ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ অন্যের ফসলি জমি ব্যাপক ভাবে বিনষ্ট করে নিজের কেনা জমি পর্যন্ত রাস্তা করে সেচ্ছাচারীতার নজীর স্থাপন করলেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজম। সরেজমিন দেখা গেছে, শৈলকুপা পৌর এলাকার হাজামপাড়া মাঠে ব্র্যাক অফিসের উত্তরে ১৫০ ফিট লম্বা এ কাঁচা রাস্তার কাজ তিনি শেষ করেছেন। জানা গেছে, শৈলকুপা মৌজার ৬০১১ নং দাগে পৌর মেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতা কাজী আশরাফুল আজমের ২৫ শতক জমি ক্রয় করেন। উক্ত জমিটি কেনার সময় সেখানে ফসলি জমি হওয়ায় কোন রাস্তা ছিলনা। জমিটির আশপাশ মাঠ। কিন্তু পৌর মেয়র ঐ জমিতে যাতায়াতের জন্য ১০ ফিট প্রশস্ত ও ১৫০ ফিট দৈর্ঘ্য একটি রাস্তা পৌর তহবিল থেকে অনুমোদন করেন। উক্ত রাস্তা নির্মানের স্বার্থে পার্শ্ববর্তী জমির (যার দাগ নং-৬০০৪ ও ৬০০৫) মালিকের বিনা অনুমতিতে বাড়ন্ত পাট ক্ষেত বিনষ্ট করে সেখানে রাস্তা নির্মান করা হয়। এতে উক্ত জমির মালিক ও আশপাশের লোকজন অসহায় হয়ে পড়েন। ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক শক্তি সাহা ও লাল্টু জানান, তাদের বিনা অনুমতিতেই বাড়ন্ত পাট ক্ষেত কেটে মেয়র তার নিজের জমি পর্যন্ত রাস্তা টেনে নিয়ে গেছেন। যেহেতু এটি ফসলি জমি ও রাস্তার উভয়পাশে কোন বাড়ীঘর নেই সেহেতু মেয়রের নিজ প্রয়োজনেই এই রাস্তা নির্মান করা হয়েছে বলে তাদের দাবী। পৌর এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাটের বেহাল দশা সত্বেও সেদিকে নজর না দিয়ে নিজের জমিতে অহেতুক পৌর তহবিলের টাকা তছরুপ করে রাস্তা নির্মান করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম। এ বিষয়ে শৈলকুপা পৌর মেয়রের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সেখানকার জমি সব বিক্রি হয়ে গেছে। তাই আমার প্রয়োজনে নয়, তাদের অনুরোধে সেখানে রাস্তা করা হয়েছে। তাই আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ঠিক নয়। শৈলকুপা পৌরসভার সচিব নুর মোহাম্মদ বলেন, সেখানে পৌরসভার তহবিলে রাস্তা হয়েছে এটা আমি জানি না। তবে বিল নেওয়ার সময় হয়তো আমি জানবো।
মঙ্গলবার
৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