শিরোনাম :
Logo শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত Logo আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামাব না : শামীমা ইয়াছমিন Logo বোমা হামলায় পৃথিবীতে যত লোক মারা যায় তারচেয়ে বেশি বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় -পঞ্চগড়ে তারিকুল ইসলাম Logo বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে অভিনেত্রী Logo এশিয়া কাপের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা বিসিবির Logo ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ ফখরের Logo নাটকীয় জয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করল ভারত Logo কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরন Logo হাতপাখার প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র সাথে পূর্ব ফতেহপুর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় Logo আ’লীগের আরও ১১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

নান্দাইলে সংখ্যালঘু পরিবারের দোকানপাটে হামলা \ থানায় মামলা দায়ের

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:২২:০০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ মে ২০১৮
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

রফিকুল ইসলাম রফিক, নান্দাইল প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের শাইলধরা বাজারে বুধবার রাতে সংখ্যালঘু রবিদাস পরিবারের দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায় নিজবানাইল গ্রামের কতিপয় সন্ত্রাসীরা। জানাযায়, চন্ডীপাশা ইউনিয়নের শাইলধরা বাজারে রমেশ, সুমন রবিদাস, কুবলাল গং সংখ্যালঘু পরিবারের শাইলধরা বাজারে দখলকৃত ৮শতাংশ ভূমি স্থানীয় নিজবানাইল গ্রামের মৃত আব্দুল মমিন আকন্দের পুত্র হারুন আকন্দ, কাইয়ূম আকন্দ, খোকন আকন্দ, কাজল, রফিক আকন্দ, দুলাল, সবুজ, দেলোয়ার আকন্দ, জমসেদ খা ও ফারুক আকন্দ নিজেদের দখলে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিবন যাবত চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে বুধবার রাতে তারাবীর নামাজের সময় স্থানীয় এই প্রভাবশালী চক্র অজ্ঞাত ৩০/৪০জন সহ উক্ত সংখ্যালঘু পরিবারের ২০টি দোকানপাটে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে দোকানপাট মাটিতে মিশিয়ে দেয় এবং লুটপাট সহ কয়েক লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতি সাধন করে। একটি ফার্ণিচারের দোকানের মালামাল মিনি ট্রাকযোগে লুটপাট করে নিয়ে যায়। উক্ত হামলার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে সারারাত সেখানে অবস্থান গ্রহন করে। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল ইসলাম মিঞা হামলার ঘটনাটি নিশ্চিত করেন। উক্ত ঘটনায় কুবলাল রবি দাসের পুত্র সুমন রবি দাস বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় ১০জনের নাম উল্লেখ সহ একটি এজাহার দায়ের করেন। সুমন রবি দাস জানান, “বর্তমানে তারা খুবই নিরপত্তাহীনতায় ভোগছেন। বাজারের দোকানপাট ভাঙ্গার পর যেকোন সময় আমাদের বাড়ীঘরে হামলা সহ মহিলাদের উঠিয়ে নিয়ে যাবার হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। ” বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নান্দাইল উপজেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট মকবুল হোসেন সরকার সহ কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, “দলবেধে প্রকাশ্যে বাজারে এধরনের হামলা সমর্থনযোগ্য নয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামিদের গ্রেফতার সহ এই সংখ্যালঘু পরিবারটির নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য দাবী জানান।” স্থানীয় মিডিয়াকর্মীরা বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাংচুরকৃত দোকানপাট দেখতে পান এবং সংখ্যালঘু পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের অসহায়ত্বের কথা জানতে পারেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ মাহবুব আলমের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত

নান্দাইলে সংখ্যালঘু পরিবারের দোকানপাটে হামলা \ থানায় মামলা দায়ের

আপডেট সময় : ০৮:২২:০০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ মে ২০১৮

রফিকুল ইসলাম রফিক, নান্দাইল প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের শাইলধরা বাজারে বুধবার রাতে সংখ্যালঘু রবিদাস পরিবারের দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায় নিজবানাইল গ্রামের কতিপয় সন্ত্রাসীরা। জানাযায়, চন্ডীপাশা ইউনিয়নের শাইলধরা বাজারে রমেশ, সুমন রবিদাস, কুবলাল গং সংখ্যালঘু পরিবারের শাইলধরা বাজারে দখলকৃত ৮শতাংশ ভূমি স্থানীয় নিজবানাইল গ্রামের মৃত আব্দুল মমিন আকন্দের পুত্র হারুন আকন্দ, কাইয়ূম আকন্দ, খোকন আকন্দ, কাজল, রফিক আকন্দ, দুলাল, সবুজ, দেলোয়ার আকন্দ, জমসেদ খা ও ফারুক আকন্দ নিজেদের দখলে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিবন যাবত চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে বুধবার রাতে তারাবীর নামাজের সময় স্থানীয় এই প্রভাবশালী চক্র অজ্ঞাত ৩০/৪০জন সহ উক্ত সংখ্যালঘু পরিবারের ২০টি দোকানপাটে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে দোকানপাট মাটিতে মিশিয়ে দেয় এবং লুটপাট সহ কয়েক লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতি সাধন করে। একটি ফার্ণিচারের দোকানের মালামাল মিনি ট্রাকযোগে লুটপাট করে নিয়ে যায়। উক্ত হামলার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে সারারাত সেখানে অবস্থান গ্রহন করে। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল ইসলাম মিঞা হামলার ঘটনাটি নিশ্চিত করেন। উক্ত ঘটনায় কুবলাল রবি দাসের পুত্র সুমন রবি দাস বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় ১০জনের নাম উল্লেখ সহ একটি এজাহার দায়ের করেন। সুমন রবি দাস জানান, “বর্তমানে তারা খুবই নিরপত্তাহীনতায় ভোগছেন। বাজারের দোকানপাট ভাঙ্গার পর যেকোন সময় আমাদের বাড়ীঘরে হামলা সহ মহিলাদের উঠিয়ে নিয়ে যাবার হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। ” বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নান্দাইল উপজেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট মকবুল হোসেন সরকার সহ কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, “দলবেধে প্রকাশ্যে বাজারে এধরনের হামলা সমর্থনযোগ্য নয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামিদের গ্রেফতার সহ এই সংখ্যালঘু পরিবারটির নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য দাবী জানান।” স্থানীয় মিডিয়াকর্মীরা বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাংচুরকৃত দোকানপাট দেখতে পান এবং সংখ্যালঘু পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের অসহায়ত্বের কথা জানতে পারেন।