শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা,কয়রা যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য Logo উপাচার্যের আশ্বাসের এক বছরেও হয়নি জুলাই কর্নারের বাস্তবায়ন Logo আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চাঁদপুর জেলা পুলিশের ভূমিকাঃ আইনশৃঙ্খলায় ইতিবাচক পরিবর্তন Logo ইবিতে শিক্ষক সংকট চরমে, দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ  Logo সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহাসিন আলম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo মায়ের হাতেই সন্তানের সুশিক্ষার ভিত — ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান  Logo কয়রায় পানি প্রাপ্তি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত Logo সোনালী সুদিন সমাজকল‍্যান সংস্থার উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে সাইকেল ও নগদ অর্থ বিতরণ

মহেশপুরে অন্ধ মায়ের ভিক্ষায় সাদা ছড়ি নিয়ে পথ দেখিয়ে চলে তিন বছরের শিশু শাহিদা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:০১:৩৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ মে ২০১৮
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ পড়তে বা লিখতে না পারলেও হাতে বই আর কলম। কাঁধে অন্ধ মায়ের হাতে থাকা সাদা ছড়ি। আর এভাবেই মাকে পথ দেখিয়ে প্রতিটি দোকানে দোকানে নিয়ে যাচ্ছে তিন বছরের শিশু শাহিদা। যে বয়সে মায়ের কোলে চড়ে বেড়ানো বা আনাচে কানাচে খেলা করে সময় কাটানোর কথা সেই বয়সে মায়ের লাঠি ধরে পথ দেখিয়ে দোকানে দোকানে ভিক্ষা করতে সহায়তা করে শিশুটি। প্রতিদিন এমন দৃশ্য চোখে পরে ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌর এলাকায়। কাঁধে অন্ধ মায়ের সাদা ছড়ি নিয়ে পথ দেখিয়ে চলে শিশু শাহিদা। আর সেই পথ অনুসরন করে পিছু পিছু হাঁটছেন অন্ধ মা কাজল বেগম। মহেশপুরের নিউ মেডিসিন কর্নারের মালিক মিঠু বলেন, প্রতি সপ্তাহে এভাবে ছোট্ট মেয়েটি লাঠি ধরে তার অন্ধ মাকে দোকানের সামনে নিয়ে আসে। যে যা দেয় তাতেই খুশি তারা। জেবিস্ক ফার্মেসীর মালিক আলামিন বলেন, এত ছোট বাচ্চা কিভাবে বুদ্ধি করে মায়ের লাঠি কাধে নিয়ে আগে আগে হেঁটে যায় তা না দেখলে বোঝা যাবে না। অন্ধ কাজল বেগম জানান, তার বাড়ি মহেশপুর উপজেলার এস বি কে ইউপির খালিশপুর হাইস্কুলপাড়ায়। স্বামী আব্দুর রাজ্জাক দ্বিতীয় বিয়ে করে চলে গেছে। তখন মেয়ে শাহিদা অনেক ছোট। সেই থেকে ভিক্ষা করে মা-মেয়ের দিন চলে। আগে শাহিদা ছোট ছিলো ওকে কোলে করে লাঠির সাহায্যে দোকান চিনে ভিক্ষা করতাম। এখন ও হাঁটতে শিখেছে। ওর সাহায্যে দোকানে দোকানে গিয়ে ভিক্ষা চাই। কাজল বেগম অভিযোগ কওে বলেন, স্থানীয় ইউপি মেম্বর ও চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবন্ধি কার্ড করার জন্য বেশ কয়েকবার গিয়েছি। তারা আমার কথা কোন আমলে নেয় না। মনের ক্ষোভে তাদের কাছে আর যায় না। কাজল বেগম বলেন মেয়ে শাহিদাকে মাদরাসায় পড়ানোর ইচ্ছা আছে। ৫ বছর বয়স হলেই ওকে মাদরাসায় ভর্তি করে দেবো ভাবছি। তিনি একটি প্রতিবন্ধি কার্ড দাবী করে বলেন, কার্ডটি হলে আমার মেয়ের লেখাপড়া করাতে তেমন কোন অসুবিধা হতো না। কার্ড না হলে ভিক্ষা করেই আমি আমার মেয়েকে মাদরাসায় পড়াবো। এ বিষয়ে এস বি কে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাজল বেগমের কথা শুনতেই ফোনের লাইন কেটে দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ

