শিরোনাম :
Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত 

ধর্ষণ রুখতে ভারতীয় নারী ইঞ্জিনিয়ারের অভিনব আবিষ্কার! (ভিডিও)

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:২৬:১৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০১৭
  • ৭৭০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভারতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে প্রায় প্রত্যেকদিন। কখনও সেই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়, কখনও হয় না। এই নিকৃষ্টতম অপরাধের অপরাধীদের শাস্তি দিয়েও এমন ঘটনা থামানো যায়নি। তাই ধর্ষণ রোধে এবার এক অভিনব উদ্যোগ নিলেন এক ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার মনীষা মোহন।

বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে গবেষণা করছেন মনীষা। সেখানেই তিনি এক বিশেষ ধরনের সেন্সর তৈরি করেছেন, যা ধর্ষণ কিংবা শ্লীলতাহানির মত ঘটনা রুখতে পারবে।

অনেক সময়েই আক্রমণের শিকার হলে কোনও মহিলা পরিচিতদের ফোন করার মত পরিস্থিতিতে থাকেন না। অথবা আক্রমণকারীকে প্রত্যাঘাত করার মত অবস্থায় থাকেন না। কিন্তু অজ্ঞান অবস্থাতে আক্রমণ করলেও এই সেন্সর কাজ করবে এবং অন্যদের কাছে খবর পৌঁছে দেবে। এই সেন্সর পোশাকের সঙ্গেই লাগানো থাকবে।

দুটি মোডে কাজ করতে পারবে এই সেন্সর। একটি হল প্যাসিভ মোড, যেখানে, নির্যাতিতা নিজেই একটি বাটন প্রেস করলে পরিচিতদের কাছে ফোন চলে যাবে। আর একটি হল অ্যাকটিভ মোড। যাতে, ওই সেন্সর নিজেই সিগন্যাল খুঁজে নেবে।

উদাহরণস্বরূপ মনীষা জানিয়েছেন, যদি কোনও মহিলার পোশাক খোলা হয়, তাহলে মেসেজ যাবে আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের কাছে। ওই ঘটনায় মহিলার অনুমতি রয়েছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করার অপশন রয়েছে। কিন্তু ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে রিপ্লাই না এলেই জোরে অ্যালার্ম বাজতে শুরু করবে। যদি নির্যাতিতা নিজে একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যালার্ম না থামান, তাহলে সেটি থামবে না। বন্ধুদের কাছে নির্যাতিতার অবস্থানও পৌঁছে যাবে, গুগল ম্যাপের সাহায্যে তাকে খুঁজে নেওয়া যাবে।

চেন্নাই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন মনীষা। সেইসময় তাঁদের সন্ধে সাড়ে ৬টার পর ক্যাম্পাসে থাকতে দেওয়া হত না। তাই তিনি মনে করেন, ঘরের মধ্যে মেয়েদের বন্ধ করে না রেখে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো উচিৎ। এই সেন্সরের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীরাই সুরক্ষিত থাকবেন বলে মনে করেন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

 ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

ধর্ষণ রুখতে ভারতীয় নারী ইঞ্জিনিয়ারের অভিনব আবিষ্কার! (ভিডিও)

আপডেট সময় : ০১:২৬:১৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভারতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে প্রায় প্রত্যেকদিন। কখনও সেই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়, কখনও হয় না। এই নিকৃষ্টতম অপরাধের অপরাধীদের শাস্তি দিয়েও এমন ঘটনা থামানো যায়নি। তাই ধর্ষণ রোধে এবার এক অভিনব উদ্যোগ নিলেন এক ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার মনীষা মোহন।

বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে গবেষণা করছেন মনীষা। সেখানেই তিনি এক বিশেষ ধরনের সেন্সর তৈরি করেছেন, যা ধর্ষণ কিংবা শ্লীলতাহানির মত ঘটনা রুখতে পারবে।

অনেক সময়েই আক্রমণের শিকার হলে কোনও মহিলা পরিচিতদের ফোন করার মত পরিস্থিতিতে থাকেন না। অথবা আক্রমণকারীকে প্রত্যাঘাত করার মত অবস্থায় থাকেন না। কিন্তু অজ্ঞান অবস্থাতে আক্রমণ করলেও এই সেন্সর কাজ করবে এবং অন্যদের কাছে খবর পৌঁছে দেবে। এই সেন্সর পোশাকের সঙ্গেই লাগানো থাকবে।

দুটি মোডে কাজ করতে পারবে এই সেন্সর। একটি হল প্যাসিভ মোড, যেখানে, নির্যাতিতা নিজেই একটি বাটন প্রেস করলে পরিচিতদের কাছে ফোন চলে যাবে। আর একটি হল অ্যাকটিভ মোড। যাতে, ওই সেন্সর নিজেই সিগন্যাল খুঁজে নেবে।

উদাহরণস্বরূপ মনীষা জানিয়েছেন, যদি কোনও মহিলার পোশাক খোলা হয়, তাহলে মেসেজ যাবে আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের কাছে। ওই ঘটনায় মহিলার অনুমতি রয়েছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করার অপশন রয়েছে। কিন্তু ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে রিপ্লাই না এলেই জোরে অ্যালার্ম বাজতে শুরু করবে। যদি নির্যাতিতা নিজে একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যালার্ম না থামান, তাহলে সেটি থামবে না। বন্ধুদের কাছে নির্যাতিতার অবস্থানও পৌঁছে যাবে, গুগল ম্যাপের সাহায্যে তাকে খুঁজে নেওয়া যাবে।

চেন্নাই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন মনীষা। সেইসময় তাঁদের সন্ধে সাড়ে ৬টার পর ক্যাম্পাসে থাকতে দেওয়া হত না। তাই তিনি মনে করেন, ঘরের মধ্যে মেয়েদের বন্ধ করে না রেখে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো উচিৎ। এই সেন্সরের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীরাই সুরক্ষিত থাকবেন বলে মনে করেন তিনি।