেয়া হয় মোটা চালের ভাত। ডালে মেশানো হয় অতিরিক্ত পানি, মাছ-মাংসের সাইজ নামকাওয়াস্তে। এসবও ঠিকমতো রোগীদের ভাগ্যে জোটে না। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে খাবার কিনে খেতে হয় তাদের। হাসপাতালের রান্না ঘর থেকে পাচার হয়ে সরকারি খাবার চলে যায় প্রভাবশালীদের পেটে। ঠিকমত মনিটরিং না থাকায় প্রতিটি বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন দ্বায়সারা ভাব; যা অবাঞ্চিত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে খাবারে পঁচা শামুকের ঘটনা : কঠোর সিভিল সার্জন

আপডেট সময় : ০৬:৪০:৩৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩১ মে ২০১৮

রাঁধুনি নূরজাহানকে শোকজ : তিন সদস্যের তদন্তটিম গঠন
নিউজ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের রোগীদের জন্য সরবরাহকৃত খাবারে পঁচা শামুক পাওয়ার ঘটনা উর্দ্ধতন মহলের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সময়ের সমীকরণ’এ প্রকাশিত সংবাদ দেখে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম। গতকাল বুধবার রাঁধুনি নূরজাহানকে শোকজ করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের টিম গঠন করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম বলেন, রোগীর খাবারে পচা শামুকের বিষয়টি আসলেই খুব ন্যাক্কারজনক। আমরা রাধুনী নূরজাহানকে ডেকে কৈফয়ৎ তলব করেছি। পাশাপাশি তাকে শোকজ করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭দিনের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। তদন্ত অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিদিন খাবার পরিবেশনের পূর্বে খাবারের ওজন, মান ও খাবার বুঝে নেয়ার জন্য নার্সিং ইনস্টিউটের সুপার ভাইজারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার। সিভিল সার্জনের দৃষ্টিতে এমন ন্যাক্কারজনক একটি ঘটনায় কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শামিম কবির উত্তেজিত স্বরে বলেন, ‘তোমার বউয়ের চুল যদি খাবারের ভিতর পড়ে তুমি কি করবে তখন? অতঃপর নিজের প্রশ্নের জবাবে নিজেই বলেন, বকাঝকা করবা তাইতো? আমরাও তাকে ডেকে বকাঝকা করেছি তার পরে ছেড়ে দিয়েছি।’
গত মঙ্গলবার রাতে সদর হাসপাতালের এক রোগীকে খাবার দেয়ার সময় পঁচা শামুকটি খাবারের পাত্রে দৃশ্যমান হয়। ওই সময় থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলেও ভুক্তভোগী রোগী ও তার স্বজনরা সাংবাদিকদের কাছে এসব অনিয়মের অভিযোগ করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের রোগীদের খাবার নিয়ে এই তেলেসমাতী কাজ কারবার চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই; যা দেখার মত কেউ নেই বললেই চলে। দু’দফায় রোগী প্রতি বরাদ্দ বেড়ে ১২৫ টাকা হলেও খাবারের মান বাড়েনি কিঞ্চিৎ। চিকন চালের বদলে দেয়া হয় মোটা চালের ভাত। ডালে মেশানো হয় অতিরিক্ত পানি, মাছ-মাংসের সাইজ নামকাওয়াস্তে। এসবও ঠিকমতো রোগীদের ভাগ্যে জোটে না। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে খাবার কিনে খেতে হয় তাদের। হাসপাতালের রান্না ঘর থেকে পাচার হয়ে সরকারি খাবার চলে যায় প্রভাবশালীদের পেটে। ঠিকমত মনিটরিং না থাকায় প্রতিটি বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন দ্বায়সারা ভাব; যা অবাঞ্চিত।