বুধবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সমীর কুমার ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে প্রথম স্থান অর্জন করার কথা তাদের জানিয়েছেন।
আমিনুল ইসলাম আরো জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির প্রচেষ্টায় সিংড়ায় উন্নতমানের চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ২০১৫ সালের জুন মাসে টেলিমিডিসিন সেবা চালু হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৬ সালের মে মাস থেকে এর যাত্রা শুরু হয়।
সরকারি ছুটি ছাড়া প্রত্যেকদিন এ সেবা চালু রয়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টেলিমেডিসিন সেবা দেয়া হয়। ঢাকা, বগুড়া রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
তিনি বলেন, এক সপ্তাহে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্থানীয়সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৫৩ জন রোগী টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন। আর শুরু থেকে এ পর্যন্ত সেবা পেয়েছেন ৭৫০ জন রোগী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা আরো বলেন, চলতি বছরের জুন মাসে টেলিমিডিসিন সেবায় সারা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন তারা। আর এবার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী দেখায় প্রথম স্থান অর্জন করলেন।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম আলমাস জানান, এ কার্যক্রমের শুরু থেকেই সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়। এতে সেবার মান বেড়েছে। দূর-দূরন্ত থেকে আসা রোগীরা বিশেষ করে গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সামর্থ্য নেই, ভালো ডাক্তার দেখাতে পারেন না, তারাই মূলত এ সেবা গ্রহণ করছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, সিংড়া উপজেলায় বৃহৎ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ১২টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার প্রায় ৫ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ সেবা চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। যাতে উপজেলার জনগণ সিংড়া থেকেই উন্নত চিকিৎসা নিতে পারেন। ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে চলনবিলসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এর সুফল ভোগ করছেন। আশা করি এ কার্যক্রমের মাধ্যমে শুধু সিংড়া নয়, পুরো জেলার মানুষ টেলিমেডিসিন সেবার সুফল পাবেন।