মু.ওয়াছীঊদ্দিন, লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ- লক্ষীপুর রামগঞ্জ উপজেলার রামগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দ্রæত সংস্কার দাবীতে আজ রবিবার ভোর থেকে রামগঞ্জ থেকে দশঘরিয়া পর্যন্ত সড়ক বন্ধ করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বাস মালিক ও পরিবহন শ্রমিকরা।
এসময় তারা একটি ট্রাক ভাংচুর ও উক্ত সড়কের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওয়েষ্টার ট্রেডিং এন্ড বিল্ডার্স এর অ্যাডভাইজার জুয়েলকে লাঞ্চিত ও মারধর করে।
খবর পেয়ে রামগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোতা মিয়া ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি। এসময় আন্তজেলা বাস মালিক ও পরিবহন শ্রমিকরা রামগঞ্জ সোনাইমুড়ি সড়ক পর্যন্ত দ্রæত সংস্কার দাবীতে শ্লোগান দিতে থাকে।
এদিকে উক্ত সড়কে চলাচলরত যাত্রীরা হটাৎ অবরোধের কারনে চরম বিপাকে পড়েন। দুইদিন পর সরকারী ছুটি থাকার পর আজ রবিবার বিভিন্ন অফিস আদালত ও ব্যাংক বীমাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে আসা লোকজন পড়েন মারাক্তক দূর্ভোগে। কেউ পায়ে হেঁটে কেউ বা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সায় নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
চালক মোঃ কালাম হোসেন প্রতিবেদককে জানান, আমরা জীবনের ঝুকি নিয়ে এ সড়কে গাড়ী চালাবো না। প্রায় রাস্তায় অন্য গাড়ীতে সাইট দিতে গিয়ে গাড়ী কাত হয়ে পড়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়। রাতে চলাচলতো অনেক বেশি ঝ‚কিপ‚র্ণ। আবার গাড়ী দূর্ঘটনায় পতিত হলে সেখানেও আমরা লাঞ্চনার শিকার হই।
পরিবহন মালিক আবুল কালাম জানান, দীর্ঘদিনও রামগঞ্জ ঢাকা মহাসড়কের চাটখিল পর্যন্ত কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। রাস্তায় বিশাল বিশাল গর্ত। একবার গাড়ী রামগঞ্জ থেকে ঢাকা পর্যন্ত গেলে সে গাড়ী পরদিন মেরামত করতে হয়। প্রতিদিনই দুই চারটি গাড়ী দ‚র্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বার বার বলার সড়কের গর্তগুলো পর্যন্ত ভরাটের কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি।
উক্ত সড়কের দুই পাশ বর্ধিত করার জন্য কাজ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস ওয়েষ্টার ট্রেডিং এন্ড বিল্ডার্স এর মালিক এস এম মনির হোসেন জানান, আমরা দ্রæত কাজ শেষ করতে গেলেও সমস্যা সৃষ্টি হবে। কারন আমরা শুধুমাত্র বর্ধিত করার কাজ পেয়েছি। রাস্তা মাঝের অংশটুকু ঢালাই বা পাকাকরন বিষয়ে আমাদের কোন হাত নেই। এখন যদি স্থানীয় লোকজন আমাদের কাজ করতে বাধা দেয় তাহলে কি করবো বলেন? আমাদের কাজ শেষ করার সময় এখনো অতিবাহিত হয়নি। রাতদিন আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এদিকে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোতা মিয়া অবরোধের খবর পেয়ে সাথে সাথে ছুটে যান রামগঞ্জ বাস টার্মিনালে। তিনি বহু চেষ্টা করেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত গাড়ী চলাচল করাতে সক্ষম হয়নি। চালক ও মালিকগণ সড়ক দ্রæত সংস্কার না করা হলে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য গাড়ী চলাচল বন্ধ রাখবেন বলে জানান।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোতা মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সড়ক সংস্কার করার দায়িত্বতো জনপ্রতিনিধির। আমি সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি।