গরুর সঙ্গে এ কেমন শক্রতা!

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৪:১৭:৪০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২১ মে ২০১৮
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষীপুর প্রতিনিধি:- লক্ষীপুরে পূর্ব শক্রতার জেরে প্রতিপক্ষের দেয়া আগুনে ইউনুস ব্যাপারী নামে এক কৃষকের পাঁচটি গরু পুড়ে মারা গেছে। আগুনে গরুর টিনসেড ঘরটিও পুড়ে গেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের পূর্ব-পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত ইউনুস ব্যাপারীর দাবি, পূর্ব শক্রতার জেরে পাশের বাড়ির জয়নাল হাওলাদার ও তাদের লোকজন পরিকল্পিতভাবে পেট্রল ঢেলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাদের ভ‚মিকা রহস্যজনক। তবে এ বিষয়ে জয়নাল হাওলাদারের বক্তব্য জানা যায়নি।
খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ, চর বাদামের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিম ও সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ মোল্ল্যা। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

স্থানীয়রা জানান, রাতে ইউনুস ব্যাপারী গরুগুলো ঘরে বেঁধে রেখে পাশের ঘরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘুমাতে যান। হঠাৎ রাত ২টার দিকে গরুর আওয়াজ শুনে পরিবারের সদস্যরা জেগে ওঠেন। এ সময় তারা গরুর ঘরে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন। তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাঁচটি গরু ও ঘর পুড়ে যায়।

ইউনুসের ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক কবির হোসেন জানান, কোনো জমিজমা নয়, চারটি বড় গরু ও একটি বাচুরই ছিল তাদের পরিবারের সম্বল। প‚র্ব শক্রতা নিয়ে পাশের বাড়ির জয়নাল হাওলাদাররা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। ঘটনা শোনার পর শতশত মানুষ দেখতে এলেও তাদের ভ‚মিকা প্রশ্নবিদ্ধ।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, ঘটনাটি অমানবিক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এটি পরিকল্পিত নাশকতা কি-না তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইবিতে নবীনবরণ সম্পন্ন

গরুর সঙ্গে এ কেমন শক্রতা!

আপডেট সময় : ০৪:১৭:৪০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২১ মে ২০১৮

মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষীপুর প্রতিনিধি:- লক্ষীপুরে পূর্ব শক্রতার জেরে প্রতিপক্ষের দেয়া আগুনে ইউনুস ব্যাপারী নামে এক কৃষকের পাঁচটি গরু পুড়ে মারা গেছে। আগুনে গরুর টিনসেড ঘরটিও পুড়ে গেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের পূর্ব-পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত ইউনুস ব্যাপারীর দাবি, পূর্ব শক্রতার জেরে পাশের বাড়ির জয়নাল হাওলাদার ও তাদের লোকজন পরিকল্পিতভাবে পেট্রল ঢেলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাদের ভ‚মিকা রহস্যজনক। তবে এ বিষয়ে জয়নাল হাওলাদারের বক্তব্য জানা যায়নি।
খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ, চর বাদামের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিম ও সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ মোল্ল্যা। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

স্থানীয়রা জানান, রাতে ইউনুস ব্যাপারী গরুগুলো ঘরে বেঁধে রেখে পাশের ঘরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘুমাতে যান। হঠাৎ রাত ২টার দিকে গরুর আওয়াজ শুনে পরিবারের সদস্যরা জেগে ওঠেন। এ সময় তারা গরুর ঘরে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন। তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাঁচটি গরু ও ঘর পুড়ে যায়।

ইউনুসের ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক কবির হোসেন জানান, কোনো জমিজমা নয়, চারটি বড় গরু ও একটি বাচুরই ছিল তাদের পরিবারের সম্বল। প‚র্ব শক্রতা নিয়ে পাশের বাড়ির জয়নাল হাওলাদাররা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। ঘটনা শোনার পর শতশত মানুষ দেখতে এলেও তাদের ভ‚মিকা প্রশ্নবিদ্ধ।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, ঘটনাটি অমানবিক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এটি পরিকল্পিত নাশকতা কি-না তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।