শিরোনাম :
Logo ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন Logo ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল, আহত শতাধিক মানুষ Logo জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা Logo বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দিনমজুরি করেও স্বপ্ন দেখেছে আইনজীবী হওয়ার, পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হলেও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ টাকার অভাবে অনিশ্চিৎ Logo কুবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা! Logo মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী” শিশু শিল্পী টুনটুনির জন্মদিন উদযাপন Logo রাবিতে ডাইনিং সংকটসহ ৫ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

যে পাঁচটি সুন্নাত অমান্য করার কারণে দাম্পত্য জীবনে আপনি সুখ পাচ্ছেন না !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:২৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আমরা আমাদের দৈনন্দিনের কাজ নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে একে অপরকে (স্বামী-স্ত্রী) সময় দিতে পারি না। সৌভাগ্যক্রমে আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মধ্যে একটি নিখুঁত প্রতিকৃতি মানব জাতিকে উপহার দিয়েছেন। রাসুলের (সা.) সুন্নাত অনুসরণের মাঝেই রয়েছে চূড়ান্ত সফলতা।

স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ককে পুনরায় জাগিয়ে তোলার জন্য, অথবা সুখকর করে তোলার জন্য এখানে পাঁচটি কার্যকর-শক্তিশালী নববী দিক নিদের্শনা তুলে ধরা হলো-

একে অপরের (স্বামী-স্ত্রী) সাথে হাস্যোজ্জ্বল থাকা : আমাদের রাসুল (সা.) বেশিরভাগ সময়ই হাস্যোজ্জ্বল থাকতেন। এমনকি রাসুলের (সা.) স্ত্রীরা বলতেন যে, আমরা তার থেকে বেশি হাস্যোজ্জ্বল অবয়বময় আর কাউকে দেখিনি । এটা ভুলে গেলে চলবে না যে- একটি হাসি কতটা পাওয়ারফুল হতে পারে। স্বামী-স্ত্রী সুখে এবং দুঃখে সব সময়ই এক সাথে থাকে। সুতরাং নিজেদের মুখ গোমরা না করে রেখে সদা হাস্যোজ্জ্বল রাখাই হবে উভয়ের কতর্ব্য। এছাড়াও আমাদের নবী (সা.) বলেছেন, একটি হাসিও হতে পারে সদকা। (আল-হাদিস)

একে অপরের (স্বামী-স্ত্রী) সাথে ভালো কথা বলুন : আমাদের নবী (সা.) বলেন, যে আল্লাহকে এবং শেষ দিবসকে বিশ্বাস করে সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে। (আল-হাদিস) এটা স্বামীদের কর্তব্য, বিশেষত যখন স্বামী-স্ত্রী কাছাকাছি থাকেন। সুতরাং প্রতিদিন আপনি আপনার স্ত্রীর প্রশংসা করার চেষ্টা করুন।

একে অপরের (স্বামী-স্ত্রী) ওপর রাগ করবেন না : যখন হজরত আলী (রা.) হজরত ফাতেমাকে (রা) বিবাহ করেছেন, তখন রাসূল (সা.) হজরত আলীকে (রা.) একটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছেন। উপদেশটা এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো যে, আমাদের নবী সেটাকে তিনবার বলেছেন। উপদেশটি হলো- পারিবারিক কোনো কারণে তুমি রাগ করবে না।

স্বামী-স্ত্রী একসাথে ঘুরতে বের হন : আমাদের রাসূল (সা.) স্ত্রীদের সাথে অনেক সময় কাটাতেন। তিনি এক ছাদের নিচে আলাদা আলাদা থাকতেন না। নবী (সা.) স্ত্রীকে সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হতেন। ঘুরতে যেতেন। এমনকি বিভিন্ন কাজে তার পরামর্শও নিতেন।

স্ত্রীকে বলুন, আমি তোমাকে ভালোবাসি : আল্লাহর নবী (সা.) কখনো এটা বলতে ভয় করেননি। আমাদের ধর্মের এমনটা বলতে উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা এই কথা পারিবারিক অনেক সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে।

সূত্র: প্রিয় ডটকম

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

যে পাঁচটি সুন্নাত অমান্য করার কারণে দাম্পত্য জীবনে আপনি সুখ পাচ্ছেন না !

