মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষীপুর প্রতিনিধি:- পারুল বেগম (৪৩)। জোহরা ও সম বয়সি। চট্টগ্রাম শহরের বরিশাল কলোনিতে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে যাদের পরিচয় ‘ভাবি’ হিসেবে। আবার মাদক বেচাকেনার দায়িত্বে থাকা নারীদের কাছে তার পরিচয় ‘আপা’। সেক্স প্রত্যাশাদিরে কাছেও ভাবি। এককথায় চট্টগ্রামের অন্ধকার জগত তাদের নিয়ন্ত্রনে।
পারুল বেগম ও জোহরা নগরীর অন্যতম মাদকস্পট বরিশাল কলোনির মাদক ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক। তার অধীনেমাদক বেচাকেনার কাজ করে প্রায় ৪০ জন নারী এবং ৩০ জন ১২-১৪ বছর বয়সী শিশু। গরিব নারী ও শিশুদের টার্গেট করে অর্থের লোভ দেখিয়ে দলে ভেড়ায় পারুল বেগম। এদের দিয়ে মাদক বিক্রি ও পাচারের কাজ চালিয়ে যায় বরিশাল কলোনির মাদক ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক ভাবি পারুল বেগম।
বৃহস্পতিবার (২৪ মে) মধ্যরাতে বরিশাল কলোনিতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া পারুল বেগম সম্পর্কে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এসএম মোস্তাইন হোসাইনের নেতৃত্বে সদরঘাট থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে গ্রেফতার হয় পারুল বেগমের সহযোগী জহুরা বেগম (৫৬) নামে আরেক নারী। উদ্ধার করা হয় নালার ভেতরে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা ৬৫০ টি ফেনসিডিলের বোতল ।
অভিযানে সিএমপির দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবদুর রউফ, সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম, সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিনসহ অর্ধশতাধিক পুলিশ অংশ নেয়। রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোররাত ৩টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। ওসি মো. নেজাম উদ্দিন প্রতিবেদককে বলেন, বরিশাল কলোনির আরেক মাদক ব্যবসায়ী মো. লোকমানের ভাড়া ঘরে বসবাস করা পারুল বেগম মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর গা ঢাকা দেয়।
বৃহস্পতিবার রাতে আগে মজুদ করা ফেনসিডিল সরানোর জন্য আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। ল²ীপুর জেলার সদর থানার চর রুহুতি এলাকার মো. জাহাঙ্গীরের স্ত্রী পারুল বেগম গত ১২ বছর ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানান ওসি নেজাম উদ্দিন। গ্রেফতার জহুরা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার মানিক মিয়ার বাড়ির আবুল হোসেনের স্ত্রী। পারুল বেগম সরাসরি ভারত থেকে এসব ফেনসিডিল নিয়ে আসেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।