মহেশপুরে অন্ধ মায়ের ভিক্ষায় সাদা ছড়ি নিয়ে পথ দেখিয়ে চলে তিন বছরের শিশু শাহিদা

আপডেট সময় : ০৯:০১:৩৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ মে ২০১৮

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ পড়তে বা লিখতে না পারলেও হাতে বই আর কলম। কাঁধে অন্ধ মায়ের হাতে থাকা সাদা ছড়ি। আর এভাবেই মাকে পথ দেখিয়ে প্রতিটি দোকানে দোকানে নিয়ে যাচ্ছে তিন বছরের শিশু শাহিদা। যে বয়সে মায়ের কোলে চড়ে বেড়ানো বা আনাচে কানাচে খেলা করে সময় কাটানোর কথা সেই বয়সে মায়ের লাঠি ধরে পথ দেখিয়ে দোকানে দোকানে ভিক্ষা করতে সহায়তা করে শিশুটি। প্রতিদিন এমন দৃশ্য চোখে পরে ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌর এলাকায়। কাঁধে অন্ধ মায়ের সাদা ছড়ি নিয়ে পথ দেখিয়ে চলে শিশু শাহিদা। আর সেই পথ অনুসরন করে পিছু পিছু হাঁটছেন অন্ধ মা কাজল বেগম। মহেশপুরের নিউ মেডিসিন কর্নারের মালিক মিঠু বলেন, প্রতি সপ্তাহে এভাবে ছোট্ট মেয়েটি লাঠি ধরে তার অন্ধ মাকে দোকানের সামনে নিয়ে আসে। যে যা দেয় তাতেই খুশি তারা। জেবিস্ক ফার্মেসীর মালিক আলামিন বলেন, এত ছোট বাচ্চা কিভাবে বুদ্ধি করে মায়ের লাঠি কাধে নিয়ে আগে আগে হেঁটে যায় তা না দেখলে বোঝা যাবে না। অন্ধ কাজল বেগম জানান, তার বাড়ি মহেশপুর উপজেলার এস বি কে ইউপির খালিশপুর হাইস্কুলপাড়ায়। স্বামী আব্দুর রাজ্জাক দ্বিতীয় বিয়ে করে চলে গেছে। তখন মেয়ে শাহিদা অনেক ছোট। সেই থেকে ভিক্ষা করে মা-মেয়ের দিন চলে। আগে শাহিদা ছোট ছিলো ওকে কোলে করে লাঠির সাহায্যে দোকান চিনে ভিক্ষা করতাম। এখন ও হাঁটতে শিখেছে। ওর সাহায্যে দোকানে দোকানে গিয়ে ভিক্ষা চাই। কাজল বেগম অভিযোগ কওে বলেন, স্থানীয় ইউপি মেম্বর ও চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবন্ধি কার্ড করার জন্য বেশ কয়েকবার গিয়েছি। তারা আমার কথা কোন আমলে নেয় না। মনের ক্ষোভে তাদের কাছে আর যায় না। কাজল বেগম বলেন মেয়ে শাহিদাকে মাদরাসায় পড়ানোর ইচ্ছা আছে। ৫ বছর বয়স হলেই ওকে মাদরাসায় ভর্তি করে দেবো ভাবছি। তিনি একটি প্রতিবন্ধি কার্ড দাবী করে বলেন, কার্ডটি হলে আমার মেয়ের লেখাপড়া করাতে তেমন কোন অসুবিধা হতো না। কার্ড না হলে ভিক্ষা করেই আমি আমার মেয়েকে মাদরাসায় পড়াবো। এ বিষয়ে এস বি কে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাজল বেগমের কথা শুনতেই ফোনের লাইন কেটে দেন।