আপডেট সময় : ০৬:৪০:২৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আমরা আমাদের দৈনন্দিনের কাজ নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে একে অপরকে (স্বামী-স্ত্রী) সময় দিতে পারি না। সৌভাগ্যক্রমে আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মধ্যে একটি নিখুঁত প্রতিকৃতি মানব জাতিকে উপহার দিয়েছেন। রাসুলের (সা.) সুন্নাত অনুসরণের মাঝেই রয়েছে চূড়ান্ত সফলতা।

স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ককে পুনরায় জাগিয়ে তোলার জন্য, অথবা সুখকর করে তোলার জন্য এখানে পাঁচটি কার্যকর-শক্তিশালী নববী দিক নিদের্শনা তুলে ধরা হলো-

একে অপরের (স্বামী-স্ত্রী) সাথে হাস্যোজ্জ্বল থাকা : আমাদের রাসুল (সা.) বেশিরভাগ সময়ই হাস্যোজ্জ্বল থাকতেন। এমনকি রাসুলের (সা.) স্ত্রীরা বলতেন যে, আমরা তার থেকে বেশি হাস্যোজ্জ্বল অবয়বময় আর কাউকে দেখিনি । এটা ভুলে গেলে চলবে না যে- একটি হাসি কতটা পাওয়ারফুল হতে পারে। স্বামী-স্ত্রী সুখে এবং দুঃখে সব সময়ই এক সাথে থাকে। সুতরাং নিজেদের মুখ গোমরা না করে রেখে সদা হাস্যোজ্জ্বল রাখাই হবে উভয়ের কতর্ব্য। এছাড়াও আমাদের নবী (সা.) বলেছেন, একটি হাসিও হতে পারে সদকা। (আল-হাদিস)

একে অপরের (স্বামী-স্ত্রী) সাথে ভালো কথা বলুন : আমাদের নবী (সা.) বলেন, যে আল্লাহকে এবং শেষ দিবসকে বিশ্বাস করে সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে। (আল-হাদিস) এটা স্বামীদের কর্তব্য, বিশেষত যখন স্বামী-স্ত্রী কাছাকাছি থাকেন। সুতরাং প্রতিদিন আপনি আপনার স্ত্রীর প্রশংসা করার চেষ্টা করুন।

একে অপরের (স্বামী-স্ত্রী) ওপর রাগ করবেন না : যখন হজরত আলী (রা.) হজরত ফাতেমাকে (রা) বিবাহ করেছেন, তখন রাসূল (সা.) হজরত আলীকে (রা.) একটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছেন। উপদেশটা এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো যে, আমাদের নবী সেটাকে তিনবার বলেছেন। উপদেশটি হলো- পারিবারিক কোনো কারণে তুমি রাগ করবে না।

স্বামী-স্ত্রী একসাথে ঘুরতে বের হন : আমাদের রাসূল (সা.) স্ত্রীদের সাথে অনেক সময় কাটাতেন। তিনি এক ছাদের নিচে আলাদা আলাদা থাকতেন না। নবী (সা.) স্ত্রীকে সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হতেন। ঘুরতে যেতেন। এমনকি বিভিন্ন কাজে তার পরামর্শও নিতেন।

স্ত্রীকে বলুন, আমি তোমাকে ভালোবাসি : আল্লাহর নবী (সা.) কখনো এটা বলতে ভয় করেননি। আমাদের ধর্মের এমনটা বলতে উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা এই কথা পারিবারিক অনেক সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে।

সূত্র: প্রিয় ডটকম