সোমবার | ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে অফিসের হাটের বেদখল জায়গা উদ্ধারে জোর দাবি: আরইউটিডিপির বরাদ্দে আধুনিক স্থাপনা চায় পৌরবাসী Logo পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ Logo টেকনাফে গহীন পাহাড় থেকে নারী ও শিশুসহ ৭ জন উদ্ধার, আটক-৩ Logo কয়রায় জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী  গণসংযোগ Logo ইবিতে প্রশাসনের কমিটি থেকে পদত্যাগ বিএনপিপন্থী ৩ শিক্ষকের Logo খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা প্রত্যাশায় কয়রায় বিএনপির দোয়া মাহফিল Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  Logo পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত

মেহেরপুরের গাংনীতে শাজাহান হত্যা মামলায় ৭ জনের কারাদন্ড \ ৫০ টাকা করে জরিমানা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:১৭:৩৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ মে ২০১৮
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে

????????????????????????????????????

মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নিশিপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর শাজাহান হত্যা মামলায় গিয়াসউদ্দীন, আলম, ইলিয়াস, ভাদু, সমশের, কাজল ও শহিদুল নামের ৭ জনের যাবজীবন সশ্রমকারাদন্ড। প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ বছর কওে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাঃ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। সাজা প্রাপ্ত গিয়াস উদ্দীন নিশিপুরের সুলতান আলীর ছেলে, ভাদু সমশের আলাউদ্দীনের ছেলে। কাজল একই গ্রামের আলতাফের ছেলে এবং শহিদুল সোলেমানের ছেলে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সমশের পলাতক রয়েছে। সে আটক কিংবা আত্মসর্ম্পরে দিন থেকে তার সাজা শুরু হবে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৯ এপ্রিল গাংনী উপজেলার নিশিপুর গ্রামের নজর আলীর ছেলে শাজাহান ঘটনার দিন তার ঘওে শুয়ে মোবাইল ফোনে গান শুনছিল। ঐ সময় জিনিয়াস স্কুলের শিক্ষক সুলতানের ছেলে গিয়াস উদ্দীন তার বাড়ি প্রবেশ করে গান বন্ধ করতে বলে। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাদানুবাদ হয় এবং স্থানীয় লোকজন বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। এদিকে ঐ দিন বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে আগের ঘটনার জের ধরে গিয়াসের নেতৃত্বে তার লোকজন শাজাহানের বামন্দীস্ত শাজাহানের মটর হাউজে প্রবেশ কওে শাজাহানের উপর হামলা চালায়। হামলায় শাজাহান মারাত্বক আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বামুন্দীর একটি ক্লিনিকে পওে কুষ্টিয়া সবশেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শাজাহানের ভাই হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে গাংনী থানায় ১০ জন কে আসামী করে দন্ড বিধি ৩০২/৩৪, ৪৪৭/৩৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৯। পওে মামলার তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১১ অক্টোম্বরে চার্যশীট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষি তাদের সাক্ষ প্রদান করেন। এতে গিয়াস, আলম, ইলিয়াস, ভাদু, সমশের, কাজল ও সাইদুলের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাদের যাবজীবন সশ্রম কারাদন্ড, প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ বছরের জেল দেন। মামলায় সমসের পলাত করয়েছেন। মামলার অপর আসামী ঝন্টু, মিনা ও কাদারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদ এবং আসামী পক্ষে এ্যাড. সফিকুল আলম কৌশুলী ছিলেন। এর আগে বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেলা ৩টা ১ মিনিটে আদালতে প্রবেশ করেন। এসময় কাটগড়াই উপস্থিত আসামীদের নাম পড়ে শোনান। এর পর পরইতিনিচঞ্চল্যকর এ মামলাররায় ঘোষনাকরেন। এদিকে রায় ঘোষনাকরার পর পরইনিহতশাজাহানেরপিতাবলেনরায়েআমরাসন্তুষ্ট। তবেরায়যাতেকার্যকরহয়। মামলাররাষ্ট্র পক্ষে কৌশুলী অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদ বলেন রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। কারণ এ ধরনের হত্যাকন্ড এই ধরনের শাস্তি আমরা আশা করে ছিলাম। মামলার বাদী হাবিবুর রহমান বলেন রায়ে আমরা খুশি আমরা চায় এই রায় বলোবদ থাকবে। পরবর্তীতে যাতে কেউ এই ধরনের অপরাধ করতে সাহস না পায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক

