মঙ্গলবার | ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী Logo পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ Logo টেকনাফে গহীন পাহাড় থেকে নারী ও শিশুসহ ৭ জন উদ্ধার, আটক-৩ Logo কয়রায় জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী  গণসংযোগ Logo ইবিতে প্রশাসনের কমিটি থেকে পদত্যাগ বিএনপিপন্থী ৩ শিক্ষকের Logo খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা প্রত্যাশায় কয়রায় বিএনপির দোয়া মাহফিল Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

নান্দাইলে সংখ্যালঘু পরিবারের দোকানপাটে হামলা \ থানায় মামলা দায়ের

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:২২:০০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ মে ২০১৮
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

রফিকুল ইসলাম রফিক, নান্দাইল প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের শাইলধরা বাজারে বুধবার রাতে সংখ্যালঘু রবিদাস পরিবারের দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায় নিজবানাইল গ্রামের কতিপয় সন্ত্রাসীরা। জানাযায়, চন্ডীপাশা ইউনিয়নের শাইলধরা বাজারে রমেশ, সুমন রবিদাস, কুবলাল গং সংখ্যালঘু পরিবারের শাইলধরা বাজারে দখলকৃত ৮শতাংশ ভূমি স্থানীয় নিজবানাইল গ্রামের মৃত আব্দুল মমিন আকন্দের পুত্র হারুন আকন্দ, কাইয়ূম আকন্দ, খোকন আকন্দ, কাজল, রফিক আকন্দ, দুলাল, সবুজ, দেলোয়ার আকন্দ, জমসেদ খা ও ফারুক আকন্দ নিজেদের দখলে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিবন যাবত চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে বুধবার রাতে তারাবীর নামাজের সময় স্থানীয় এই প্রভাবশালী চক্র অজ্ঞাত ৩০/৪০জন সহ উক্ত সংখ্যালঘু পরিবারের ২০টি দোকানপাটে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে দোকানপাট মাটিতে মিশিয়ে দেয় এবং লুটপাট সহ কয়েক লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতি সাধন করে। একটি ফার্ণিচারের দোকানের মালামাল মিনি ট্রাকযোগে লুটপাট করে নিয়ে যায়। উক্ত হামলার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে সারারাত সেখানে অবস্থান গ্রহন করে। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল ইসলাম মিঞা হামলার ঘটনাটি নিশ্চিত করেন। উক্ত ঘটনায় কুবলাল রবি দাসের পুত্র সুমন রবি দাস বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় ১০জনের নাম উল্লেখ সহ একটি এজাহার দায়ের করেন। সুমন রবি দাস জানান, “বর্তমানে তারা খুবই নিরপত্তাহীনতায় ভোগছেন। বাজারের দোকানপাট ভাঙ্গার পর যেকোন সময় আমাদের বাড়ীঘরে হামলা সহ মহিলাদের উঠিয়ে নিয়ে যাবার হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। ” বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নান্দাইল উপজেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট মকবুল হোসেন সরকার সহ কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, “দলবেধে প্রকাশ্যে বাজারে এধরনের হামলা সমর্থনযোগ্য নয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামিদের গ্রেফতার সহ এই সংখ্যালঘু পরিবারটির নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য দাবী জানান।” স্থানীয় মিডিয়াকর্মীরা বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাংচুরকৃত দোকানপাট দেখতে পান এবং সংখ্যালঘু পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের অসহায়ত্বের কথা জানতে পারেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

নান্দাইলে সংখ্যালঘু পরিবারের দোকানপাটে হামলা \ থানায় মামলা দায়ের

আপডেট সময় : ০৮:২২:০০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ মে ২০১৮

রফিকুল ইসলাম রফিক, নান্দাইল প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের শাইলধরা বাজারে বুধবার রাতে সংখ্যালঘু রবিদাস পরিবারের দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায় নিজবানাইল গ্রামের কতিপয় সন্ত্রাসীরা। জানাযায়, চন্ডীপাশা ইউনিয়নের শাইলধরা বাজারে রমেশ, সুমন রবিদাস, কুবলাল গং সংখ্যালঘু পরিবারের শাইলধরা বাজারে দখলকৃত ৮শতাংশ ভূমি স্থানীয় নিজবানাইল গ্রামের মৃত আব্দুল মমিন আকন্দের পুত্র হারুন আকন্দ, কাইয়ূম আকন্দ, খোকন আকন্দ, কাজল, রফিক আকন্দ, দুলাল, সবুজ, দেলোয়ার আকন্দ, জমসেদ খা ও ফারুক আকন্দ নিজেদের দখলে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিবন যাবত চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে বুধবার রাতে তারাবীর নামাজের সময় স্থানীয় এই প্রভাবশালী চক্র অজ্ঞাত ৩০/৪০জন সহ উক্ত সংখ্যালঘু পরিবারের ২০টি দোকানপাটে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে দোকানপাট মাটিতে মিশিয়ে দেয় এবং লুটপাট সহ কয়েক লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতি সাধন করে। একটি ফার্ণিচারের দোকানের মালামাল মিনি ট্রাকযোগে লুটপাট করে নিয়ে যায়। উক্ত হামলার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে সারারাত সেখানে অবস্থান গ্রহন করে। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল ইসলাম মিঞা হামলার ঘটনাটি নিশ্চিত করেন। উক্ত ঘটনায় কুবলাল রবি দাসের পুত্র সুমন রবি দাস বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় ১০জনের নাম উল্লেখ সহ একটি এজাহার দায়ের করেন। সুমন রবি দাস জানান, “বর্তমানে তারা খুবই নিরপত্তাহীনতায় ভোগছেন। বাজারের দোকানপাট ভাঙ্গার পর যেকোন সময় আমাদের বাড়ীঘরে হামলা সহ মহিলাদের উঠিয়ে নিয়ে যাবার হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। ” বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নান্দাইল উপজেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট মকবুল হোসেন সরকার সহ কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, “দলবেধে প্রকাশ্যে বাজারে এধরনের হামলা সমর্থনযোগ্য নয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামিদের গ্রেফতার সহ এই সংখ্যালঘু পরিবারটির নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য দাবী জানান।” স্থানীয় মিডিয়াকর্মীরা বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাংচুরকৃত দোকানপাট দেখতে পান এবং সংখ্যালঘু পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের অসহায়ত্বের কথা জানতে পারেন।