শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা,কয়রা যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য Logo উপাচার্যের আশ্বাসের এক বছরেও হয়নি জুলাই কর্নারের বাস্তবায়ন Logo আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চাঁদপুর জেলা পুলিশের ভূমিকাঃ আইনশৃঙ্খলায় ইতিবাচক পরিবর্তন Logo ইবিতে শিক্ষক সংকট চরমে, দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ  Logo সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহাসিন আলম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo মায়ের হাতেই সন্তানের সুশিক্ষার ভিত — ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান  Logo কয়রায় পানি প্রাপ্তি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত Logo সোনালী সুদিন সমাজকল‍্যান সংস্থার উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে সাইকেল ও নগদ অর্থ বিতরণ

আমরা কি বাবা-মা হারা একজন দরিদ্র আয়েশার দায়িত্ব নিতে পারি না ?

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২১ মে ২০১৮
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে

মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ- লক্ষীপুর সদর উপজেলার ঝাউডগী গ্রামেরই মেয়ে আয়শা আক্তার। ঝাউডগী মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে এ বছর জিপিএ ৪.১৫ পেয়ে দাখিল পাশ করেছে। এটি তার মাদ্রাসার সর্বোচ্ছ রেজাল্ট। নানান প্রতিকুলতা পেরিয়ে দাখিল পাশ করা আয়েশা উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখছে। দরিদ্র আয়েশার বাবা মা কেউ বেঁচে নেই। পিতা মাতা হীন মেয়েটি নানীর কাছে থেকে পড়াশুনা করছে। নানীও দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত। টিনের দোচালা ঘরে নাতনী আয়েশাকে নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে থাকেন নানী।

আয়েশার বয়স যখন মাত্র দুই তখনই সে তার বাবা আঃ রহিমকে হারায়। মা ছকিনা বেগম মারা যায় গত ডিসেম্বরে। বাবা হারানো ও মায়ের মৃত্যু শোক নিয়ে সদ্য দাখিল পাশ করা এই মেয়েটি এখন উচ্চ শিক্ষা নিতে চায়। কিন্তুু এই উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার প্রধান অন্তরায় দারিদ্রতা। গ্রাম থেকে ৭-৮ কিঃ মিঃ দূরের ভবানীগঞ্জ কলেজ অথবা মাদ্রাসায় সে ভর্তি হতে চায়। ভর্তির জন্য যে খরচ সে টাকাও নেই তার কাছে। ভর্তি পরবর্তী প্রতিদিনের যাতায়াত ভাড়া ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের খরচ নিয়ে সে চিন্তায় আছে।

পড়া-শুনার খরচ চালাতে না পারলে এই মেধাবী মেয়েটিকেও হয়তো অল্প বয়সে বিয়ের পিড়িতে বসতে হবে এই আশংকা এলাকার স্থানীয় সচেতন মহলের। তাই প্রতিবেশী, স্থানীয় প্রশাসন ও দানশীল ব্যক্তিরা উক্ত মেয়ের পড়াশুনার খরচে এগিয়ে আসলে মেয়েটি তার স্বপ্ন প‚রণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণ করতে পারবে বলে জানালেন তার শিক্ষক মাস্টার আবু তাহের। তিনি আরো বলেন, আমরা এ সমাজের মানুষেরা কি বাবা-মা হারা একজন আয়েশার শিক্ষার দায়িত্ব নিতে পারিনা?

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ

আমরা কি বাবা-মা হারা একজন দরিদ্র আয়েশার দায়িত্ব নিতে পারি না ?

আপডেট সময় : ০৮:৩০:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২১ মে ২০১৮

মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ- লক্ষীপুর সদর উপজেলার ঝাউডগী গ্রামেরই মেয়ে আয়শা আক্তার। ঝাউডগী মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে এ বছর জিপিএ ৪.১৫ পেয়ে দাখিল পাশ করেছে। এটি তার মাদ্রাসার সর্বোচ্ছ রেজাল্ট। নানান প্রতিকুলতা পেরিয়ে দাখিল পাশ করা আয়েশা উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখছে। দরিদ্র আয়েশার বাবা মা কেউ বেঁচে নেই। পিতা মাতা হীন মেয়েটি নানীর কাছে থেকে পড়াশুনা করছে। নানীও দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত। টিনের দোচালা ঘরে নাতনী আয়েশাকে নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে থাকেন নানী।

আয়েশার বয়স যখন মাত্র দুই তখনই সে তার বাবা আঃ রহিমকে হারায়। মা ছকিনা বেগম মারা যায় গত ডিসেম্বরে। বাবা হারানো ও মায়ের মৃত্যু শোক নিয়ে সদ্য দাখিল পাশ করা এই মেয়েটি এখন উচ্চ শিক্ষা নিতে চায়। কিন্তুু এই উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার প্রধান অন্তরায় দারিদ্রতা। গ্রাম থেকে ৭-৮ কিঃ মিঃ দূরের ভবানীগঞ্জ কলেজ অথবা মাদ্রাসায় সে ভর্তি হতে চায়। ভর্তির জন্য যে খরচ সে টাকাও নেই তার কাছে। ভর্তি পরবর্তী প্রতিদিনের যাতায়াত ভাড়া ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের খরচ নিয়ে সে চিন্তায় আছে।

পড়া-শুনার খরচ চালাতে না পারলে এই মেধাবী মেয়েটিকেও হয়তো অল্প বয়সে বিয়ের পিড়িতে বসতে হবে এই আশংকা এলাকার স্থানীয় সচেতন মহলের। তাই প্রতিবেশী, স্থানীয় প্রশাসন ও দানশীল ব্যক্তিরা উক্ত মেয়ের পড়াশুনার খরচে এগিয়ে আসলে মেয়েটি তার স্বপ্ন প‚রণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণ করতে পারবে বলে জানালেন তার শিক্ষক মাস্টার আবু তাহের। তিনি আরো বলেন, আমরা এ সমাজের মানুষেরা কি বাবা-মা হারা একজন আয়েশার শিক্ষার দায়িত্ব নিতে পারিনা?