ফরিদ উদ্দিন.লামা(বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ- ফাতেমা পারুল এক বিপ্লবী নারী নাম,পার্বত্য লামায় নারী উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন ফাতেমা ফারুল।ফাতেমা পারুল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের চম্পাতলী গ্রামে নিজ বাড়ী হলেও তার বিয়ে হয় ৫ নং ওয়ার্ড রাজবাড়ী বাসিন্দা একজন আনসার ব্যাটেলিয়ান কমান্ডারের সাথে। তার বাবা ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা।দীর্ঘ নয় বছর পৌর কান্সিলর ছিলেন এ নারী নেত্রী। বর্তমানে তিনি বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য।রাজনৈতিক জীবনে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের উপজেলা সভানেত্রী।নারী উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেন ছোট কাল থেকেই এ গুনী নারী। নারী মানে অবহেলার পাত্র। নারী মানে কেনা গোলাম।নারী যেন অন্যের করুনার পাত্র।নারীর প্রতি সমাজের এমন দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।
অসহায়, দরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্ত, বিধবা, অসচ্ছল পরিবারের নারীদের স্বপ্ন দেখান তিনি। স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করেন এ নারী উদ্যোক্তা। সেলাই কাজ, পুতির তৈরি টিস্যু বক্স,নকশিকাঁথা, বল্কবাটিক ও বিভিন্ন ফুলের টপ তৈরী মাধ্যমে নারীর ভাগ্য বদলের হাতিয়ার তার।
পারুলের গৃহীত উদ্যোগে গ্রামের নারীরা কাজে মনোনিবেশ করছেন বেশ । কাজের সকল ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন ফাতেমা পারুল। তার মাধ্যমে এসব কাজে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেদের বাঁচার অবলম্বন খুঁজে পেয়েছেন নারীরা। পাশাপাশি নারীদের কারিগরিভাবে দক্ষ করে তুলতে পাপস বুনন, অ্যামব্রয়ডারী, বাটিক, বুটিকসহ মোট ৯টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে এসকল সুবিধা বঞ্চিত নারীদের। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা নিজেদের দক্ষ করে এসব কাজের মাধ্যমে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন।
প্রশিক্ষণার্থী নুরজাহান বেগম, আনোয়ারা বেগম ও লায়লা বেগম বলেন, স্বামী মানুষের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে। তার আয় দিয়ে সন্তানের লেখাপড়া ও সংসার চলেনা। নারীনেত্রী ফাতেমা পারুলের সহযোগিতায় আমরা নকশিকাঁথা, বল্কবাটিক, সেলাই কাজ করছি। আমাদের তৈরি জিনিসপত্র এখন সবার নজর কেড়েছে । ফাতেমা পারুলের দেখানো পথে আমরা প্রতিমাসে তিন থেকে চার হাজার টাকা করে আয় করি।
নারীনেত্রী ফাতেমা পারুল বলেন, আমি এসব কাজে নারীদের প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করে থাকি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের উৎপাদিত পণ্যসমূহ যেন ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারে সেজন্য বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখি। বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক আলোচিত বিষয়ের মধ্যে একটি হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিবান, ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে এসকল অসহায় নারীদের এগিয়ে নিতে হবে।সেজন্যে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নারীদের স্বাবলম্বী করতে পারায় মন্ত্রীকে কৃজ্ঞতা জানাই।
লামা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুষ্মিতা খীসা বলেন, দেশকে উন্নতশীল করতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও আয় বৃদ্ধিমূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। তাহলে প্রতিটি পরিবারে অর্থের সংকট দূর হবে। পরিবার তথা সমাজে অর্থনৈতিক বিল্পব ঘটবে। নারীদের আয়বৃদ্ধিমূলক কাজে সম্পৃক্ত করে জয়িতা ফাতেমা পারুল অনেক বড় কাজ করেছেন। আমি ঊনার কাজের সম্মান জানাই।