নিউজ ডেস্ক:
ভারতের ‘স্বঘোষিত ঈশ্বর’ গুরমিত রাম রহিমকে ধর্ষণের দায়ে সম্প্রতি ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। এদিকে রাম রহিমের দণ্ডাদেশের পর থেকেই একের পর এক বেরিয়ে আসেছে তার বিলাসী জীবনের নানা কাহিনী।
জানা যায়, কথিত এ ধর্মগুরুর হরিয়ানায় সিরসার ডেরায় আগের দিনের রাজা-বাদশাদের মতোই আয়েসী জীবন-যাপন করতেন। তথ্যমতে, ডেরার ভিতরে রয়েছে বিলাসবহুল ১৫টি রিসোর্ট। এগুলো তার ব্যক্তিগত ডিজনিল্যান্ডের ভিতরে অবস্থিত। এ ডিজনিল্যান্ডের ভিতরে আইফেল টাওয়ার, ক্রুজ জাহাজ ও তাজমহলসহ বিখ্যাত ভবনের আদলে রিসোর্টগুলো তৈরি করেন রাম রহিম।
প্রতিটি রিসোর্টে দুই থেকে তিনটি কক্ষ রয়েছে। আর এ সব রিসোর্টে তিনি নারীদের নিয়মিত যৌন নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ডেরার ভেতরের ওই ডিজনিল্যান্ডে রাম রহিমের পালক মেয়ে হানিপ্রীত ইনসানের প্রবেশাধিকার ছিল। এ ছাড়া অল্প কয়েকজন বিশ্বস্ত সহযোগী ছাড়া সেখানে আর কারো প্রবেশাধিকার ছিল না। সাজানো বিলাসবহুল এ ডিজনিল্যান্ডেই তিনি সাধ্বীদের ধর্ষণ করতেন প্রতিনিয়ত।
ধর্ষণ মামলার এক তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেছেন, কথিত ধর্মগুরু রাম রহিমের ডেরায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ কনডম ও জন্মনিরোধক ওষুধ উদ্ধার করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)।
উল্লেখ্য, বাবা গুরমিত রাম রহিমের জন্ম রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগর জেলার গুরুসার মুণ্ডিয়া গ্রামে। সেখানেও তার প্রভাব পড়েছে। ১৯৬৭ সালের ১৫ অাগস্ট এখানেই জন্মেছিলেন রাম রহিম। ভগবানের মতো সেই গ্রামের প্রতিটি মানুষ বিশ্বাস-ভক্তি করতেন তাকে। তবে আদালতের রায়ের পর এখন পাল্টে গিয়েছে ছবিটা।