মেহেরপুরের গাংনীতে শাজাহান হত্যা মামলায় ৭ জনের কারাদন্ড \ ৫০ টাকা করে জরিমানা

আপডেট সময় : ০৮:১৭:৩৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ মে ২০১৮

মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নিশিপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর শাজাহান হত্যা মামলায় গিয়াসউদ্দীন, আলম, ইলিয়াস, ভাদু, সমশের, কাজল ও শহিদুল নামের ৭ জনের যাবজীবন সশ্রমকারাদন্ড। প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ বছর কওে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাঃ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। সাজা প্রাপ্ত গিয়াস উদ্দীন নিশিপুরের সুলতান আলীর ছেলে, ভাদু সমশের আলাউদ্দীনের ছেলে। কাজল একই গ্রামের আলতাফের ছেলে এবং শহিদুল সোলেমানের ছেলে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সমশের পলাতক রয়েছে। সে আটক কিংবা আত্মসর্ম্পরে দিন থেকে তার সাজা শুরু হবে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৯ এপ্রিল গাংনী উপজেলার নিশিপুর গ্রামের নজর আলীর ছেলে শাজাহান ঘটনার দিন তার ঘওে শুয়ে মোবাইল ফোনে গান শুনছিল। ঐ সময় জিনিয়াস স্কুলের শিক্ষক সুলতানের ছেলে গিয়াস উদ্দীন তার বাড়ি প্রবেশ করে গান বন্ধ করতে বলে। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাদানুবাদ হয় এবং স্থানীয় লোকজন বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। এদিকে ঐ দিন বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে আগের ঘটনার জের ধরে গিয়াসের নেতৃত্বে তার লোকজন শাজাহানের বামন্দীস্ত শাজাহানের মটর হাউজে প্রবেশ কওে শাজাহানের উপর হামলা চালায়। হামলায় শাজাহান মারাত্বক আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বামুন্দীর একটি ক্লিনিকে পওে কুষ্টিয়া সবশেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শাজাহানের ভাই হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে গাংনী থানায় ১০ জন কে আসামী করে দন্ড বিধি ৩০২/৩৪, ৪৪৭/৩৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৯। পওে মামলার তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১১ অক্টোম্বরে চার্যশীট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষি তাদের সাক্ষ প্রদান করেন। এতে গিয়াস, আলম, ইলিয়াস, ভাদু, সমশের, কাজল ও সাইদুলের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাদের যাবজীবন সশ্রম কারাদন্ড, প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ বছরের জেল দেন। মামলায় সমসের পলাত করয়েছেন। মামলার অপর আসামী ঝন্টু, মিনা ও কাদারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদ এবং আসামী পক্ষে এ্যাড. সফিকুল আলম কৌশুলী ছিলেন। এর আগে বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেলা ৩টা ১ মিনিটে আদালতে প্রবেশ করেন। এসময় কাটগড়াই উপস্থিত আসামীদের নাম পড়ে শোনান। এর পর পরইতিনিচঞ্চল্যকর এ মামলাররায় ঘোষনাকরেন। এদিকে রায় ঘোষনাকরার পর পরইনিহতশাজাহানেরপিতাবলেনরায়েআমরাসন্তুষ্ট। তবেরায়যাতেকার্যকরহয়। মামলাররাষ্ট্র পক্ষে কৌশুলী অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদ বলেন রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। কারণ এ ধরনের হত্যাকন্ড এই ধরনের শাস্তি আমরা আশা করে ছিলাম। মামলার বাদী হাবিবুর রহমান বলেন রায়ে আমরা খুশি আমরা চায় এই রায় বলোবদ থাকবে। পরবর্তীতে যাতে কেউ এই ধরনের অপরাধ করতে সাহস না পায়।